Thursday, February 12, 2015

বরিশাল মেডিকেলে প্রতিদিন ১৫ জনের মৃত্যু:Time News

বরিশাল মেডিকেলে প্রতিদিন ১৫ জনের মৃত্যু মাসুদ রানা টাইম নিউজ বিডি, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১৮:২৯:৪৫ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতিদিন গড়ে ১৫ জন রোগির মৃত্যু হচ্ছে। এর মধ্যে ২/৩ জন রোগি শিকার হয় করুন মৃত্যুর। একইসাথে ভোগান্তি পোহাচ্ছে চিকিৎসারত রোগিরা। অবহেলা,ডাক্তার সংকট এবং  কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাই এই অকাল মৃত্যুর কারন। এনিয়ে ডাক্তার ও রোগির স্বজনদের মধ্যে মারামারিও হ
য় অনেক সময়। দক্ষিণাঞ্চলের ৮৪ লাখ মানুষের নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।ভর্তি রেজিস্টারে দেখা যায়, প্রতিদিন গড়ে ২শ ৫০জন রোগী ভর্তি হয়। হাসপাতালটি ৫শ বেডের হলেও দৈনিক প্রায় সাড়ে ১২শ’ রোগী থাকে। মৃত্যু রেজিষ্টার খাতায় দেখা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারী থেকে ১১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ২৭জন নবজাতক(নিওনেটোলজি) শিশুর মৃত্যু হয়েছে ।পাশাপশি শিশু ওয়ার্ডে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জনের। পুরো এক বছরের খতিয়ানে প্রায় ২ হাজার শিশুর মৃত্যু চিত্র দেখা যায় এ দুটি ওয়ার্ডে। যা প্রতিদিন গড় শিুশুর মৃত্যুর হার প্রায় ৫ জন । অপরদিকে গত ১বছরে হাসপাতালের মেডিসিন,সার্জারি, অর্থপেডিক্স কার্ডিওলজি,নিউরেলজি, হেমাটোলজিসহ ২৩টি বিভাগে ১২মাসে ভর্তি রোগির মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭শত জনের ।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,প্রতিদিন এ হাসপাতালটিতে চিকিৎসারত সাড়ে ১২শ রোগির মধ্য থেকে ১৫জন রোগি মৃত্যু বরন করে। সরেজমিনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে দেখা যায়, রোগী এবং নার্সদের একই অভিযোগ ডাক্তার নাই। অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোর চেয়ে লেবার, গাইনি, ফিমেল সার্জারি এবং অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ডে রোগী বেশি থাকে। এসব ওয়ার্ডে ইন্টার্নি ডাক্তার অনিয়মিত পাওয়া গেলেও সিনিয়র কোন ডাক্তার পাওয়া যায় না। অথচ বরিশাল নগরীর বাটারগলি থেকে শুরু করে সদর রোড সহ বিভিন্ন অলিগলিতে এসব ডাক্তাদের প্রাইভেট চেম্বার ও ক্লিনিকে রোগি দেখছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেবাচিমের কতিপয় মেডিকেল অফিসার ও ইন্টার্নি ডাক্তার বলেন, এখানে অব্যবস্থাপনা আর অনিয়ম চরমে থাকায় ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও রোগিদের ভালো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, ৩০ জন প্রফেসরসহ প্রায় ৩শ জন বিভিন্ন পর্যায়ের ডাক্তর কর্মরত। ডাক্তারদের রুমে গিয়ে ডিউটি রোস্টারে উপস্থিতি সাক্ষর থাকে। কিন্তু ওয়ার্ডগুলোতে গিয়ে তাদের উপস্থিতি পাওয়া যায়না। নিয়মে আছে ইন্টার্নি ডাক্তাররা নির্দিষ্ট এফ্রন এবং আইডি কার্ড সাথে নিয়ে সিফটি অনুযায়ী দিনে-রাতে ডিউটি ও প্রফেসর’রা সকালে ওয়ার্ডগুলোতে ১বার রাউন্ড শেষে ক্লাশ নেওয়ার। অন্যদিকে মেডিকেল অফিসার (আউটডোর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বাইরের রোগী দেখবে এবং মেডিকেল অফিসার (ইনডোর) আট ঘন্টা করে শিফট অনুযায়ী সার্বক্ষনিক ডিউটি করবে। কিন্তু ডাক্তাররা ধার ধারেন না এসব নিয়মের ।যার দরুন  সু- চিকিৎসার অভাবে রোগী মারা যায় বলে মত প্রকাশ করেছেন অনেক চিকিৎসকরা। দীর্ঘদিনের এ চিত্র কেন পরিবর্তন হচ্ছেনা জবাবে পরিচালক ডা:মু:কামরুল হাসান বলেন, রোগিরা শেষ মূহুর্তে এসে মেডিকেলে ভর্তি হয় বরে বচিয়ে রাখা সম্ভব হয় না।কিন্তু ডাক্তারদের অনিয়মিত উপস্থিতি আর উদাসিনতার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে রোগী অনুযায়ী ডাক্তার কম থাকায় রোগিদের চিকিৎসা ঘাটতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।কিন্তু ডাক্তারদের অবহেলায় রোগির মৃত্যুর বিষয়টি তিনি মানতে নারাজ। এসএইচ


No comments:

Post a Comment