সার্কে দেখা হলেও কথা হচ্ছে না শরীফ-মোদীর মো: কামরুজ্জামান, নেপালের কাঠমন্ডু থেকে টাইম নিউজ বিডি, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪ ০৮:৪৬:৫২ ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গভীর যৌথ-প্রয়াস (Deeper Integration for Peace and Prosperity)’- এই বিষয় এবারের সার্ক সম্মেলনের মূল থিম বা প্রতিপাদ্য হলেও শুরুতেই তা হোচট খেল। সার্ক আলোচনায় এজেন্ডার বহর থাকলেও রিজোনাল পিস বা আঞ্চলিক শান্তির কোন এজেন্ডা ছিল না অনুষ্ঠিত দুইটি কমিটির বৈঠক
ে। দক্ষিণ এশিয়ার এই সর্বোচ্চ ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সাথে সাইড লাইনে কোন বৈঠক হচ্ছে না। সার্ক সচিবালয় ও নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। সাধারণত সার্ক সম্মেলন চলাকালে সাইড লাইনে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক বৈঠক বা আলোচনা সেরে নেয়ার সুযোগ হাত ছাড়া করেন না শীর্ষ নেতারা। যদিও সার্ক চার্টার অনুযায়ী সম্মেলনে দ্বীপাক্ষিক আলোচনার সুযোগ নেই। তবে সম্মেলন চলাকালে সাইডলাইনে এ বৈঠকগুলো হয়ে আসছে। কিন্তু এবারের সম্মেলনে ভারত পাকিস্তানের বৈঠক না হওয়ার বিষয়টিকে বিশ্লেষক ও আর্ন্তজাতিক মহল ভিন্নভাবে দেখছেন। সার্কের পর্যবেক্ষক সদস্য রাষ্ট্রগুলোও এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো খুঁটিয়ে দেখছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ছুটে গিয়েছিলেন। সে সময় উভয় দেশের নানান মহল থেকে এর সমালোচনা হলেও বিষয়টিকে পাক-ভারত সম্পর্কের নতুন মাইল ফলক হিসেবেই মনে করেছিল বিশ্ববাসী ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা। তবে এরই ধারাবাহিকতায় সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে এসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সুযোগ ও পরিবেশ পাওয়া স্বত্ত্বেও কেন এই সুযোগকে হাতছাড়া করলেন দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই পরাশক্তি তা নিয়ে রীতিমতো ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। ১৮তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের মূল পর্ব হবে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুতে অনুষ্ঠিত শীর্ষ নেতাদের এ সম্মেলনে ৮ দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা অংশগ্রহণ করবেন। এই সুযোগে শীর্ষ নেতারা যাতে করে নির্বিঘ্নে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সেরে নিতে পারেন সে জন্য নেপাল সরকার ২৭ নভেম্বর শহর থেকে দূরে দুলিখেলের এক রিসোর্টে শীর্ষ নেতাদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। ভারত-পাকিস্তানের এ সমস্যা সমাধানে সার্ক জোট হিসেবে কোন প্রকার উদ্যেগ নিবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও সার্ক প্রোগ্রামিং কমিটির চেয়ারম্যান ইওগা বাহাদুর হামাল বলেন, এটা শীর্ষ পর্যায়ের নীতি নির্ধারকদের ব্যাপার। সার্কের প্রোগ্রামিং বৈঠকে এ বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। এ বিষয়ে শীর্ষ নেতারাই সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রসঙ্গত, সার্কের প্রোগ্রামিং কমিটি বৈঠকের মধ্য দিয়ে ২২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে সার্কের ১৮তম সম্মেলন। এ বৈঠকেই সার্কের ১৭তম সম্মেলনের সিদ্ধান্ত, ২০১৫ সালের কার্যসূচী এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ১৬ টি ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, আঞ্চলিক নিরাপত্তার কথা বলা হলেও আলোচনায় ছিল না এবারের থিম ‘শান্তি’ বিষয়ে কোন আলোচনা। দুই চির-বৈরী প্রতিবেশী ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মির ও সীমান্ত সমস্যায় শান্তিপূর্ণ কোন ভুমিকা রাখতে পারছে না আঞ্চলিক এ জোট। নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুর সার্ক মিডিয়া সেন্টার থেকে:
No comments:
Post a Comment