্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট সমাধানে বান কি মুন সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে আবারও দায়িত্ব দিয়েছেন। জাতিসংঘেরই ভাষ্য, এখন বড় দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক। তারানকো বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিয়ে আবার কাজ শুরু করেছেন। তবে ফারহান হক বলেছেন, পরিস্থিতি উন্নয়নে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকলেও তারানকোর শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসার সম্ভাবনা নেই। তারানকো বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ বিভাগের প্রধান। এর আগে জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিবের দায়িত্বে থাকাকালে তিনি বাংলাদেশে একাধিকবার সফরের সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে উৎসাহিত করে গেছেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা ছাড়ার আগে বলেছিলেন, সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদেরই করতে হবে। দুই দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জাতিসংঘ : বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনসহ নেতাকর্মীদের অবস্থাও অবগত হচ্ছেন তারা। সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের বলেছেন, তার দল সংলাপ চায়। একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে চায়। কিন্তু সরকার সংলাপের ব্যাপারে কর্ণপাত করছে না বলে ওই উপদেষ্টা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বোঝাচ্ছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, অফিসিয়ালি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয়া ছাড়া আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের। দুই নেত্রীকে চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন চিঠির জবাবে জাতিসংঘকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া ওই চিঠির জবাব এখনও নিউইয়র্কে পাঠানো হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের চিঠির জবাবের খসড়া এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত সংযোজন-বিয়োজন শেষে চলতি সপ্তাহেই চিঠিটি জাতিসংঘে পাঠানো হতে পারে। তবে খসড়া চিঠিতে কী আছে, তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে সংলাপে বসতে ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পৃথক চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর চিঠি দুটি তাদের কাছে পৌঁছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়। চলমান অস্থিরতার শেষ দেখতে চান কূটনীতিকরা : চলমান সহিংসতা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন, ঢাকায় নিযুক্ত ১৬ দেশের কূটনীতিক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোববার তারা এ আহবান জানান। ঢাকার অস্ট্রেলীয় দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোববার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে কূটনীতিকরা চলমান সহিংসতা বন্ধের আহবান জানান।নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্বন্দ্ব দূর হওয়া প্রয়োজন বলেও তারা জানান। এর আগেও বিভিন্ন সময় দেশগুলো সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন। সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এসব দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এ কারণে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কথা বলেন। তাদের এ আহ্বানে কোনো সমাধান হয় না। তৃতীয় বিশ্বের বিরোধী দলগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে বিদেশিদের এসব বক্তব্যকে কাজে লাগায়। সমাধান অভ্যন্তরীণভাবেই হতে হবে। জেআই
Tuesday, March 3, 2015
সমঝোতার শেষ ভরসা জাতিসংঘ:Time News
সমঝোতার শেষ ভরসা জাতিসংঘ স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০৩ মার্চ, ২০১৫ ০০:২৫:৩০ বাংলাদেশের প্রায় সব প্রভাবশালী বন্ধুরাষ্ট্র চলমান সঙ্কট সমাধানে বড় দুই রাজনৈতিক দলকে উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপি সংলাপ চাইলেও শাসক দল আওয়ামী লীগ বারবার সংলাপ প্রত্যাখ্যান করেছে। এ অবস্থায় জাতিসংঘের উদ্যোগকেই শেষ ভরসা হিসেবে দেখা হচ্ছে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন সংলাপের আহবান জানিয়ে এরই মধ্যে প্রধানমন
্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট সমাধানে বান কি মুন সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে আবারও দায়িত্ব দিয়েছেন। জাতিসংঘেরই ভাষ্য, এখন বড় দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক। তারানকো বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিয়ে আবার কাজ শুরু করেছেন। তবে ফারহান হক বলেছেন, পরিস্থিতি উন্নয়নে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকলেও তারানকোর শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসার সম্ভাবনা নেই। তারানকো বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ বিভাগের প্রধান। এর আগে জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিবের দায়িত্বে থাকাকালে তিনি বাংলাদেশে একাধিকবার সফরের সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে উৎসাহিত করে গেছেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা ছাড়ার আগে বলেছিলেন, সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদেরই করতে হবে। দুই দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জাতিসংঘ : বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনসহ নেতাকর্মীদের অবস্থাও অবগত হচ্ছেন তারা। সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের বলেছেন, তার দল সংলাপ চায়। একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে চায়। কিন্তু সরকার সংলাপের ব্যাপারে কর্ণপাত করছে না বলে ওই উপদেষ্টা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বোঝাচ্ছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, অফিসিয়ালি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয়া ছাড়া আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের। দুই নেত্রীকে চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন চিঠির জবাবে জাতিসংঘকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া ওই চিঠির জবাব এখনও নিউইয়র্কে পাঠানো হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের চিঠির জবাবের খসড়া এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত সংযোজন-বিয়োজন শেষে চলতি সপ্তাহেই চিঠিটি জাতিসংঘে পাঠানো হতে পারে। তবে খসড়া চিঠিতে কী আছে, তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে সংলাপে বসতে ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পৃথক চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর চিঠি দুটি তাদের কাছে পৌঁছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়। চলমান অস্থিরতার শেষ দেখতে চান কূটনীতিকরা : চলমান সহিংসতা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন, ঢাকায় নিযুক্ত ১৬ দেশের কূটনীতিক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোববার তারা এ আহবান জানান। ঢাকার অস্ট্রেলীয় দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোববার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে কূটনীতিকরা চলমান সহিংসতা বন্ধের আহবান জানান।নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্বন্দ্ব দূর হওয়া প্রয়োজন বলেও তারা জানান। এর আগেও বিভিন্ন সময় দেশগুলো সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন। সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এসব দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এ কারণে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কথা বলেন। তাদের এ আহ্বানে কোনো সমাধান হয় না। তৃতীয় বিশ্বের বিরোধী দলগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে বিদেশিদের এসব বক্তব্যকে কাজে লাগায়। সমাধান অভ্যন্তরীণভাবেই হতে হবে। জেআই
্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট সমাধানে বান কি মুন সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে আবারও দায়িত্ব দিয়েছেন। জাতিসংঘেরই ভাষ্য, এখন বড় দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এমনটাই জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক। তারানকো বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট নিয়ে আবার কাজ শুরু করেছেন। তবে ফারহান হক বলেছেন, পরিস্থিতি উন্নয়নে সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকলেও তারানকোর শিগগিরই বাংলাদেশ সফরে আসার সম্ভাবনা নেই। তারানকো বর্তমানে জাতিসংঘের শান্তি বিনির্মাণ বিভাগের প্রধান। এর আগে জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিবের দায়িত্বে থাকাকালে তিনি বাংলাদেশে একাধিকবার সফরের সময় রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে উৎসাহিত করে গেছেন। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা ছাড়ার আগে বলেছিলেন, সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতাদেরই করতে হবে। দুই দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জাতিসংঘ : বিএনপির দলীয় সূত্র জানায়, চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টার সঙ্গে জাতিসংঘ কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছেন। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনসহ নেতাকর্মীদের অবস্থাও অবগত হচ্ছেন তারা। সূত্র জানায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের বলেছেন, তার দল সংলাপ চায়। একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আসতে চায়। কিন্তু সরকার সংলাপের ব্যাপারে কর্ণপাত করছে না বলে ওই উপদেষ্টা জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের বোঝাচ্ছেন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, অফিসিয়ালি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেয়া ছাড়া আর কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তবে ব্যক্তিগতভাবে কারও কারও সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। কূটনৈতিক সূত্র জানায়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের। দুই নেত্রীকে চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিঠির জবাব দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন চিঠির জবাবে জাতিসংঘকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া ওই চিঠির জবাব এখনও নিউইয়র্কে পাঠানো হয়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের চিঠির জবাবের খসড়া এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত সংযোজন-বিয়োজন শেষে চলতি সপ্তাহেই চিঠিটি জাতিসংঘে পাঠানো হতে পারে। তবে খসড়া চিঠিতে কী আছে, তা নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা থেকে উত্তরণে সংলাপে বসতে ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পৃথক চিঠি দেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন। এর প্রায় দুই সপ্তাহ পর চিঠি দুটি তাদের কাছে পৌঁছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিএনপির চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়। চলমান অস্থিরতার শেষ দেখতে চান কূটনীতিকরা : চলমান সহিংসতা বন্ধের আহবান জানিয়েছেন, ঢাকায় নিযুক্ত ১৬ দেশের কূটনীতিক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোববার তারা এ আহবান জানান। ঢাকার অস্ট্রেলীয় দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোববার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ডেনমার্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ফ্রান্স, জার্মানি, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার এবং চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে কূটনীতিকরা চলমান সহিংসতা বন্ধের আহবান জানান।নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধি, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে দ্বন্দ্ব দূর হওয়া প্রয়োজন বলেও তারা জানান। এর আগেও বিভিন্ন সময় দেশগুলো সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন। সংলাপের তাগিদ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, এসব দেশের পররাষ্ট্রনীতিতে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়। এ কারণে আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোয় তারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে কথা বলেন। তাদের এ আহ্বানে কোনো সমাধান হয় না। তৃতীয় বিশ্বের বিরোধী দলগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে বিদেশিদের এসব বক্তব্যকে কাজে লাগায়। সমাধান অভ্যন্তরীণভাবেই হতে হবে। জেআই
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment