দ, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় এবং এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। এছাড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত রিকশাওয়ালার নাম মোজাম্মেল বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিএমপির গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাহসিকতার জন্য এ ৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এসময় ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া তাদের হাতে পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন। তবে টাকার পরিমান জানানো হয়নি। এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘টাকার পরিমানটা বড় বিষয় নয়, মূল কথা হচ্ছে তারা যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক এমন সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসুক। তাহলে আর রাজধানীতে নাশকতা বা সহিসংসতার বলি হয়ে কাউকে প্রাণ হারাতে হবে না।’ রিকশাওয়ালা মোজাম্মেল ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কাঁটাবনে বাইতুল আমান মসজিদের সামনে ককটেল হামলাকালে একজনকে ধরিয়ে দেন। অপরদিকে, তিন ছাত্রলীগ নেতা জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে চানখারপুর এলাকায় এক ককটেল নিক্ষেপকারীকে ধরিয়ে দেয়ায় তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। রিকশাওয়ালা মোজাম্মেলকে ডিএপির পক্ষ থেকে অর্থ প্রদানকালে তাকে আরো এক প্রত্যাক্ষদর্শী ৫০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেয় বলেও জানা যায়। অনুষ্ঠান শেষে চলমান সহিসংসতার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে ১১টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্তত ১৬৮ যানবাহনেরর অংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, রাজধানীতে দায়িত্বপালন কালে ৪৪ পুলিশ সদস্য এবং ২ আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। কর্তব্য পালনকালে নিহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। মামলার একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরে কমিশনার জানান, নাশকতার সময় রাজধানীতে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে ১৮৬ জনকে। যাদের মধ্যে ৮৪ জন জামায়াত-শিবিরকর্মী, আর ১০২ জন বিএনপি কর্মী। এছাড়া এ পর্যন্ত রাজধানীতে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ১ হাজার ১০ জনকে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়েছে ৩০ জনকে, যার মধ্যে সবাই বিএনপি কর্মী। পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গোপনীয়তার স্বার্থে কতটি পুরস্কার দিয়েছি, তা বলবো না। তবে পুরস্কৃতের সংখ্যা ১৫ জনেরও বেশি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম যে, ৭ দিনের মধ্যে রাজধানীর পরিবেশ স্বাভাবিক করে আনবো। নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন গত দু’দিনে রাজধানীতে কোনো অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। আশা করছি খুব দ্রুত রাজধানীর সার্বিক পরিবেশ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে পারবো।’ কমিশনার বলেন, ‘৫ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে অবরোধ-হরতালের নামে নাশকতা, সহিংসতা, ককটেল, পেট্রোলবোমা হামলার মাধ্যমে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা চলছে। যা রুখতে ইতিমধ্যেই আমরা নগরবাসীকে আহ্বান জানিয়েছি। কারণ নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া নাশকতাকারীদের ধরা সম্ভব না। আর তাই নগরবাসীর কাছ থেকেও আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’ পুরস্কার হাতে তুলে নিয়ে রিকশাওয়ালা মোজাম্মেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘হেইদিন রাতে মনে অইছিল, জীবনের ঝুঁকি নিয়া বোমাবাজ ধরতে যাওয়াটা মনে হয় ভুলই আছিল। কিন্তু আইজ বুঝলাম, হেইদিন ভুল করি নাই। আর আগামীতেও এমন কোনো নাশকতাকারী দেখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাইয়া দিমু।’ এদিকে, পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ওইদিন সকালে চানখারপুলে চুল কেটে হলের উদ্দেশে ফিরছিলাম। এসময় হঠাৎ দেখি দুই যুব্ক ককটেল নিক্ষেপ করে পালাচ্ছে। তখন আমরা তিনজন তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলি। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ‘প্রাপ্ত পুরস্কার কি করবেন?’জানতে চাইলে তিনজন একই সুরে বলে ওঠেন, জানি এটা খুব সামান্য, তারপরও প্রাপ্ত এই অর্থ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য দিতে চাই। উল্লেখ্য, পুরস্কৃত ঢাবির ৩ ছাত্রের মধ্যে রুহুল আমিন সমাজকল্যাণ বিভাগে মাস্টার্স করছেন। তিনি থাকেন এফ রহমান হলে। ইয়াজ আল রিয়াদ ইসলামের ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া আইন বিভাগে মাস্টার্স করছেন জয়। তিনি জহুরুল হক হলের ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার মিলি বিশ্বাস, ডিসি (ডিএমপি) কৃষ্ণপদ রায়, ডিসি (মিডিয়া) মনিরুল ইসলাম, এডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান, শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। জে আই, কেবি
Wednesday, February 11, 2015
ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে ডিএমপি'র পুরস্কার:Time News
ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জনকে ডিএমপি'র পুরস্কার স্টাফ করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১৫:৩১:৫৪ রাজধানীতে ককটেল বহনকারীদের ধরিয়ে দিয়ে ডিএমপির পুরস্কার পেলেন দুই ছাত্রলীগ নেতা ও এক রিকশাচালকসহ ৪ জন। ঢাকা মহানগর মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপির পক্ষ থেকে পুরস্কারপ্রাপ্ত তিন ছাত্র নেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হলের সাধারণ সম্পাদক। এরা হলেন ঢাবি বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়া
দ, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় এবং এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। এছাড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত রিকশাওয়ালার নাম মোজাম্মেল বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিএমপির গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাহসিকতার জন্য এ ৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এসময় ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া তাদের হাতে পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন। তবে টাকার পরিমান জানানো হয়নি। এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘টাকার পরিমানটা বড় বিষয় নয়, মূল কথা হচ্ছে তারা যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক এমন সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসুক। তাহলে আর রাজধানীতে নাশকতা বা সহিসংসতার বলি হয়ে কাউকে প্রাণ হারাতে হবে না।’ রিকশাওয়ালা মোজাম্মেল ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কাঁটাবনে বাইতুল আমান মসজিদের সামনে ককটেল হামলাকালে একজনকে ধরিয়ে দেন। অপরদিকে, তিন ছাত্রলীগ নেতা জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে চানখারপুর এলাকায় এক ককটেল নিক্ষেপকারীকে ধরিয়ে দেয়ায় তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। রিকশাওয়ালা মোজাম্মেলকে ডিএপির পক্ষ থেকে অর্থ প্রদানকালে তাকে আরো এক প্রত্যাক্ষদর্শী ৫০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেয় বলেও জানা যায়। অনুষ্ঠান শেষে চলমান সহিসংসতার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে ১১টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্তত ১৬৮ যানবাহনেরর অংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, রাজধানীতে দায়িত্বপালন কালে ৪৪ পুলিশ সদস্য এবং ২ আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। কর্তব্য পালনকালে নিহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। মামলার একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরে কমিশনার জানান, নাশকতার সময় রাজধানীতে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে ১৮৬ জনকে। যাদের মধ্যে ৮৪ জন জামায়াত-শিবিরকর্মী, আর ১০২ জন বিএনপি কর্মী। এছাড়া এ পর্যন্ত রাজধানীতে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ১ হাজার ১০ জনকে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়েছে ৩০ জনকে, যার মধ্যে সবাই বিএনপি কর্মী। পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গোপনীয়তার স্বার্থে কতটি পুরস্কার দিয়েছি, তা বলবো না। তবে পুরস্কৃতের সংখ্যা ১৫ জনেরও বেশি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম যে, ৭ দিনের মধ্যে রাজধানীর পরিবেশ স্বাভাবিক করে আনবো। নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন গত দু’দিনে রাজধানীতে কোনো অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। আশা করছি খুব দ্রুত রাজধানীর সার্বিক পরিবেশ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে পারবো।’ কমিশনার বলেন, ‘৫ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে অবরোধ-হরতালের নামে নাশকতা, সহিংসতা, ককটেল, পেট্রোলবোমা হামলার মাধ্যমে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা চলছে। যা রুখতে ইতিমধ্যেই আমরা নগরবাসীকে আহ্বান জানিয়েছি। কারণ নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া নাশকতাকারীদের ধরা সম্ভব না। আর তাই নগরবাসীর কাছ থেকেও আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’ পুরস্কার হাতে তুলে নিয়ে রিকশাওয়ালা মোজাম্মেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘হেইদিন রাতে মনে অইছিল, জীবনের ঝুঁকি নিয়া বোমাবাজ ধরতে যাওয়াটা মনে হয় ভুলই আছিল। কিন্তু আইজ বুঝলাম, হেইদিন ভুল করি নাই। আর আগামীতেও এমন কোনো নাশকতাকারী দেখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাইয়া দিমু।’ এদিকে, পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ওইদিন সকালে চানখারপুলে চুল কেটে হলের উদ্দেশে ফিরছিলাম। এসময় হঠাৎ দেখি দুই যুব্ক ককটেল নিক্ষেপ করে পালাচ্ছে। তখন আমরা তিনজন তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলি। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ‘প্রাপ্ত পুরস্কার কি করবেন?’জানতে চাইলে তিনজন একই সুরে বলে ওঠেন, জানি এটা খুব সামান্য, তারপরও প্রাপ্ত এই অর্থ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য দিতে চাই। উল্লেখ্য, পুরস্কৃত ঢাবির ৩ ছাত্রের মধ্যে রুহুল আমিন সমাজকল্যাণ বিভাগে মাস্টার্স করছেন। তিনি থাকেন এফ রহমান হলে। ইয়াজ আল রিয়াদ ইসলামের ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া আইন বিভাগে মাস্টার্স করছেন জয়। তিনি জহুরুল হক হলের ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার মিলি বিশ্বাস, ডিসি (ডিএমপি) কৃষ্ণপদ রায়, ডিসি (মিডিয়া) মনিরুল ইসলাম, এডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান, শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। জে আই, কেবি
দ, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয় এবং এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন। এছাড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত রিকশাওয়ালার নাম মোজাম্মেল বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে রাজধানীর মিন্টুরোডে ডিএমপির গণমাধ্যম কার্যালয়ে সাহসিকতার জন্য এ ৪ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। এসময় ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া তাদের হাতে পুরস্কার হিসেবে নগদ টাকা তুলে দেন। তবে টাকার পরিমান জানানো হয়নি। এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘টাকার পরিমানটা বড় বিষয় নয়, মূল কথা হচ্ছে তারা যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, আমরা চাই দেশের প্রত্যেকটি নাগরিক এমন সাহসিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসুক। তাহলে আর রাজধানীতে নাশকতা বা সহিসংসতার বলি হয়ে কাউকে প্রাণ হারাতে হবে না।’ রিকশাওয়ালা মোজাম্মেল ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কাঁটাবনে বাইতুল আমান মসজিদের সামনে ককটেল হামলাকালে একজনকে ধরিয়ে দেন। অপরদিকে, তিন ছাত্রলীগ নেতা জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে চানখারপুর এলাকায় এক ককটেল নিক্ষেপকারীকে ধরিয়ে দেয়ায় তাদের এ পুরস্কার দেয়া হয়। রিকশাওয়ালা মোজাম্মেলকে ডিএপির পক্ষ থেকে অর্থ প্রদানকালে তাকে আরো এক প্রত্যাক্ষদর্শী ৫০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেয় বলেও জানা যায়। অনুষ্ঠান শেষে চলমান সহিসংসতার একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রাজধানীতে ১১টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অন্তত ১৬৮ যানবাহনেরর অংশিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, রাজধানীতে দায়িত্বপালন কালে ৪৪ পুলিশ সদস্য এবং ২ আনসার সদস্য আহত হয়েছেন। কর্তব্য পালনকালে নিহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। মামলার একটি সংক্ষিপ্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরে কমিশনার জানান, নাশকতার সময় রাজধানীতে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে ১৮৬ জনকে। যাদের মধ্যে ৮৪ জন জামায়াত-শিবিরকর্মী, আর ১০২ জন বিএনপি কর্মী। এছাড়া এ পর্যন্ত রাজধানীতে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে ১ হাজার ১০ জনকে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সাজা দিয়েছে ৩০ জনকে, যার মধ্যে সবাই বিএনপি কর্মী। পুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘গোপনীয়তার স্বার্থে কতটি পুরস্কার দিয়েছি, তা বলবো না। তবে পুরস্কৃতের সংখ্যা ১৫ জনেরও বেশি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি কথা দিয়েছিলাম যে, ৭ দিনের মধ্যে রাজধানীর পরিবেশ স্বাভাবিক করে আনবো। নিশ্চয়ই আপনারা দেখেছেন গত দু’দিনে রাজধানীতে কোনো অগ্নিসংযোগ বা নাশকতার ঘটনা ঘটেনি। আশা করছি খুব দ্রুত রাজধানীর সার্বিক পরিবেশ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে পারবো।’ কমিশনার বলেন, ‘৫ জানুয়ারি থেকে সারাদেশে অবরোধ-হরতালের নামে নাশকতা, সহিংসতা, ককটেল, পেট্রোলবোমা হামলার মাধ্যমে ভীতি সঞ্চারের চেষ্টা চলছে। যা রুখতে ইতিমধ্যেই আমরা নগরবাসীকে আহ্বান জানিয়েছি। কারণ নগরবাসীর সহযোগিতা ছাড়া নাশকতাকারীদের ধরা সম্ভব না। আর তাই নগরবাসীর কাছ থেকেও আমরা ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।’ পুরস্কার হাতে তুলে নিয়ে রিকশাওয়ালা মোজাম্মেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘হেইদিন রাতে মনে অইছিল, জীবনের ঝুঁকি নিয়া বোমাবাজ ধরতে যাওয়াটা মনে হয় ভুলই আছিল। কিন্তু আইজ বুঝলাম, হেইদিন ভুল করি নাই। আর আগামীতেও এমন কোনো নাশকতাকারী দেখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাইয়া দিমু।’ এদিকে, পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ওইদিন সকালে চানখারপুলে চুল কেটে হলের উদ্দেশে ফিরছিলাম। এসময় হঠাৎ দেখি দুই যুব্ক ককটেল নিক্ষেপ করে পালাচ্ছে। তখন আমরা তিনজন তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলি। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ‘প্রাপ্ত পুরস্কার কি করবেন?’জানতে চাইলে তিনজন একই সুরে বলে ওঠেন, জানি এটা খুব সামান্য, তারপরও প্রাপ্ত এই অর্থ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য দিতে চাই। উল্লেখ্য, পুরস্কৃত ঢাবির ৩ ছাত্রের মধ্যে রুহুল আমিন সমাজকল্যাণ বিভাগে মাস্টার্স করছেন। তিনি থাকেন এফ রহমান হলে। ইয়াজ আল রিয়াদ ইসলামের ইতিহাস বিভাগে মাস্টার্স করছেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া আইন বিভাগে মাস্টার্স করছেন জয়। তিনি জহুরুল হক হলের ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার মিলি বিশ্বাস, ডিসি (ডিএমপি) কৃষ্ণপদ রায়, ডিসি (মিডিয়া) মনিরুল ইসলাম, এডিসি (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান, শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। জে আই, কেবি
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment