থানে রয়েছে। বাদশাহর এই অনুপস্থিতি ‘মোটেও প্রত্যাখ্যানমূলক নয়’ বলে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও দুই দেশের মধ্যে অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অব্যাহতভাবে যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিষয় চারটি হল- এক. ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনের আগ্রহ। দুই. মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট বা আইএসের উত্থান। তিন. আরব বসন্ত নামে এই এলাকায় চলমান অস্থিতিশীলতা। এবং চার. বিশ্বের জ্বালানি বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন। বিশেষ করে আমেরিকার তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির রিয়াদের ওপর নির্ভরতা অনেক কমে গেছে। এর ফলে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ক্ষমতার হিসাব নিকাশে পরিবর্তন চলে এসেছে। এসব বিষয়ে বোঝাপড়ার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হোয়াইট হাউজ এবং ক্যাম্প ডেভিডে পারস্য উপসাগরবর্তী দেশগুলোর নেতাদের সাথে এ সপ্তাহের সম্মেলন এবং বৈঠকগুলোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সুযোগ হাতছাড়া হল। এখন যদি দুই দেশ তাদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে নতুন পথ অবলম্বন করে তাহলে ভবিষ্যত আরো অনেক জঠিল হয়ে উঠবে। হোয়াইট হাউজে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সমন্বয়কের পদ থেকে গত মাসে পদত্যাগ করা ফিলিপ গর্ডন বলেন, এটা ঠিক যে, দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধী নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তবে এটা কোনো আবেগের সম্পর্ক নয়। উভয় পক্ষেরই স্বার্থ আছে। এখন আমরা যদি তাদের মৌলিক স্বার্থগুলো সংরক্ষণে ইচ্ছুক হই তাহলে তারাও আমাদেরটা সংরক্ষণে ইচ্ছুক হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, উভয় পক্ষ ইচ্ছুক কিনা? ৭০ বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট তৎকালীন বাদশাহ আবদুল আজিজের সাথে সাক্ষাৎ করার পর থেকে সৌদি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুপক্ষের অভিন্ন স্বার্থ এবং ভিন্ন মূল্যবোধের নানা জঠিলতার মধ্যে দিয়েই এগিয়েছে। এতদিন দুপক্ষেরই একটা অভিন্ন আকাঙ্খা ছিল। আর সেটা হচ্ছে, স্থিতিশীলতা। কিন্তু বর্তমানে এই স্থিতিশীলতার বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে। ওবামার দৃষ্টিতে, কূটনীতির মাধ্যমে চুক্তি করে ইরানকে তার অভিষ্ট পারমানবিক লক্ষ্য থেকে দূরে রাখাই হচ্ছে এই এলাকার অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় সুযোগ। অন্য দিকে, সুন্নী সৌদি সরকার মনে করছে, চুক্তির বিনিময়ে শিয়াশাসিত ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার ফল হবে অর্থনৈতিকভাবে দেশটির আরো শক্তিশালী হয়ে উঠা। এতে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রাখতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারবে উচ্চাকাঙ্খী দেশটি। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সৌদি এবং আমেরিকানরা পরস্পরের সহযোগিতা করলেও রিয়াদ চাচ্ছে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদকে হঠাতে যুক্তরাষ্ট্র আরো জোরালো পদক্ষেপ নিক। কিন্তু সেখানে হস্তক্ষেপ করতে ওবামা অনেকটা নিস্পৃহ। আবার অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্রের জন্য যে আকাঙ্খা দেখা যাচ্ছে সেটাকে এখানকার জন্য ভাল বলে ওবামা প্রচার করলেও সৌদি আরব এখনো বয়ে চলা আরব বসন্তের বাতাসকে তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে দেখছে। এসব বিরোধের মধ্যেই টেক্সাসের নর্থ ডাকোটায় তেল উৎপাদনে বন্যা বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে জ্বালানির রাজনীতিও গতিপরির্তন করেছে। বিদেশী তেলের উপর নির্ভরতা কমে যাওয়ায় সৌদি আরবের তেল সরবরাহের ভয়ে ভিত না হয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখন গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারবে। তবে ইউক্রেন বিতর্কের কারণে রাশিয়ার তেলনির্ভর অর্থনীতিকে গলাটিপে ধরতে তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে অবশ্য এখনো রিয়াদের উপরেই নির্ভরশীল রয়েছে ওয়াশিংটন। বাদশাহ সালমান এবং তাকে অনুসরণ করে আরো কয়েকটি দেশের প্রধানদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সমালোচকরা মধ্যপ্রাচ্যে ইস্যুগুলোকে একটা ভাল অবস্থায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ওবামার ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন। রিপাবলিকান সিনেটর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন ম্যাককেইন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরিকে দায়ী করে বলেন, তিনি সৌদির সংকেতগুলোকে বুঝতে পারেননি। ‘তিনি মাঝে মাঝে নিজের বিভিন্ন বিষয়কে প্রকৃতঅর্থে না করে ইচ্ছামতো ব্যাখ্যা করে থাকেন। এদিকে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি যুবরাজরাও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ফলে তাদের সাথেই ইস্যুগুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হতে পারে। এর জবাবে ওবামা প্রশাসনের সাবেক একজন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী তামারা কফম্যান উইটস বলেন, কেউ যদি মনে করে যে, যা ঘটে গেল এরপরও সম্মেলনের মাধ্যমে সব সমস্যার ইতি ঘটিয়ে ফেলবেন তারা আসলে শিশুসুলভ আচরণ করছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের King’s Absence at Meeting Signals a Saudi-U.S. Marriage Adrift শীর্ষক নিবন্ধের সংক্ষেপিত অনুবাদ মন্তব্য আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনওয়াশিংটন: ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাত . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)- কে নিয়ে কার্টুন প্রদর্শনীর বাইরে রবিব . . . বিস্তারিত
Tuesday, May 12, 2015
বিশ্লেষণ: সৌদি-যুক্তরাষ্ট্রের পিরিতে ভাটার টান!:আরটিএনএন
থানে রয়েছে। বাদশাহর এই অনুপস্থিতি ‘মোটেও প্রত্যাখ্যানমূলক নয়’ বলে সোমবার যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদির পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও দুই দেশের মধ্যে অন্তত চারটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অব্যাহতভাবে যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। বিষয় চারটি হল- এক. ইরানের সাথে পরমাণু চুক্তির ব্যাপারে ওবামা প্রশাসনের আগ্রহ। দুই. মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট বা আইএসের উত্থান। তিন. আরব বসন্ত নামে এই এলাকায় চলমান অস্থিতিশীলতা। এবং চার. বিশ্বের জ্বালানি বাজারে বড় ধরনের পরিবর্তন। বিশেষ করে আমেরিকার তেল উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশটির রিয়াদের ওপর নির্ভরতা অনেক কমে গেছে। এর ফলে কয়েক দশক ধরে চলে আসা ক্ষমতার হিসাব নিকাশে পরিবর্তন চলে এসেছে। এসব বিষয়ে বোঝাপড়ার মাধ্যমে দূরত্ব কমিয়ে আনতে হোয়াইট হাউজ এবং ক্যাম্প ডেভিডে পারস্য উপসাগরবর্তী দেশগুলোর নেতাদের সাথে এ সপ্তাহের সম্মেলন এবং বৈঠকগুলোর আয়োজন করা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে সুযোগ হাতছাড়া হল। এখন যদি দুই দেশ তাদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে নতুন পথ অবলম্বন করে তাহলে ভবিষ্যত আরো অনেক জঠিল হয়ে উঠবে। হোয়াইট হাউজে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সমন্বয়কের পদ থেকে গত মাসে পদত্যাগ করা ফিলিপ গর্ডন বলেন, এটা ঠিক যে, দুই দেশের মধ্যে মতবিরোধী নিয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তবে এটা কোনো আবেগের সম্পর্ক নয়। উভয় পক্ষেরই স্বার্থ আছে। এখন আমরা যদি তাদের মৌলিক স্বার্থগুলো সংরক্ষণে ইচ্ছুক হই তাহলে তারাও আমাদেরটা সংরক্ষণে ইচ্ছুক হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, উভয় পক্ষ ইচ্ছুক কিনা? ৭০ বছর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট তৎকালীন বাদশাহ আবদুল আজিজের সাথে সাক্ষাৎ করার পর থেকে সৌদি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক দুপক্ষের অভিন্ন স্বার্থ এবং ভিন্ন মূল্যবোধের নানা জঠিলতার মধ্যে দিয়েই এগিয়েছে। এতদিন দুপক্ষেরই একটা অভিন্ন আকাঙ্খা ছিল। আর সেটা হচ্ছে, স্থিতিশীলতা। কিন্তু বর্তমানে এই স্থিতিশীলতার বিষয়টি ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে। ওবামার দৃষ্টিতে, কূটনীতির মাধ্যমে চুক্তি করে ইরানকে তার অভিষ্ট পারমানবিক লক্ষ্য থেকে দূরে রাখাই হচ্ছে এই এলাকার অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় সুযোগ। অন্য দিকে, সুন্নী সৌদি সরকার মনে করছে, চুক্তির বিনিময়ে শিয়াশাসিত ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার ফল হবে অর্থনৈতিকভাবে দেশটির আরো শক্তিশালী হয়ে উঠা। এতে এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা জিইয়ে রাখতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে পারবে উচ্চাকাঙ্খী দেশটি। ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সৌদি এবং আমেরিকানরা পরস্পরের সহযোগিতা করলেও রিয়াদ চাচ্ছে সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদকে হঠাতে যুক্তরাষ্ট্র আরো জোরালো পদক্ষেপ নিক। কিন্তু সেখানে হস্তক্ষেপ করতে ওবামা অনেকটা নিস্পৃহ। আবার অন্যদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্রের জন্য যে আকাঙ্খা দেখা যাচ্ছে সেটাকে এখানকার জন্য ভাল বলে ওবামা প্রচার করলেও সৌদি আরব এখনো বয়ে চলা আরব বসন্তের বাতাসকে তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে দেখছে। এসব বিরোধের মধ্যেই টেক্সাসের নর্থ ডাকোটায় তেল উৎপাদনে বন্যা বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে জ্বালানির রাজনীতিও গতিপরির্তন করেছে। বিদেশী তেলের উপর নির্ভরতা কমে যাওয়ায় সৌদি আরবের তেল সরবরাহের ভয়ে ভিত না হয়ে যুক্তরাষ্ট্র এখন গা ঝাড়া দিয়ে উঠতে পারবে। তবে ইউক্রেন বিতর্কের কারণে রাশিয়ার তেলনির্ভর অর্থনীতিকে গলাটিপে ধরতে তেলের মূল্য নিয়ন্ত্রণে অবশ্য এখনো রিয়াদের উপরেই নির্ভরশীল রয়েছে ওয়াশিংটন। বাদশাহ সালমান এবং তাকে অনুসরণ করে আরো কয়েকটি দেশের প্রধানদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে সমালোচকরা মধ্যপ্রাচ্যে ইস্যুগুলোকে একটা ভাল অবস্থায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ওবামার ব্যর্থতা হিসেবেই দেখছেন। রিপাবলিকান সিনেটর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জন ম্যাককেইন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরিকে দায়ী করে বলেন, তিনি সৌদির সংকেতগুলোকে বুঝতে পারেননি। ‘তিনি মাঝে মাঝে নিজের বিভিন্ন বিষয়কে প্রকৃতঅর্থে না করে ইচ্ছামতো ব্যাখ্যা করে থাকেন। এদিকে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা বলছেন, সৌদি যুবরাজরাও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ফলে তাদের সাথেই ইস্যুগুলো নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হতে পারে। এর জবাবে ওবামা প্রশাসনের সাবেক একজন সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী তামারা কফম্যান উইটস বলেন, কেউ যদি মনে করে যে, যা ঘটে গেল এরপরও সম্মেলনের মাধ্যমে সব সমস্যার ইতি ঘটিয়ে ফেলবেন তারা আসলে শিশুসুলভ আচরণ করছেন। নিউইয়র্ক টাইমসের King’s Absence at Meeting Signals a Saudi-U.S. Marriage Adrift শীর্ষক নিবন্ধের সংক্ষেপিত অনুবাদ মন্তব্য আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনওয়াশিংটন: ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের হাত . . . বিস্তারিত আন্তর্জাতিক ডেস্কআরটিএনএনঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)- কে নিয়ে কার্টুন প্রদর্শনীর বাইরে রবিব . . . বিস্তারিত
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment