Saturday, March 14, 2015

গাইবান্ধায় ছড়িয়ে পড়েছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ:Time News

গাইবান্ধায় ছড়িয়ে পড়েছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ তোফায়েল হোসেন জাকির টাইম নিউজ বিডি, ১৩ মার্চ, ২০১৫ ১৯:৪৬:০৪ ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। পাতা ঝড়া ষড়ঋতুর রাজা বসন্ত ঋতু। আবহমান বাংলার সৌন্দর্যের রাজা বলে পরিচিতি গ্রীস্মকাল। ফাল্গুন-চৈত্র মাসে গ্রীস্মের সুষ্ক আবহাওয়ায় যতদুর চোখ যায় শুধুই সবুজের সমাহার। আর এরই সাথে ছড়িয়ে পড়েছে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। অঞ্চল ভিত্তিতে সবারই প্রিয় ফল আম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপা
শি তাল দিয়ে বেড়েছে আমসহ নানা ফলের উৎপাদন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী অঞ্চলে এবার আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। চাষ যোগ্য জমির আইল, বসতভিটায়, বিভিন্ন অফিস-আদালত চিত্র, সরকারি বেসরকারি পরিত্যক্ত ভূমি ছাড়াও এ অঞ্চলের অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে ছোট বড় আম গড়ে তুলেছেন। গত মৌসুমের তুলনায় এবার এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রাকৃতিক আবহাওয়ার ভারসাম্য ঠিক থাকায় সিংহভাগ আম গাছে প্রত্যাশিত মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক আবহাওয়ার কোন দুর্যোগ না ঘটলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষি সংশ্লিষ্ট সচেতনদের অভিমত। এখনো তেমন আমের মুকুল বিনষ্টের মত প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেখা যায়নি। গাছে গাছে মুকুলের অধিক সমাহারে সবার মাঝেই বিরাজ করছে এখন ঝড় আতঙ্ক।বিরাজমান আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকুলে না থাকলে আম উৎপাদনের প্রেক্ষাপট ঘটবে ভিন্ন। এরই মধ্যে গত ৫ দিন ধরে উল্লেখযোগ্য না হলেও প্রকৃত আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষনীয়। দিনের বেলায় প্রচন্ড গরম এবং সন্ধ্যা নামতে না নামতেই দেখা পরিলক্ষিত হয় শীতের তীব্রতা। এ বছর প্রতিটি আমগাছে এসেছে আমের মুকুল। প্রতিটি গ্রামে রয়েছে আমের ছোট বড় প্রচুর আম গাছ। মুকুল আসার পূর্বে আমগাছ মালিকরা তাদের আমের গাছের যত্ন নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সর্বত্রই মুকুল আসা আম গাছের নানামূখী পরিচর্যা নিয়ে গাছ মালিকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউপি’র চকবালা গ্রামের আমগাছি হোসেন আলী, রওশনবাগ এলাকার রাজনগর গ্রামের নুরুজ্জামান সরকার ছাড়াও অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায় এবারে সম্ভাব্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা বেশি। উপজেলা সদরঘেঁষা গ্রাম গুলোর বসতবাড়ী আম গাছের মালিকরা তাদের গাছের মুকুলের ব্যাপকতা দেখে উৎফুল্ল হয়ে পড়েছেন। ভূক্তভোগী জানায় মুকুল আসা আম গাছে ছত্রাক জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করে থাকি। আমের মুকুল বৃদ্ধি করতে হরমোন জাতীয় ওষুধ স্প্রে করে থাকি। এদিকে, উপজেলা শহরের মৌসুমী ফল ব্যবসায়ী আব্দুস সামাদ, মওলা, আশরাফুল ও বল্টু জানান, গুটিসহ আম গাছ কিনতে তাদের মালিক পক্ষকে অন্তত অর্ধেক পরিমাণ অগ্রিম টাকা দিতে হয়। এরপর গাছে আম যখন রঙ্গিন রংয়ে পাকতে শুরু করে এসময় বকেয়া অর্ধেক টাকা পরিশোধের মাধ্যমে আম বিক্রয় করা হয়ে থাকে। এদিকে, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শওকত ওসমান জানান, উপজেলায় বিরাজমান আবহাওয়া ও মাটি আম চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। মাঠ পর্যায়ে বসতবাড়ীর চতুরপাশ ছাড়াও দন্ডায়মান আম গাছে মুকুল থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত গাছের আম যাতে কোন কারণে বিনষ্ট না হয় সে জন্য কৃষি বিভাগের সার্বক্ষনিক সতর্ক দৃষ্টি রয়েছে। এসএইচ    


No comments:

Post a Comment