ণ্ড সাধারণ মানুষের উপর যে ধরনের প্রভাব ফেলছে, সেটিকে বিবেচনায় নেবার জন্য তিনি সব পক্ষকে আহবান জানিয়েছেন । এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ঢাকার গুলশানে তার কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত মাসের শেষের দিকে তাঁর ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যুতে শোক জানাতে বিদেশী কয়েকজন কূটনীতিক ঐ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এখন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকে অব্যাহত অবরোধ, হরতাল এবং চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন সেখানে গিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেন। অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য না করলেও মি: গিবসন একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা কথা বলেছেন। তিনি বর্তমান অস্থিরতা দূর করে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সবগুলো পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির উপর জোর দিয়েছেন। ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে খালেদা জিয়ার এই বৈঠকের ব্যাপারে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে দলটির নেতাদের অনেকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর দেয়, সেটা তারা চান। বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান মনে করেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দু’পক্ষের মধ্যে সংলাপের ব্যাপারে জাতিসংঘ ভূমিকা রেখেছিল, সে কারণে তারা আবারও জাতিসংঘের ভূমিকা চান। তিনি বলছিলেন, “৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকে জাতিসংঘ অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে ভূমিকা রেখেছিল।সেই প্রেক্ষাপটেই বিএনপি মনে করে, জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে।” বিএনপি’র একাধিক সূত্রে বলা হচ্ছে, দলটির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। কয়েকজন কূটনীতিক ঐ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনাসহ সরকারের কঠোর পদক্ষেপের তথ্যও বিদেশী কূটনীতিকদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে বিএনপি’র পক্ষ থেকে। দলটির সমমনা বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ ধরণের সহিংসতা চলছে বাংলাদেশে। বিএনপি’র কমিটির অন্যতম অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি বলেছেন, “৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের দূত এসে অন্তত দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা একটা পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছিল।যদিও কোন ফল হয়নি।এরপরও আগের ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে।সেজন্য আমরা চিঠি লিখেছিলাম।” কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকার, বাইরের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বক্তব্য তুলে ধরছে । বিএনপি নেতা জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দু’পক্ষকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরিয়ে আনতে তারা আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ নয়, তারা চাইছেন মধ্যস্থতা। তিনি উল্লেখ করেছেন, আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক মহল যাতে সরকারের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করে,সেটাই তারা চাইছেন। বিএনপির আরেকজন সিনিয়র নেতা আব্দুল মঈন খানও ভারতের একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এএইচ
Thursday, February 12, 2015
আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ নয়, ভূমিকা চায় বিএনপি:Time News
আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ নয়, ভূমিকা চায় বিএনপি টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০৯:২৬:২১ বাংলাদেশে বিএনপি নেতাদের অনেকে বলেছেন,জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতিতে ভূমিকা রাখে, সেটা তারা চান। এদিকে, চলমান পরিস্থিতিতে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাথে আজ ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বৈঠক করেছেন । রবার্ট গিবসন বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকা
ণ্ড সাধারণ মানুষের উপর যে ধরনের প্রভাব ফেলছে, সেটিকে বিবেচনায় নেবার জন্য তিনি সব পক্ষকে আহবান জানিয়েছেন । এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ঢাকার গুলশানে তার কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত মাসের শেষের দিকে তাঁর ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যুতে শোক জানাতে বিদেশী কয়েকজন কূটনীতিক ঐ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এখন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকে অব্যাহত অবরোধ, হরতাল এবং চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন সেখানে গিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেন। অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য না করলেও মি: গিবসন একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা কথা বলেছেন। তিনি বর্তমান অস্থিরতা দূর করে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সবগুলো পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির উপর জোর দিয়েছেন। ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে খালেদা জিয়ার এই বৈঠকের ব্যাপারে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে দলটির নেতাদের অনেকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর দেয়, সেটা তারা চান। বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান মনে করেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দু’পক্ষের মধ্যে সংলাপের ব্যাপারে জাতিসংঘ ভূমিকা রেখেছিল, সে কারণে তারা আবারও জাতিসংঘের ভূমিকা চান। তিনি বলছিলেন, “৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকে জাতিসংঘ অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে ভূমিকা রেখেছিল।সেই প্রেক্ষাপটেই বিএনপি মনে করে, জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে।” বিএনপি’র একাধিক সূত্রে বলা হচ্ছে, দলটির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। কয়েকজন কূটনীতিক ঐ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনাসহ সরকারের কঠোর পদক্ষেপের তথ্যও বিদেশী কূটনীতিকদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে বিএনপি’র পক্ষ থেকে। দলটির সমমনা বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ ধরণের সহিংসতা চলছে বাংলাদেশে। বিএনপি’র কমিটির অন্যতম অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি বলেছেন, “৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের দূত এসে অন্তত দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা একটা পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছিল।যদিও কোন ফল হয়নি।এরপরও আগের ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে।সেজন্য আমরা চিঠি লিখেছিলাম।” কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকার, বাইরের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বক্তব্য তুলে ধরছে । বিএনপি নেতা জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দু’পক্ষকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরিয়ে আনতে তারা আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ নয়, তারা চাইছেন মধ্যস্থতা। তিনি উল্লেখ করেছেন, আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক মহল যাতে সরকারের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করে,সেটাই তারা চাইছেন। বিএনপির আরেকজন সিনিয়র নেতা আব্দুল মঈন খানও ভারতের একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এএইচ
ণ্ড সাধারণ মানুষের উপর যে ধরনের প্রভাব ফেলছে, সেটিকে বিবেচনায় নেবার জন্য তিনি সব পক্ষকে আহবান জানিয়েছেন । এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ঢাকার গুলশানে তার কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে গত মাসের শেষের দিকে তাঁর ছেলে আরাফাত রহমানের মৃত্যুতে শোক জানাতে বিদেশী কয়েকজন কূটনীতিক ঐ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। এখন বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকে অব্যাহত অবরোধ, হরতাল এবং চলমান সহিংস পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন সেখানে গিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেন। অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে কোন মন্তব্য না করলেও মি: গিবসন একটি লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা কথা বলেছেন। তিনি বর্তমান অস্থিরতা দূর করে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সবগুলো পক্ষের মধ্যে আস্থা তৈরির উপর জোর দিয়েছেন। ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সাথে খালেদা জিয়ার এই বৈঠকের ব্যাপারে বিএনপি’র পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। তবে দলটির নেতাদের অনেকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেন বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর দেয়, সেটা তারা চান। বিএনপির জাতীয় কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মাহবুবুর রহমান মনে করেন, ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে দু’পক্ষের মধ্যে সংলাপের ব্যাপারে জাতিসংঘ ভূমিকা রেখেছিল, সে কারণে তারা আবারও জাতিসংঘের ভূমিকা চান। তিনি বলছিলেন, “৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকে জাতিসংঘ অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে ভূমিকা রেখেছিল।সেই প্রেক্ষাপটেই বিএনপি মনে করে, জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে।” বিএনপি’র একাধিক সূত্রে বলা হচ্ছে, দলটির পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। কয়েকজন কূটনীতিক ঐ কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে কথিত বন্দুক যুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনাসহ সরকারের কঠোর পদক্ষেপের তথ্যও বিদেশী কূটনীতিকদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে বিএনপি’র পক্ষ থেকে। দলটির সমমনা বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিরা জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠিও দিয়েছিলেন। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এ ধরণের সহিংসতা চলছে বাংলাদেশে। বিএনপি’র কমিটির অন্যতম অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ঐ চিঠিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। তিনি বলেছেন, “৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের আগে জাতিসংঘের দূত এসে অন্তত দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা একটা পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছিল।যদিও কোন ফল হয়নি।এরপরও আগের ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘ ভূমিকা রাখতে পারে।সেজন্য আমরা চিঠি লিখেছিলাম।” কিন্তু আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকার, বাইরের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বক্তব্য তুলে ধরছে । বিএনপি নেতা জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন, দু’পক্ষকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরিয়ে আনতে তারা আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ নয়, তারা চাইছেন মধ্যস্থতা। তিনি উল্লেখ করেছেন, আলোচনার জন্য আন্তর্জাতিক মহল যাতে সরকারের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি করে,সেটাই তারা চাইছেন। বিএনপির আরেকজন সিনিয়র নেতা আব্দুল মঈন খানও ভারতের একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment