Wednesday, February 25, 2015

অপসারণ হচ্ছেন গাজীপুর সিটি মেয়র মান্নান:Time News

অপসারণ হচ্ছেন গাজীপুর সিটি মেয়র মান্নান টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ১২:০২:২৮ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এমএ মান্নানকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের পদ থেকে অপসারণ করা হতে পারে। এর অংশ হিসেবে মেয়রের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোর অভিযোগপত্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণের
ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উচ্চ আদালতের এক আদেশে আসাদুর রহমানের প্যানেল মেয়র পদ স্থগিত ছিল। সোমবার হাইকোর্টের আপিল বিভাগ কিরণকে বৈধ প্যানেল মেয়র ঘোষণা করেন। এর ফলে তার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হওয়ার বাধা দূর হয়েছে। ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গীর পাগাড় এলাকা) কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ বিলুপ্ত টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানের ঘনিষ্ঠ। মেয়র নির্বাচনে আজমত উল্লাহ মান্নানের কাছে পরাজিত হন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্যানেল অব মেয়র নির্বাচনের বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা ছিল। মহামান্য আদালত সোমবার সেটির রায় দিয়েছেন। প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব দিয়ে থাকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে তিন প্যানেল মেয়রের প্রথম জনই ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আসেনি। মেয়র মান্নানকে বহিষ্কারের প্রক্রিয়া ও কিরণকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র মনোনয়নের সংবাদে মহানগর আওয়ামী লীগ শিবিরে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে। মেয়র মান্নানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর অভিযোগপত্র প্রস্তুতের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক নেতা জানিয়েছেন। তারা বলছেন, নাশকতার মামলাগুলোর চার্জশিট দ্রুত দাখিলের জন্য পুলিশের ওপর উচ্চ মহলের চাপ রয়েছে। মেয়র মান্নানকে ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করে গাজীপুর জেলা পুলিশ। ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে পরাজিত করে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসন থেকে দেশের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৯১ বিএনপি সরকারের ধর্মপ্রতিমন্ত্রী ও দলের যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। তিনি বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। ২৭ ডিসেম্বর গাজীপুরে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে সিটি মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান, জেলা বিএনপির সভাপতি একেএম ফজলুল হক মিলনসহ ৩০ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়। মহানগরীর বড় বাড়িতে একটি মাইক্রোবাস ও একটি লেগুনা ভাংচুরের অভিযোগে এমএ ফরিদ নামে একজন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সরকারি কাজে বাধা দান, পুলিশ সদস্যদের লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল দিয়ে আহত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৯ নভেম্বর মেয়র মান্নানকে প্রধান আসামি করে জয়দেবপুর থানায় আরেকটি মামলা করা হয়। মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখসহ বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ৩০০-৪০০ অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। জয়দেবপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মাহমুদুল হাসান-২ মামলাটি করেন। সর্বশেষ ৪ ফেব্র“য়ারি গাজীপুরে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় অধ্যাপক এমএ মান্নানকে প্রধান আসামি করে পুলিশ আরেকটি মামলা করে। আগের দুটি মামলায় জামিন পেলেও এ মামলায় মেয়র পলাতক ছিলেন। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুলসহ দলের ৩৯ জনের নামে মামলাটি করে জয়দেবপুর থানার পুলিশ। ইআর  


No comments:

Post a Comment