
েন্ট ভবনসহ রাজধানীর সব স্থান থেকে তাদের যোদ্ধা তুলে নেবে বিদ্রোহীরা। বিনিময়ে সংবিধান সংশোধন ও তাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়ে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট হাদি। মঙ্গলবার প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলা চালায় বিদ্রোহীরা। এ সময় বিদ্রোহীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রেসিডেন্ট গার্ড-এর সদস্যরা। তবে প্রেসিডেন্ট নিরাপদে রয়েছেন বলে জানানো হয় বিভিন্ন সূত্র থেকে। প্রেসিডেন্টের খুব ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানায়, হাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন হুথির এক জ্যেষ্ঠ নেতা। রাষ্ট্রের প্রধানকে গৃহবন্দি করার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। যদিও তার বাসভবন ঘিরে রেখেছে বিদ্রোহীরা। ভবনে ভেতরে অবস্থান করছেন প্রেসিডেন্ট হাদি। বুধবার রাতে এক বিবৃতিতে হাদি বলেন, ‘রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে হুথিদের। খসড়া সংবিধান নিয়ে তার একটি সূত্র ও হুথিদের মধ্যে যে মতপার্থক্য রয়েছে, তা নিরসনে এটি সংশোধনের পথ উন্মুক্ত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘তার বাসভবন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ও ভবন,এবং রাজধানীর মিসাইল ঘাঁটি থেকে তাদের যোদ্ধা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। শনিবার তাদের হাতে আটক সেনাপ্রধানকে দ্রুত মুক্তি দিতেও প্রতিজ্ঞা করেছে তারা।’ কিছু ধারা বিলুপ্ত, সংযোজন ও সরলীকরণ করতে সংবিধান সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান হাদি। এ ব্যাপারে হুথি নেতা মোহাম্মদ আল-বুখতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট তার নিজ বাসভবনে এখনো অবস্থান করছেন। তিনি নিরাপদে রয়েছেন। সেখানে কোনো সমস্যা নেই।’ তবে কবে নাগাদ তাদের যোদ্ধাদের প্রত্যাহার করে নেবেন, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। অন্যদিকে তিন দিন বিদ্রোহীদের হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী খালেদ বাহা তার নিজ কার্যালয় নিরাপদে ছেড়ে গেছেন বলে তার এক সহযোগী নিশ্চিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভবনের নিরাপত্তাকর্মীরা আত্মসমর্পণ করার পর এর পুরো নিয়ন্ত্রণ বিদ্রোহীদের দখলে। তথ্যসূত্র : আলজাজিরা ইআর
No comments:
Post a Comment