
চেয়ে আবেদন করেছে বিএনপি। এই স্পটগুলোতে নিজেই উপস্থিত থাকতে চান খালেদা জিয়া। এর বাইরেও নেতা-কর্মীরা ঢাকার যে কোনো স্পটে জড়ো হয়ে তার উপস্থিতি কামনা করলে সেখানেই ছুটে যাবেন বিএনপি নেত্রী। পথসভার আদলে তাৎক্ষণিক সমাবেশেও বক্তব্য রাখবেন তিনি, জানায় সূত্রটি। সূত্র জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে সরকার হার্ডলাইনে গেলে নিজের করণীয় সম্পর্কেও ভেবে রেখেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা। গত বছর ২৯ ডিসেম্বরের মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র মতো তাকে বাড়ির গেটে আটকে দেওয়া হলে তা উপেক্ষা করে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন তিনি। বিএনপির হাইকমান্ড ধরেই নিয়েছে নানা অজুহাত দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত সমাবেশের অনুমতি দেবে না সরকার। এ পরিস্থিতিতে দলের প্রধান হয়ে ঘরে বসে থাকলে বিএনপিকে নিয়ে নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনগণের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হবে। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত রুহুল কবীর রিজভী বক্তব্যেও এর আভাস মিলেছে। সর্বশেষ শুক্রবার জিয়ার মাজারে ফুল দিতে গিয়ে ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ৫ জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি না পেলেও মাঠে থাকবে বিএনপি। এমনকি বুধবার গুলশান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নিজেই মাঠে নামার ইঙ্গিত দেন খালেদা জিয়া। সূত্র জানায়, নানাভাবে চেষ্টা করেও ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীদের মাঠে নামাতে পারেন নি বিএনপি চেয়ারপারসন। এমন পরিস্থিতিতে এবার নিজেই মাঠে নামছেন খালেদা জিয়া। আর মোক্ষম সময় হিসেবে বেছে নিয়েছেন ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তির দিনটিকে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় জনসভা করার অনুমোদন চেয়ে বেশ কয়েকদিন আগে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। অথচ সমাবেশের দুই দিনমাত্র বাকি থাকলেও এখনো অনুমতি মেলেনি। শুক্রবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নাশকতার আশঙ্কা থাকলে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। জেএ
No comments:
Post a Comment