এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল জালিয়াতিতে ভরা। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক, পোলিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে ব্যালটে সিল মেরেছেন এবং ভোট জালিয়াতি করেছেন। হিউম্যান রাইটস কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখতে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সহিংসতার আশ্রয় নেন। দুপুরের দিকে লোকজন ভোট দিতে আসলে বিভিন্ন কেন্দ্রে পুলিশ ও পোলিং অফিসাররা ভোটারদের জানান, আপনারা চলে যান, আপনাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। অনেক প্রার্থীকেও ভোট দিতে দেয়া হয়নি। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেননি। তাদের অনেকের ওপর হামলা এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় দুপুরের মধ্যেই বিরোধী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ক্ষমতাসীন দল ‘যে কোনো মূল্যে’ সিটি নির্বাচনে জয়লাভ করার যে ঘোষনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন কার্যত সে পথকেই সহজ করে দিয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটের দিন সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা ও ভিডিও করা থেকে বিরত রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মারধর এবং কয়েকজনের ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এধরণের হামলা সত্ত্বেও গণমাধ্যমগুলো নির্বাচনে জালিয়াতির চিত্র তুলে ধরেছে। কিন্তু এত কিছুর পরও নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছে, বিছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত এবং খারাপ ফলাফল বয়ে আনবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে সঙ্কট এড়ানোর জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর সংস্থা গড়ে তোলা উচিত বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে। মন্তব্য
Thursday, April 30, 2015
বাংলাদেশ আরেকটি ‘ভুয়া নির্বাচন’ প্রত্যক্ষ করল:আরটিএনএন
এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিল ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল জালিয়াতিতে ভরা। ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক, পোলিং অফিসার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মিলে ব্যালটে সিল মেরেছেন এবং ভোট জালিয়াতি করেছেন। হিউম্যান রাইটস কমিশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখতে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সহিংসতার আশ্রয় নেন। দুপুরের দিকে লোকজন ভোট দিতে আসলে বিভিন্ন কেন্দ্রে পুলিশ ও পোলিং অফিসাররা ভোটারদের জানান, আপনারা চলে যান, আপনাদের ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। অনেক প্রার্থীকেও ভোট দিতে দেয়া হয়নি। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো প্রার্থীর এজেন্ট ভোট কেন্দ্রে আসতে পারেননি। তাদের অনেকের ওপর হামলা এবং কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ অবস্থায় দুপুরের মধ্যেই বিরোধী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অনেকেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ক্ষমতাসীন দল ‘যে কোনো মূল্যে’ সিটি নির্বাচনে জয়লাভ করার যে ঘোষনা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন কার্যত সে পথকেই সহজ করে দিয়েছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ভোটের দিন সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা ও ভিডিও করা থেকে বিরত রাখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে মারধর এবং কয়েকজনের ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এধরণের হামলা সত্ত্বেও গণমাধ্যমগুলো নির্বাচনে জালিয়াতির চিত্র তুলে ধরেছে। কিন্তু এত কিছুর পরও নির্বাচন কমিশন ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছে, বিছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবের আমেজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিবৃতিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত এবং খারাপ ফলাফল বয়ে আনবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারা বজায় রাখতে ও ভবিষ্যতে সঙ্কট এড়ানোর জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে কার্যকর সংস্থা গড়ে তোলা উচিত বলেও সংস্থাটির পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment