
বেগম সালাহউদ্দিন বলেছেন, তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আছে। এসব ঘটনা কী, তা বর্তমানে মিথ্যাচারে পরিণত হয়েছে। সালাহউদ্দিনের গুমের বিষয়ে বিএনপি দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরের পর তা বিএনপির মিথ্যাচার প্রমাণ হয়েছে। জনগণ বিএনপির কোনো মিথ্যচারে বিভ্রান্ত হবে না।” মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যেমন অবদান, তেমনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমান অবদান। ১৪ দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেকোনো সুবিধাজনক সময়ে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।” ১৪ দলের বৈঠকে সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শুধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানানোর নিন্দা জানানো হয়। পরে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “সীমান্ত বিল পাস হওয়ার পর খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে খাটো করে দেয়া বিবৃতি লজ্জাজনক। দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে দুই পক্ষের সমান কৃতিত্ব থাকে। এখানে মোদির কৃতিত্বের চেয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কৃতিত্ব বেশি। সরকারকে খাটো করা মানে দেশকে খাটো করা।” মেনন বলেন, “বিরোধীদলীয় নেত্রী এবারও পারলেন না। ভারতের সব রাজনৈতিক দল এক হয়ে এই চুক্তি পাস করেছে। এদিক থেকে তিনি ভারত থেকে শিখতে পারতেন। এত দিন তিনি কংগ্রেসের দালালি করে কিছু পাননি। এখন মোদির দালালি করে কী পাবেন?” বনমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, “জাতিগতভাবে সকলের এটার প্রশংসা করা উচিত ছিল। সীমান্ত চুক্তি করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দূরদর্শিতা ও গোপনীয়তা বজায় রেখেছিলেন। এটা নিয়ে তিনি কী করছেন, এটা তার ক্যাবিনেটের অনেকে জানতেন না। এটা তার একক কৃতিত্ব। এ জন্য ১৪ দলের পক্ষ থেকে নয়, জাতির পক্ষ থেকে তাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।” ১৪ দলের বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন ত্রাণমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, বাসদের আহ্বায়ক রেজউর রশীদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। নতুন বার্তা/জিহ
No comments:
Post a Comment