
্লবীর নিজ বাসার সামনে নিহত হন রাজীব হায়দার ওরফে ‘থাবা বাবা'। রাজীব হায়দার খুন হওয়ার পর তদন্তে বেরিয়ে আসে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের নাম। গত বছর জানুয়ারী মাসে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ডিবি পুলিশ তাদের মধ্যে ৭ জনকে মার্চ মাসের ২ তারিখে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসিমউদ্দিন রহমানিসহ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন ছাত্র -ফয়সাল বিন নাঈম ওরফে দ্বীপ, মাকসুদুল হাসান অনিক, এহসান রেজা রুম্মন, নাঈম সিকদার ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজ। তারা পাঁচজনই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। নর্থ সাউথের আরেক ছাত্র সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয় ১৪ আগস্ট রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে। তিনিও রাজীব হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন বলে পুলিশ দাবি করেছে। আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে ব্লগার রাজীবকে হত্যা করেছে বলে পত্রিকায় এসেছে। এদের নির্দেশদাতা ছিলেন কথিত শিবেরের ‘বড় ভাই’ রেজওয়ানুল আজাদ রানা। তিনি অবশ্য এখন পলাতক। পরবর্তিতে জানা যায়, এই রানা ফেনীর দাগনভূইয়ার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। ঢাকার আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি পাশ করে নটরডেম কলেজে ভর্তি হন।এরপর তিনি নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্যায় প্রশাসনে ভর্তি হন। তিনি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আই ব্লোকের ১৪৭ নং বাসায় থাকতেন। একই ঘটনার দায়ে হিজবুত তাহরীরের সদস্য শফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তাকেও সাজা দেয়া হয়। কিন্তু উচ্চ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে তিনি জামিন পান। গত ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তারিখে মহান একুশে বইমেলা থেকে 'মুক্তমনা' ব্লোগার প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় স্ত্রীসহ ফেরার পথে টিএসসির কাছে সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। আর এই হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে শফিউর রহমান ফারাবীকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতারের পর রিমান্ডে সে এই হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি জড়িত না থাকলেও ফেসবুকে হত্যার হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকার্তা বলেন, রাজীব হত্যার আসামী রেদওয়ানুল হক রানাকে গ্রেফতার করতে পারলে অভিজিৎ হত্যার আরো অনেক তথ্য পাওয়া সম্ভব। মহানগার গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার কৃষ্ণপদ রায় জানান, অভিজিৎ হত্যার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে রানাকে খুঁজছে পুলিশ। এদিকে অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় আমেরিকার গোয়েন্দা বিভাগ এফবিআই এসে ডিবি পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করে। এআই/এসএইচ
No comments:
Post a Comment