Monday, March 9, 2015

জয়ের অপহরণ চেষ্টার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি :Natun Barta

ঢাকা: সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অপহরণ চেষ্টার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন। রোববার সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে সংসদ সদস্যরা এ ব্যাপারে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানান।
d.com/sum/www/delivery/avw.php?zoneid=7&n=ac512bfe' border='0' alt='' /> [X] আলোচনা শেষে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে এ ব্যাপারে দেয়া রায় পর্যালোচনা করে এর বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নারী আত্মঘাতির মাধ্যমে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সংসদ সদস্য মঈনউদ্দিন খান বাদল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সংসদ থেকে সংগ্রহ করে তদন্ত করারও পরামর্শ দেন স্পিকার।   এর আগে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তারা বলেন, ইউএস জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্তরা স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের পর হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে বিএনপির হাইকমান্ড জড়িত। এই হাইকমান্ড কারা তা জানতে আরো তদন্ত প্রয়োজন। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে আমেরিকা যাওয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়। তারা বলেন, হত্যা, ক্যু এবং ষড়যন্ত্র জিয়াউর রহমাহের সময় থেকে শুরু হয়েছে, তা এখনো অব্যাহত রয়েছে। দেশের প্রতিটি হত্যার সঙ্গে এই পরিবারটি জড়িত।   তারা বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্রই নয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের উত্তরসূরি। তিনি একজন প্রতিভাবান আইটি বিশেষজ্ঞ, এদেশের সম্পদ। তার হাত ধরে শিগগিরই দেশের আইটি সেক্টর বিশ্বের অনেক দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাও জয়ের মাধ্যমে পাওয়া। তাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রয়োজন। এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, “১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশের মুক্তিযুদ্ধকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র হয়েছিল, ষড়যন্ত্র হয়েছে জাতিকে নেতৃত্ব ও মেধাশূন্য করার। কিন্তু খুনিরা সেদিন ব্যর্থ হয়ে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেই ২১ আগস্টসহ ২১ বার হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে। ” তিনি বলেন, “আমেরিকায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের ষড়যন্ত্রের সাথে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান জড়িত। এ ব্যাপারে এদেশেও একটি তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। মুখোশ উন্মোচন শুরু হয়েছে, আরো উন্মোচিত হবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার হতেই হবে।”   আলোচনার সূত্রপাত করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার পরিবারের সদস্যদের অপহরণ করে বড় ধরনের ক্ষতির ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একজন এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ প্রদানে জড়িত থাকার দায়ে একজন বাংলাদেশীসহ দু’জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলেন- রিজভী আহমেদ সিজার । তিনি বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে। অপর ব্যক্তি হলেন- মার্কিন নাগরিক জোহান থালের। আদালত সিজারকে ৪২ মাস এবং ঘুষদানে মধ্যস্থতাকারী মার্কিন নাগরিক জোহান থালেরকে ৩০ মাসের কারাদন্ড দেয়।”   তিনি বলেন,  “তারা উভয়েই আদালতের কাছে নিজেদের অপরাধ ও ষড়যন্ত্রের কথা স্বীকার করেছেন। আদালতের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিতেই অভিযুক্তরা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের পর হত্যার পরিকল্পনার কথা জানান। রিজভী আদালতে দেয়া তার স্বীকারোক্তিতে জানান, বিএনপি’র উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশেই এফবিআইয়ের একজন এজেন্টকে ৫ লাখ ডলার ঘুষের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জয়ের বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছিল। থালের ও সিজার উভয়েই স্বীকার করেন যে, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু করে ২০১২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পর্কে এফবিআই’র কাছে থাকা তথ্য পাচার করে দেয়ার জন্য এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট রবার্ট লাস্টিকের সঙ্গে তারা ৫ লাখ ডলারে চুক্তিবদ্ধ হন। এই চুক্তির আওতায় এফবিআই’র কাছে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে, লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান ও ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর অর্থপাচারের যেসব তথ্য রয়েছে তাও সরিয়ে ফেলার প্রতিশ্রুতি দেয় ওই এজেন্ট। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে থালের ও লাস্টিকের মধ্যে ম্যাসেজ বিনিময়ও চলে। এফবিআই’র এই বিশেষ এজেন্টকে তারা প্রাথমিকভাবে ৪০ হাজার ডলার ঘুষ দেন এবং পুরো কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিমাসে আরও ৩০ হাজার ডলার করে মোট ৫ লাখ ডলার দেয়ার প্রতিশশ্রুতি দেন।” দেশের সুশীল সমাজ শয়তানের পক্ষে কথা বলছেন উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, “বিবেক যারা বিক্রি করে শয়তানের কাছে, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন, জয়ই জয়ী হবেন। ” পয়েন্ট অর্ডারে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন- সরকারি দলের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আবদুল মতিন খসরু,  তারানা হালিম, জাসদের মঈনউদ্দিন খান বাদল, জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান ও স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।–বাসস নতুন বার্তা/এসএ


No comments:

Post a Comment