Wednesday, February 25, 2015

মিরপুরে গুলিবিদ্ধ ২ লাশের পরিচয় মিলেছে:Time News

মিরপুরে গুলিবিদ্ধ ২ লাশের পরিচয় মিলেছে স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ২১:৩৪:৪২ রাজধানীর মিরপুর কাজীপাড়ার বাইশবাড়ী এলাকা থেকে উদ্ধার গুলিবিদ্ধ তিন জনের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মিনিবাসের হেলপার সুমন রবি দাস (১৭) ও তার বন্ধু রবিন (১৬)। অন্যজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। গত রোববার রাতে ওই তিন তরুণ নিহত হন। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডি
ক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। অবশ্য ঘটনার পর থেকেই পুলিশ দাবি করে আসছে, ওই তিনজন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। তবে এলাকাবাসী বলছে, গণপিটুনির ঘটনা ঘটেনি। তারা গুলির শব্দ পেয়েছেন। নিহতদের শরীরে ৫৪টি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। এছাড়া পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে গুলির চিহ্নের কথা উল্লেখ থাকলেও পিটুনি চিহ্নের কথা নেই। এদিকে পুলিশ নিহতদের নাশকতাকারী দাবি করলেও স্বজনার বলছেন, নাশকতাতো দূরের কথা তারা রাজনীতিও করে না। পুলিশ ওদের ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে। মঙ্গলবার সুমনের বাবা জনি রবি দাস ও মা জোৎস্না দাস ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। জনি দাস জানান, সুমন গাবতলী-উত্তরা রুটের কোস্টার গাড়ির হেলপারি করত। আর তিনি মুচির কাজ করেন। মিরপুর-১১ নম্বরের সি ব্লকের কালসি কবরস্থান বস্তিতে থাকেন তারা। তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আমি যখন কাজ করছিলাম, তখনো আশপাশে ওকে দেখেছি। তার পর থেকে সুমনের আর কোনো খোঁজ ছিল না। সোমবার বিকালে ওর খোঁজে থানায় গেলে জানতে পারি ঢাকা মেডিকেলে তিন জনের লাশ পড়ে আছে। তিনি কান্না জড়ানো কণ্ঠে বলেন- আমরা দিন আনি, দিন খাই। আমি কিংবা আমার ছেলে কোনো রাজনীতি করি না। আমার ছেলেকে কেন পুলিশ গুলি করে মারল? এদিকে রবিনের লাশ শনাক্ত করেন তার দাদী ও চাচা সুজন। রবিনের দাদী জানান, জন্মের পরই রবিনের মা মারা যায়। এরপর থেকেই রবিন তার কাছে মিরপুর ১১ নম্বরের ভাড়া বাসায় বড় হয়। রবিনের বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্য এলাকায় থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পাবনার চাটমোহর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে। তিনি বলেন, রবিন টেম্পোর হেলপার। রোববার রাত ১০টার দিকে এক হিজড়া এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ সূত্র জানায়, ময়নাতদন্তে নিহত তিন জনের শরীরে মারধরের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সুরতহাল প্রতিবেদনে মিরপুর থানার এসআই মাসুদ পারভেজ উল্লেখ করেন, তিনজনের মধ্যে একজনের দেহে ২২টি, একজনের দেহে ১৭টি এবং অপরজনের দেহে ১৫টি গুলির ক্ষত রয়েছে। তাদের মধ্যে একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী বলেও সুরতহালে উল্লেখ করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত তিনজন কয়েকজন সহযোগীসহ কাজীপাড়ার কৃষিবিদ ভবনের সামনে ককটেল, পেট্রল, পেট্রলবোমাসহ নাশকতার জন্য অবস্থান করলে জনতা তাদের ধাওয়া দেয়। বাইশবাড়ী এলাকায় তাদের ধরে ফেলে পিটুনি দেয় ও গুলি করে গুরুতর জখম করে, যার কারণে তাদের মৃত্যু হয়। সোমবার ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টার থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাইশবাড়ী গলিতে জনতার ধোলাই ও গুলিতে তিন বোমাবাজ নিহত হয়েছে। এ ব্যাপারে মিরপুর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। কেএইচ


No comments:

Post a Comment