রিচালক কল্পনা আকতার জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। চিল্ড্রেনস প্লেসের এলাকায় বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগ মামলা করে ঘণ্টা দুই পর তাদের জামিনে মুক্তি দেয় পুলিশ। বাকি দুই বাংলাদেশি হলেন- রানা প্লাজার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শ্রমিক মাহিনুর বেগম (১৮) ও পোশাক শ্রমিক তৌসিফ। বাকিরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সিকোকাস পুলিশের ডিটেকটিভ সার্জেন্ট মাইকেল টরেস জানিয়েছেন, ওই তিনজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলেও আগামী ২৪ মার্চ সিকোকাস মিউনিসিপ্যাল কোর্টে তাদের হাজির হতে হবে। অনেক নামি দামি কোম্পানির মতো শিশুদের পোশাকের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান চিল্ড্রেনস প্লেসও রানা প্লাজার গার্মেন্ট কারখানাগুলো থেকে পোশাক কিনত। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে অন্তত ১১৩০ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ওই ভবনে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ওই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এলে হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সহায়তায় ‘রানা প্লাজা ডোনার ট্রাস্ট ফান্ড’গঠন করে ৩০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। চিল্ড্রেনস প্লেস এ তহবিলে ৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখ ডলার দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ আদায়ের দাবিতে ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম ও ইউনাইটেড স্টুডেন্টস এগেইনস্ট স্যুয়েটশপস নামের দুটি সংগঠন বৃহস্পতিবার চিল্ড্রেনস প্লেস কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করে। শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আকতার বলেন, “সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির এক পর্যায়ে দাবির সমর্থনে আমরা স্মারকলিপি দিতে কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তার অফিসের দিকে যাই। তখন কেউ আমাদের বাধা দেয়নি বা ভেতরে যেতে নিষেধ করেনি। এমন অবস্থায় সিকোকাস পুলিশ এসে আমাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ ভ্যানে করে সিকোকাস পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়।” এ সংবাদ স্থানীয় টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সংস্থার আইনজীবীরা থানায় গিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলেন বলে কল্পনা আকতার জানান। তবে পুলিশ সদস্য মাইকেল টরেস বলেন, “তারা বেআইনিভাবে চিল্ড্রেনস প্লেসের ভেতরে ঢুকে সমাবেশ করলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ এসে সবাইকে সরে যেতে বললে বিক্ষোভকারীরা তা শোনেননি।” চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কসহ আরও কয়েকটি স্থানে এ ধরনের কর্মসূচি হবে জানিয়ে কল্পনা আকতার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের এসব কর্মসূচিতে সহায়তা দিচ্ছেন। এএইচ
Saturday, March 14, 2015
নিউ জার্সিতে বিক্ষোভ; ৩ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা:Time News
নিউ জার্সিতে বিক্ষোভ; ৩ বাংলাদেশির বিরুদ্ধে মামলা টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ১৩ মার্চ, ২০১৫ ২২:১৩:২৫ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রানা প্লাজা কল্যাণ তহবিলে অর্থ দেওয়ার দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান চিল্ড্রেনস প্লেসের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের সময় শ্রমিক নেতা কল্পনা আকতার ও দুই বাংলাদেশিসহ ২৭ জনকে আটক করে মামলা দিয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার সলিডারিটির নির্বাহী প
রিচালক কল্পনা আকতার জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। চিল্ড্রেনস প্লেসের এলাকায় বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগ মামলা করে ঘণ্টা দুই পর তাদের জামিনে মুক্তি দেয় পুলিশ। বাকি দুই বাংলাদেশি হলেন- রানা প্লাজার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শ্রমিক মাহিনুর বেগম (১৮) ও পোশাক শ্রমিক তৌসিফ। বাকিরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সিকোকাস পুলিশের ডিটেকটিভ সার্জেন্ট মাইকেল টরেস জানিয়েছেন, ওই তিনজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলেও আগামী ২৪ মার্চ সিকোকাস মিউনিসিপ্যাল কোর্টে তাদের হাজির হতে হবে। অনেক নামি দামি কোম্পানির মতো শিশুদের পোশাকের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান চিল্ড্রেনস প্লেসও রানা প্লাজার গার্মেন্ট কারখানাগুলো থেকে পোশাক কিনত। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে অন্তত ১১৩০ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ওই ভবনে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ওই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এলে হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সহায়তায় ‘রানা প্লাজা ডোনার ট্রাস্ট ফান্ড’গঠন করে ৩০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। চিল্ড্রেনস প্লেস এ তহবিলে ৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখ ডলার দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ আদায়ের দাবিতে ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম ও ইউনাইটেড স্টুডেন্টস এগেইনস্ট স্যুয়েটশপস নামের দুটি সংগঠন বৃহস্পতিবার চিল্ড্রেনস প্লেস কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করে। শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আকতার বলেন, “সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির এক পর্যায়ে দাবির সমর্থনে আমরা স্মারকলিপি দিতে কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তার অফিসের দিকে যাই। তখন কেউ আমাদের বাধা দেয়নি বা ভেতরে যেতে নিষেধ করেনি। এমন অবস্থায় সিকোকাস পুলিশ এসে আমাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ ভ্যানে করে সিকোকাস পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়।” এ সংবাদ স্থানীয় টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সংস্থার আইনজীবীরা থানায় গিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলেন বলে কল্পনা আকতার জানান। তবে পুলিশ সদস্য মাইকেল টরেস বলেন, “তারা বেআইনিভাবে চিল্ড্রেনস প্লেসের ভেতরে ঢুকে সমাবেশ করলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ এসে সবাইকে সরে যেতে বললে বিক্ষোভকারীরা তা শোনেননি।” চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কসহ আরও কয়েকটি স্থানে এ ধরনের কর্মসূচি হবে জানিয়ে কল্পনা আকতার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের এসব কর্মসূচিতে সহায়তা দিচ্ছেন। এএইচ
রিচালক কল্পনা আকতার জানান, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। চিল্ড্রেনস প্লেসের এলাকায় বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগ মামলা করে ঘণ্টা দুই পর তাদের জামিনে মুক্তি দেয় পুলিশ। বাকি দুই বাংলাদেশি হলেন- রানা প্লাজার ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শ্রমিক মাহিনুর বেগম (১৮) ও পোশাক শ্রমিক তৌসিফ। বাকিরা সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সিকোকাস পুলিশের ডিটেকটিভ সার্জেন্ট মাইকেল টরেস জানিয়েছেন, ওই তিনজনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হলেও আগামী ২৪ মার্চ সিকোকাস মিউনিসিপ্যাল কোর্টে তাদের হাজির হতে হবে। অনেক নামি দামি কোম্পানির মতো শিশুদের পোশাকের খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান চিল্ড্রেনস প্লেসও রানা প্লাজার গার্মেন্ট কারখানাগুলো থেকে পোশাক কিনত। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে অন্তত ১১৩০ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ওই ভবনে থাকা পাঁচটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। ওই ঘটনা বিশ্বজুড়ে আলোচনায় এলে হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সহায়তায় ‘রানা প্লাজা ডোনার ট্রাস্ট ফান্ড’গঠন করে ৩০ মিলিয়ন ডলার তহবিল সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। চিল্ড্রেনস প্লেস এ তহবিলে ৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও এ পর্যন্ত সাড়ে চার লাখ ডলার দিয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ আদায়ের দাবিতে ইন্টারন্যাশনাল লেবার রাইটস ফোরাম ও ইউনাইটেড স্টুডেন্টস এগেইনস্ট স্যুয়েটশপস নামের দুটি সংগঠন বৃহস্পতিবার চিল্ড্রেনস প্লেস কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করে। শ্রমিক নেত্রী কল্পনা আকতার বলেন, “সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির এক পর্যায়ে দাবির সমর্থনে আমরা স্মারকলিপি দিতে কোম্পানির প্রধান কর্মকর্তার অফিসের দিকে যাই। তখন কেউ আমাদের বাধা দেয়নি বা ভেতরে যেতে নিষেধ করেনি। এমন অবস্থায় সিকোকাস পুলিশ এসে আমাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ ভ্যানে করে সিকোকাস পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যায়।” এ সংবাদ স্থানীয় টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানবাধিকার ও শ্রমিক অধিকার সংস্থার আইনজীবীরা থানায় গিয়ে তাদের পক্ষে কথা বলেন বলে কল্পনা আকতার জানান। তবে পুলিশ সদস্য মাইকেল টরেস বলেন, “তারা বেআইনিভাবে চিল্ড্রেনস প্লেসের ভেতরে ঢুকে সমাবেশ করলে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ এসে সবাইকে সরে যেতে বললে বিক্ষোভকারীরা তা শোনেননি।” চলতি সপ্তাহে নিউ ইয়র্কসহ আরও কয়েকটি স্থানে এ ধরনের কর্মসূচি হবে জানিয়ে কল্পনা আকতার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের এসব কর্মসূচিতে সহায়তা দিচ্ছেন। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment