Wednesday, May 20, 2015

হ্যাপির নারাজির শুনানি শেষ:আরটিএনএন

হ্যাপির নারাজির শুনানি শেষ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের অব্যহতি চেয়ে তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির নারাজি আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হ্যাপির এই নারাজি আবেদনের শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে বিচারক তানজিনা ইসমাইল পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। রুব
েলের পক্ষে শুনানি করেন, ঢাকা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। হ্যাপির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপন ও অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার। এর আগে হ্যাপির পক্ষে নারাজি দাখিল করেছিলেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তুহিন হাওলাদার। তিনি বলেছিলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তা সঠিকভাবে মামিলাটির ঘটনাবলী তদন্ত করেননি। তদন্ত কর্মকর্তা বাদীকে তার সাক্ষীদের হাজির করার জন্য কোনো নোটিশ দেননি এবং বাদীর সাক্ষীদের কোনো বক্তব্য না নিয়েই তিনি এই প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, যা বাদী কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বিধায় তিনি নারাজি দাখিল করেন।’ এর আগে গত ১৯ মার্চ রুবেলের অব্যাহতি চেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্র্তা নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক হালিমা খাতুন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিকটিম হ্যাপিকে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হলে তিন সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড জানায় সম্প্রতি হ্যাপির শরীরে কোথাও জোরপূর্বক ধর্ষণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হ্যাপির দাবি অনুযায়ী রুবেলের পরিহিত জার্সি, পাপোষ এবং নাইটি পরীক্ষা করে তাতে রুবেলের কোন বীর্য পাওয়া যায়নি মর্মে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দেন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, হ্যাপি একজন প্রাপ্তবয়স্ক, মিডিয়াতে কাজ করা সচেতন ও আধুনিক একজন ব্যক্তি। প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া সত্বেও বিবাহ নামক সম্পর্ক ছাড়া যদি তিনি রুবেলের সঙ্গে মেলামেশা করে থাকেন তবে সেটা তার সম্মতিতেই হতে পারে। কিন্তু বাদীর অভিযোগ মতে সেটা ধর্ষণের সংজ্ঞার মধ্যে পড়ে না। তাছাড়া হ্যাপি তার বক্তব্যের সমর্থনে কোনো সাক্ষ্য প্রমান হাজির করতে পারেনি বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। হ্যাপি রুবেলের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয় বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। গত ১৩ ডিসেম্বর নবাগত অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। মন্তব্য      

No comments:

Post a Comment