Thursday, March 19, 2015

রাবিতে অর্ধশতাধিক আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত:Time News

রাবিতে অর্ধশতাধিক আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রাবি করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১৯ মার্চ, ২০১৫ ০৯:৩৪:৫১ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন অনুষদে মোট ৫৬ আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন করে ভর্তির তারিখ প্রকাশ না করায় অপেক্ষমান শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছে না। ফলে অপেক্ষমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। বি
গত বছরগুলোতে আসন ফাঁকা হওয়া সাপেক্ষে একাধিকবার অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এ বছর একাধিকবার অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা সত্বেও এখনো বিভিন্ন অনুষদে ৫৬ আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলা অনুষদে ৮টি, সামাজি বিজ্ঞান অনুষদে ৫টি, বিজ্ঞান অনুষদে ১৯টি, কৃষি অনুষদে ১১টি, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে ২টি, প্রকৌশল অনুষদে ৫টি, আইন অনুষদে ২টি, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদে ৪টি সহ মোট ৫৬টি আসন ফাঁকা রয়েছে। নতুন করে ভর্তির নোটিশ প্রকাশ না করায় এসব অনুষদে আসন ফাঁকা রেখেই চলছে প্রথম বর্ষের ক্লাস। কিন্ত এ ব্যাপারে বিশ্ববিদালয় প্রশাসন বলছে ভিন্ন কথা। তাদের মতে বার বার ভর্তির নোটিশ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি করার পরেও আসন ফাঁকা থেকেই যাচ্ছে। ফলে তাদের পক্ষে অধিক সময় ধরে নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। নতুন করে ভর্তির তারিখ প্রকাশ না করায় অপেক্ষমান তালিকা থেকে আর কোন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারছে না। ফলে ৫৬ আসন ফাঁকা রেখেই চলতি ২০১৪-১৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এ দিকে আবার ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত থাকা সত্বেও চলতি বছরের ৯ মার্চ প্রকাশিত নোটিশে বিশেষ বিবেচনায় খেলোয়ার কোটায় দুইজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করানো হয়েছে। একজন ভর্তি হয়েছেন ফোকলোর বিভাগে এবং অন্যজন ভর্তি হয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে। ফলে এ নিয়ে দেখা দিয়েছে সর্বত্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে একাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসেন বলেন, আমরা ভর্তির শুরু থেকে আসন ফাঁকা থাকা সত্বে একাধিকবার অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করে আসছি। কিন্তু এভাবে একাধিকবার তালিকা প্রকাশ করা সত্বেও আসন ফাঁকা থাকলে আমাদের কিছু করার নেই। তাছাড়া আসন ফাঁকা হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া।’ তিনি আরো বলেন, প্রথম বর্ষের ক্লাস গত ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এবং যে সকল বিভাগে সেমিস্টার পদ্ধতি তাদের প্রথম সেমিস্টারের ক্লাস প্রায় মাঝামাঝির দিকে। তাই নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা আমাদের পক্ষে সম্ভবপর হচ্ছে না। একইভাবে কলা অনুষদের ডীন প্রফেসর খন্দকার ফরহাদ হোসেন বলেন, আমরা একে একে নয়বার অপেক্ষামান তালিকা প্রকাশ করেছি। এর পরেও যদি আসন ফাঁকা থাকে তাহলে আমাদের পক্ষে কি করার আছে। এ বছর আমরা ১০২৬ সিটের জন্য অপেক্ষমান তালিকা থেকে ধীরে ধীরে ১০৮২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছি। এখনো অনেকে ভর্তি বাতিল করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। ফলে তার আসনটি ফাঁকা থেকেই যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা প্রফেসর সাদেকুল আরেফিন মাতিন বলেন, ভর্তির অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করতে করতে কোন এক সময়তো ভর্তি প্রক্রিয়া থেমে যেতে হবে এটি তো আর দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না। অনেকবার অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করার পরও আসন ফাঁকা থাকলে এখন আমাদের আর কিছু করার নেই। বিশেষ বিবেচনায় দু'জন খোলোয়ারকে ভর্তি করার বিষয়ে বলেন, এরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলোয়ার। তাই এই দুইজনকে ভর্তি উপ-কমিটির সভায় বিশেষ বিবেচনায় একজনকে ফেকলোর এবং অন্যজনকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। এদেরকে মেধাতালিকার মধ্য থেকেই ভর্তি করানো হয়েছে। এভাবে প্রতি বছরই অনেক আসন ফাঁকা থেকেই যাচ্ছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় একটা আসন শুন্য থেকেই চলছে। কেন এমন অবস্থা ? কি কারণে শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছেন অন্যত্র ? এমন প্রশ্ন এখন অনেকের কাছে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু এসব প্রশ্নের উত্তরে মিলছে ভিন্ন-ভিন্ন জবাব। কেউ বলছেন বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানী থেকে দুরে হওয়ার কারণে পড়ালেখার অনেক সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্বেও ভর্তি হচ্ছেন না অনেকে। আবার কেউ বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটা অস্থিতিশীল হওয়ার কারণে অনেকে ভর্তি বাতিল করে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। তবে যাই হোক না কেন এভাবে প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির উপর প্রভাব ফেলছে বলে অনেকে মনে করছেন । এআর


No comments:

Post a Comment