ভারতকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে না: অর্থ প্রতিমন্ত্রী টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ১৪ জুন, ২০১৫ ০৮:৫৭:০৬ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের পর বাংলাদেশের কতটা লাভ হবে সে প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন। ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়ানো এবং ভারতীয় কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন। শনিবার ঢাকায় বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে অর্থ ও পরিক
ল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, এক্ষেত্রে ভারতকে কোনো বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে না। কানেক্টিভিটিতে আমরা ভয়ঙ্কর লাভবান হব বলেও জানান তিনি। এমএ মান্নান বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল এবং ভুটানের সঙ্গে ব্যবসা করার চেষ্টা বাংলাদেশ অনেকদিন ধরেই করছে। মোদির সফরে বাংলাদেশের সেই চাহিদা পূরণ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ভারতের রিলায়েন্স ও আদানি গ্রুপকে বাংলাদেশে ৪৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারতের কোম্পানিগুলোকে মহেশখালীতে জমি দেবে বাংলাদেশ। অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, এতে বাংলাদেশই লাভবান হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি ভারত থেকে গরু আমদানি করতে পারি, শাড়ি আমদানি করতে পারি, পেঁয়াজ আমদানি করতে পারি, তাহলে বিদ্যুৎ আমদানি করতে সমস্যা কোথায়?’ কিন্তু অনেকেই অভিযোগ করছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অর্থ প্রতিমন্ত্রী এ ধরনের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, যে কোনো বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জমি দেয়ার বিষয়টি একেবারে নতুন কোনো ঘটনা না। তিনি বলেন, ‘যে কোনো ইনভেস্টর (বিনিয়োগকারী) আসলে আমাদের কাছে জমি চাইবে, গ্যাস চাইবে, নিরাপত্তা চাইবে– এগুলো তো আমরা দিতে বাধ্য।’ ব্যবসা করতে গেলে সেটা ‘খোলা মনে’ করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন এমএ মান্নান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাংলাদেশ সংলাপের আরেকজন প্যানেলিস্ট বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ কতটুকু লাভবান হবে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। তিনি বলেন, এই চুক্তি বা সমঝোতা স্মারকগুলো সরকার যদি জনসমক্ষে প্রকাশ করত তাহলে বোঝা যেত বাংলাদেশের কতটা লাভ হবে। অনুষ্ঠানের আরেকজন প্যানেলিস্ট সাবেক রাষ্ট্রদূত নাসিম ফেরদৌস মনে করেন, ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি বাড়লে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশিদের ভারতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়াটি যদি সহজ করা হত, তাহলে বাংলাদেশ কানেক্টিভিটির দিক থেকে আরো উপকৃত হত। সাবেক এ রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সেদেশের যানবাহন চলাচলের সুযোগ দিলে বাংলাদেশ আর্থিকভাবে লাভবান হবে। সংলাপে আরেক প্যানেলিস্ট ব্যাংকার জিয়াউল হাসান মনে করেন, ভারতের সঙ্গে যতটা সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখা যায়, বাংলাদেশের জন্য ততই ভালো। তবে, নরেন্দ্র মোদির সফরে বাংলাদেশের কতটা লাভ হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। এআর
No comments:
Post a Comment