্প উৎস থেকে আমদানি ও দেশেই গরু ও মহিষ লালনপালন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা। এ দাবিতে রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতৃতত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময়পরিবহন সংকটের কারণে ঢাকায় গরুর মাংসের দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর ভারতও বাংলাদেশ গরু রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে। ফলে গত চার মাসে গরুর মাংসের দাম কেজিত প্রায় ৮০ টাকা বেড়েছে। এ সময় অন্যান্য মাংসের দামও বেড়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ইতিমধ্যে বাণিজ্য, কৃষি ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় গরু-মহিষও নিঃশেষ হচ্ছে। তিনি বলেন, বিকল্প হিসাবে নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার থেকে আমদানির চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে মাংস রপ্তানি বন্ধ করারও দাবি জানান তিনি। রবিউল বলেন, ‘সময় থাকতে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।’ তিনি বলেন,‘যুব সমাজকে সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি ঋণ দিয়ে আমাদের চরাঞ্চল, বনাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলে গরু,মহিষ লালন-পালনের কাজে লাগতে হবে। আর লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ফরাক্কা দিয়ে ভারত যেমন বর্ষাকালে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের দেশ ডুবিয়ে দেয় তেমনি কুরবানীর ঈদে অবাধে গরু-মহিষ ছেড়ে দিয়ে আমাদের কৃষকের সর্বশান্ত করতে না পারে।’ তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে গরু আমদানি বাবদ প্রতি বছর ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় অথচ গরু-মহিষ লালন পালনের কাজে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করলে দেশের চাহিদা পূরণ করে মাংস ও পশুর বর্জ্য রপ্তানি করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটানো যায়। সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, প্রতি বছর ভারত থেকে প্রায় ২৫ লাখ গরু বাংলাদেশে পাচার হয়। সংগঠনের সভাপতি গোলাম মুর্তজার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কাজী আনোয়ার হোসেন, শামীম আনোয়ার খলিলুর রহমান, তারেক আহম্মেদ প্রমুখ। মন্তব্য
Sunday, May 17, 2015
গরু আমদানিতে বছরে ব্যয় ৬০ হাজার কোটি টাকা!:আরটিএনএন
্প উৎস থেকে আমদানি ও দেশেই গরু ও মহিষ লালনপালন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা। এ দাবিতে রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি নেতৃতত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধের সময়পরিবহন সংকটের কারণে ঢাকায় গরুর মাংসের দাম বাড়তে শুরু করে। এরপর ভারতও বাংলাদেশ গরু রপ্তানির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে। ফলে গত চার মাসে গরুর মাংসের দাম কেজিত প্রায় ৮০ টাকা বেড়েছে। এ সময় অন্যান্য মাংসের দামও বেড়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, এসব বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য ইতিমধ্যে বাণিজ্য, কৃষি ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশীয় গরু-মহিষও নিঃশেষ হচ্ছে। তিনি বলেন, বিকল্প হিসাবে নেপাল, ভুটান, মিয়ানমার থেকে আমদানির চেষ্টা করতে হবে। বাংলাদেশ থেকে মাংস রপ্তানি বন্ধ করারও দাবি জানান তিনি। রবিউল বলেন, ‘সময় থাকতে প্রায়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলে কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা ভাবতে কষ্ট হচ্ছে।’ তিনি বলেন,‘যুব সমাজকে সমবায়ের মাধ্যমে কৃষি ঋণ দিয়ে আমাদের চরাঞ্চল, বনাঞ্চল ও পাহাড়ি অঞ্চলে গরু,মহিষ লালন-পালনের কাজে লাগতে হবে। আর লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে ফরাক্কা দিয়ে ভারত যেমন বর্ষাকালে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের দেশ ডুবিয়ে দেয় তেমনি কুরবানীর ঈদে অবাধে গরু-মহিষ ছেড়ে দিয়ে আমাদের কৃষকের সর্বশান্ত করতে না পারে।’ তিনি আরো বলেন, ভারত থেকে গরু আমদানি বাবদ প্রতি বছর ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয় অথচ গরু-মহিষ লালন পালনের কাজে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচ করলে দেশের চাহিদা পূরণ করে মাংস ও পশুর বর্জ্য রপ্তানি করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটানো যায়। সম্প্রতি ভারতের ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, প্রতি বছর ভারত থেকে প্রায় ২৫ লাখ গরু বাংলাদেশে পাচার হয়। সংগঠনের সভাপতি গোলাম মুর্তজার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কাজী আনোয়ার হোসেন, শামীম আনোয়ার খলিলুর রহমান, তারেক আহম্মেদ প্রমুখ। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment