অভিযানের নামে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ চাঁপাইনবাবগঞ্জ করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ০৫ মার্চ, ২০১৫ ১২:৩৪:০০ অবরোধ ও হরতালে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আবারো চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে চলছে পুলিশ-বিজিবি-র্যাবের সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর অভিযান। বুধবার (৪ মার্চ) সকাল ৮ টায় শুরু হয় এই যৌথ অভিযান। স্থানীয়দের অভিযোগ এই বাহিনী অভিযানের নামে বাড়ি-ঘার, পরিবারের মুল্যবান জিনিসপত্র ভাংচুর ও স্বর্ণ অলংকার এবং নগদ টাকা লুটপাট করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে শাহবাজপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক তোজাম্মেল হক ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন শিবগঞ্জ উপজেলা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল মান্নানের বাড়িসহ মুসলিমপুর, ধোবড়া, চাকপাড়া, কয়লা বাড়ি এবং মোবাররক পুর ইউনিয়নসহ ১৩০ টি বাড়ি ভাংচুর করেছে যৌথবাহিনী। এসময় স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট এবং পরিবারের মুল্যবান জিনিসপত্রও ভাংচুর করা হয়েছে। এতে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিমান ক্ষতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালেও যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৫-৩০ টি বাড়িঘর ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয়রা। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দাবি করেন, তাদেরকে দোষারোপ করতে শিবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে অজ্ঞাতরা। এদিকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা কেরামত আলী বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি শিবগঞ্জ একের পর এক অভিযান দিয়ে যৌথবাহিনী শিবগঞ্জ উপজেলার মানুষের জীবনকে অসহায় করে তুলেছে। তিনি আরো বলেন, প্রসাশনের দায়িত্ব জনগণের জান-মাল রক্ষা করা। কিন্তু তা না করে তারা জনগণের উপর জুলুম-নির্যাতন চালাচ্ছে, এটা কোন সভ্য ও গনতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না। তিনি প্রসাশন কর্তৃক এ কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার দুপুরে শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা কেরামত আলীর বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট ও ভাইস চেয়ারাম্যান শহিদুল হক হায়দারি (শহিদ মিঞা)র বাড়ি ভাঙচুর-লুটপাট করে। পরে বিছানার বিভিন্ন কাপড় বাড়ির বাইরে ফেলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া শিবগঞ্জের ভাঙা ব্রীজ মোড় এলাকার আলহাজ্ব কাজেম আলী, কালু, শিবগঞ্জ চকদৌলতপুরের আবদুল মান্নান, সাবেক পৌর মহিলা কমিশনার মোস্তারি বেগম, শিকারপুরের সাইদুর রহমান, নেফাউর রহমান ও গোলাম মোস্তফাসহ আরো ৬/৭জনের বাড়ি, কানসাটের আলহাজ্ব তারিফ মিঞার বাড়ি, শ্যামপুর ইউপির চেয়ারাম্যান নুরুল হোদার বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া যায়। যৌথ বাহিনীর অভিযানের ভয়ে কানসাট, শ্যামপুর, বোধড়া, মোবারকপুর, শিকারপুরসহ আরো কয়েকটি গ্রাম পুরুষ শুণ্য হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এমএম ময়নুল ইসলাম জানান, আমাসিদের বাড়িতে ভাঙচুর নয় তল্লাসি চালানো হয়েছে । তাদের বাড়িতে আসামি না পেয়ে আমরা ফিরে আসি। এসব ভাঙচুর কে ঘটিয়ে তা বলতে পারবো না। তিনি জানান, সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১২জন দূর্বৃত্ত এবং মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ১৫জনকে আটক করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সোমবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে পেট্রলবোমা ছোঁড়ে ৪টি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। এতে এক চালক শিপন (৩০) দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং হেলপার আহত হয়। ইআর, জেএ
No comments:
Post a Comment