র্ণ নির্বাচন হতো। গণতন্ত্রও পূর্ণতা পেত।” তিনি বলেন, “১৯৪৬ সালের নির্বাচনসহ সব নির্বাচন দেখেছি। এসব নির্বাচনের ছোটখাটো ভুল থাকতে পারে। কিন্তু নর্থ-সাউথ এবং চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনের সাথে ওই নির্বাচনের তুলনা হতে পারে না। এটার সঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা হতে পারে। ” তিনি আরো বলেন, “সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সংলাপের কাজটি করতে চেয়েছিলাম। নির্বাচন ছিল সংলাপের মূল লক্ষ্য কিন্তু গতকালের নির্বাচন বিগত যেকোনো নির্বাচনের সঙ্গে তুলনাযোগ্য নয়। তাই আমরা এ নির্বাচনকে আবর্জনা হিসেবে উল্লেখ করেছি। এবং এ নির্বাচনকে বাতিল করার দাবি জানিয়েছি।’ প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, “এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছোটখাটো আর কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।” ‘হারলে বর্জন আর জিতলে ঠিক আছে’-প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে এমাজউদ্দিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ স্থানে বসে আছেন। তার বিষয়ে সমালোচনা করতে চাই না।” শওকত মাহমুদ বলেন, “আমাদের দাবিগুলোর প্রতি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বোধগম্য হবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো কর্মসূচি দেয়ার চিন্তা করছি না। আমরা আদর্শ ঢাকা গড়ার জন্য এশতেহার দিয়েছিলাম। সে লক্ষেই কাজ করেছি।” বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ফোনালাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে যে ফোনালাপ প্রকাশের কথা বলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। নির্বাচন বর্জনের কোনো পরিকল্পনাই আমাদের ছিল না। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই, প্রায় ৯০ শতাংশ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” বিএনপি লাভবান হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে শওকত মাহমুদ বলেন, “এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে কিছু বলতে পারছি না, তবে নাগরিক হিসেবে বলতে পারি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের প্রধান থাকাকালীন সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয় তা প্রমাণিত হলো।” লিখিত বক্তব্যে শওকত মাহমুদ আরো বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম, তার সব কিছুর উর্ধ্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে তুলে ধরে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা হিমালয়চুম্বি এবং ক্ষমার অযোগ্য।” তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেইং ফিল্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।। সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নে পালন করেছে আজ্ঞাবহ ভূমিকা। সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে নাটক করেছে তা একটি ঘৃণ্য নজির ছাড়া আর কিছুই না।” শওকত মাহমুদ বলেন, “গতকাল যা করেছে তাকে নির্বাচন না বলে নির্লজ্জ প্রহসন বলাই শ্রেয়। স্থানীয় সরকারে এই রকম জঘন্য নির্বাচন আমাদের ইতিহাসে আর হয়েছে কিনা জানি না। নির্বাচন কমিশন সরকারের মর্জি পূরণ করে নির্বাচনের নামে তামাশার মাধ্যমে জিতিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগকে কিন্তু হারিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রকে।” সিটি নির্বাচনে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ-র্যাব ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও গায়ের জোরে ব্যালট পেপারে সিল মেরে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্র ক্ষমতা দখরের মতো তিন সিটির মেয়র পদও অস্ত্র ও পেশীর বলে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে।” আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের এই সদস্য সচিব বলেন, “গতকালের নির্বাচন ছিল জাতির ইতিহাসে এক মাহকলংকজনক ঘটনা। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডারদের স্বেচ্ছাচারিতায় পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। এই রকমভাবে প্রকাশ্যে ভোট চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় আমরা বিস্মিত, গোটা জাতি হতভম্ব। আমরা উৎকন্ঠিত। আমরা আতঙ্কিত। আমরা উদ্বিগ্ন দেশের ও গণতন্ত্রের ভবিষৎ নিয়ে।” সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সদস্য সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ প্রমুখ। নতুন বার্তা/এসএ
Wednesday, April 29, 2015
‘তামাশা’র নির্বাচন বাতিল ও ইসির পদত্যাগ দাবি :নতুন বার্তা
র্ণ নির্বাচন হতো। গণতন্ত্রও পূর্ণতা পেত।” তিনি বলেন, “১৯৪৬ সালের নির্বাচনসহ সব নির্বাচন দেখেছি। এসব নির্বাচনের ছোটখাটো ভুল থাকতে পারে। কিন্তু নর্থ-সাউথ এবং চট্টগ্রামের সিটি নির্বাচনের সাথে ওই নির্বাচনের তুলনা হতে পারে না। এটার সঙ্গে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা হতে পারে। ” তিনি আরো বলেন, “সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা সংলাপের কাজটি করতে চেয়েছিলাম। নির্বাচন ছিল সংলাপের মূল লক্ষ্য কিন্তু গতকালের নির্বাচন বিগত যেকোনো নির্বাচনের সঙ্গে তুলনাযোগ্য নয়। তাই আমরা এ নির্বাচনকে আবর্জনা হিসেবে উল্লেখ করেছি। এবং এ নির্বাচনকে বাতিল করার দাবি জানিয়েছি।’ প্রবীণ এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, “এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে ছোটখাটো আর কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।” ‘হারলে বর্জন আর জিতলে ঠিক আছে’-প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে এমাজউদ্দিন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ স্থানে বসে আছেন। তার বিষয়ে সমালোচনা করতে চাই না।” শওকত মাহমুদ বলেন, “আমাদের দাবিগুলোর প্রতি সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বোধগম্য হবে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো কর্মসূচি দেয়ার চিন্তা করছি না। আমরা আদর্শ ঢাকা গড়ার জন্য এশতেহার দিয়েছিলাম। সে লক্ষেই কাজ করেছি।” বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের ফোনালাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে যে ফোনালাপ প্রকাশের কথা বলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। নির্বাচন বর্জনের কোনো পরিকল্পনাই আমাদের ছিল না। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই, প্রায় ৯০ শতাংশ এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” বিএনপি লাভবান হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে শওকত মাহমুদ বলেন, “এ ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে কিছু বলতে পারছি না, তবে নাগরিক হিসেবে বলতে পারি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের প্রধান থাকাকালীন সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয় তা প্রমাণিত হলো।” লিখিত বক্তব্যে শওকত মাহমুদ আরো বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম, তার সব কিছুর উর্ধ্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে তুলে ধরে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে। কিন্তু এক্ষেত্রে তাদের ব্যর্থতা হিমালয়চুম্বি এবং ক্ষমার অযোগ্য।” তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন লেভেল প্লেইং ফিল্ড দিতে ব্যর্থ হয়েছে।। সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নে পালন করেছে আজ্ঞাবহ ভূমিকা। সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে নাটক করেছে তা একটি ঘৃণ্য নজির ছাড়া আর কিছুই না।” শওকত মাহমুদ বলেন, “গতকাল যা করেছে তাকে নির্বাচন না বলে নির্লজ্জ প্রহসন বলাই শ্রেয়। স্থানীয় সরকারে এই রকম জঘন্য নির্বাচন আমাদের ইতিহাসে আর হয়েছে কিনা জানি না। নির্বাচন কমিশন সরকারের মর্জি পূরণ করে নির্বাচনের নামে তামাশার মাধ্যমে জিতিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগকে কিন্তু হারিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রকে।” সিটি নির্বাচনে অনিয়মের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পুলিশ-র্যাব ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রতারণা, জালিয়াতি ও গায়ের জোরে ব্যালট পেপারে সিল মেরে নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্র ক্ষমতা দখরের মতো তিন সিটির মেয়র পদও অস্ত্র ও পেশীর বলে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে।” আদর্শ ঢাকা আন্দোলনের এই সদস্য সচিব বলেন, “গতকালের নির্বাচন ছিল জাতির ইতিহাসে এক মাহকলংকজনক ঘটনা। নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডারদের স্বেচ্ছাচারিতায় পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি আবর্জনায় পরিণত হয়েছে। এই রকমভাবে প্রকাশ্যে ভোট চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় আমরা বিস্মিত, গোটা জাতি হতভম্ব। আমরা উৎকন্ঠিত। আমরা আতঙ্কিত। আমরা উদ্বিগ্ন দেশের ও গণতন্ত্রের ভবিষৎ নিয়ে।” সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সদস্য সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ প্রমুখ। নতুন বার্তা/এসএ
Labels:
নতুন বার্তা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment