অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করছে। ডিএমপি মিডিয়ার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাঈদুর রহমানও সোমবার সকালে সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগকে অনুমতি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজধানীতে যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশে আগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ১১ শর্তে আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যেই এই কর্মসূচি করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। তাদের সমাবেশ রে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল আজ ঢাকাসহ ১৪টি জেলায় হরতাল কর্মসূচি পালন করছে। যদিও তারা ঢাকা মহানগরীকে হরতালের আওতার বাইরে রেখেছে। এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি রাত থেকে এখনো তার গুলশান কার্যালয়েই রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঘোষিত সমাবেশের জন্য নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় যেতে চাইলেও কার্যালয় থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ওইদিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সমাবেশে যেতে না পেরে খালেদা জিয়া সেদিনই পরবর্তী কর্মসূচি না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর দিন তার কার্যালয়ের সামনে থেকে ইট বালুর ট্রাক সরানো হলেও গতকাল রবিবার রাত থেকে তার কার্যালয়ের সামনে নতুন করে বালুর ট্রাক রাখা হয়েছে। বিএনপিকে যখন সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না তখন আওয়ামী লীগ কিভাবে এই সমাবেশ করবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বিবিসি বাংলা-কে বলেছেন, এটি সাধারণ জনসভার মতো নয়। তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে জাতির জনক পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই দিনটি পালন করি সাড়ম্বরে সারাদেশে। ঢাকায় একটি বড় সমাবেশ হয়। যখনি যে সরকার থাকুক সবার উচিত দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা।’ কিন্তু কিছুদিন আগে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেননি আর এখন নিজেরা সমাবেশ করছেন, এটিকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে লেলিন বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা হতো না। কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ছিল এ সমাবেশের ভেতর দিয়ে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবেন।’ তার দাবি, হরতাল সন্ত্রাস করা হবে এমন পরিকল্পনাই ছিল বিএনপির। বিএনপি তো বলছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা। তার আগেই কিভাবে বলছেন যে নাশকতা হবে। জবাবে লেনিন বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি। তাদের পরিকল্পনা আমরা জানি।’ ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর সরকার নজর রাখলে কি আজকের এ অবস্থা হতো কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সাধারণ সমাবেশে বাধা দেয়া হতো না। খালেদা জিয়া আগেও সমাবেশ করেছেন। কিন্তু এবার নিরীহ কর্মসূচির আড়ালে যে অশান্তির আয়োজন করেছিল তারা সেটা তো আমাদের জানা আছে।’ সমাবেশের আগেই বিএনপি কিভাবে প্রমাণ করবে যে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছোট দেশ। কে কি করে, কার বাড়িতে কি রান্না হয় সেটাও আমরা জানতে পারি।’ মন্তব্য
Monday, January 12, 2015
সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে আওয়ামী লীগ:RTNN
সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে আওয়ামী লীগ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সোমবার সকালে দলটির দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সোমবার ভোরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে। আওয়ামী লীগ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ক্ষমতাসীন হয়েও
অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করছে। ডিএমপি মিডিয়ার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাঈদুর রহমানও সোমবার সকালে সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগকে অনুমতি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজধানীতে যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশে আগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ১১ শর্তে আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যেই এই কর্মসূচি করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। তাদের সমাবেশ রে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল আজ ঢাকাসহ ১৪টি জেলায় হরতাল কর্মসূচি পালন করছে। যদিও তারা ঢাকা মহানগরীকে হরতালের আওতার বাইরে রেখেছে। এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি রাত থেকে এখনো তার গুলশান কার্যালয়েই রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঘোষিত সমাবেশের জন্য নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় যেতে চাইলেও কার্যালয় থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ওইদিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সমাবেশে যেতে না পেরে খালেদা জিয়া সেদিনই পরবর্তী কর্মসূচি না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর দিন তার কার্যালয়ের সামনে থেকে ইট বালুর ট্রাক সরানো হলেও গতকাল রবিবার রাত থেকে তার কার্যালয়ের সামনে নতুন করে বালুর ট্রাক রাখা হয়েছে। বিএনপিকে যখন সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না তখন আওয়ামী লীগ কিভাবে এই সমাবেশ করবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বিবিসি বাংলা-কে বলেছেন, এটি সাধারণ জনসভার মতো নয়। তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে জাতির জনক পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই দিনটি পালন করি সাড়ম্বরে সারাদেশে। ঢাকায় একটি বড় সমাবেশ হয়। যখনি যে সরকার থাকুক সবার উচিত দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা।’ কিন্তু কিছুদিন আগে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেননি আর এখন নিজেরা সমাবেশ করছেন, এটিকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে লেলিন বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা হতো না। কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ছিল এ সমাবেশের ভেতর দিয়ে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবেন।’ তার দাবি, হরতাল সন্ত্রাস করা হবে এমন পরিকল্পনাই ছিল বিএনপির। বিএনপি তো বলছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা। তার আগেই কিভাবে বলছেন যে নাশকতা হবে। জবাবে লেনিন বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি। তাদের পরিকল্পনা আমরা জানি।’ ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর সরকার নজর রাখলে কি আজকের এ অবস্থা হতো কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সাধারণ সমাবেশে বাধা দেয়া হতো না। খালেদা জিয়া আগেও সমাবেশ করেছেন। কিন্তু এবার নিরীহ কর্মসূচির আড়ালে যে অশান্তির আয়োজন করেছিল তারা সেটা তো আমাদের জানা আছে।’ সমাবেশের আগেই বিএনপি কিভাবে প্রমাণ করবে যে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছোট দেশ। কে কি করে, কার বাড়িতে কি রান্না হয় সেটাও আমরা জানতে পারি।’ মন্তব্য
অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করছে। ডিএমপি মিডিয়ার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাঈদুর রহমানও সোমবার সকালে সমাবেশ করতে আওয়ামী লীগকে অনুমতি দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাজধানীতে যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশে আগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ১১ শর্তে আওয়ামী লীগকে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যেই এই কর্মসূচি করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। তাদের সমাবেশ রে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল আজ ঢাকাসহ ১৪টি জেলায় হরতাল কর্মসূচি পালন করছে। যদিও তারা ঢাকা মহানগরীকে হরতালের আওতার বাইরে রেখেছে। এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৩ জানুয়ারি রাত থেকে এখনো তার গুলশান কার্যালয়েই রয়েছেন। ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঘোষিত সমাবেশের জন্য নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় যেতে চাইলেও কার্যালয় থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ওইদিনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। সমাবেশে যেতে না পেরে খালেদা জিয়া সেদিনই পরবর্তী কর্মসূচি না দেয়া পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরপর দিন তার কার্যালয়ের সামনে থেকে ইট বালুর ট্রাক সরানো হলেও গতকাল রবিবার রাত থেকে তার কার্যালয়ের সামনে নতুন করে বালুর ট্রাক রাখা হয়েছে। বিএনপিকে যখন সমাবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না তখন আওয়ামী লীগ কিভাবে এই সমাবেশ করবে?- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বিবিসি বাংলা-কে বলেছেন, এটি সাধারণ জনসভার মতো নয়। তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালে জাতির জনক পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। এরপর থেকে প্রতিবছরই দিনটি পালন করি সাড়ম্বরে সারাদেশে। ঢাকায় একটি বড় সমাবেশ হয়। যখনি যে সরকার থাকুক সবার উচিত দিনটিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা।’ কিন্তু কিছুদিন আগে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেননি আর এখন নিজেরা সমাবেশ করছেন, এটিকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে লেলিন বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা হতো না। কিন্তু তাদের প্রস্তুতি ছিল এ সমাবেশের ভেতর দিয়ে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করবেন।’ তার দাবি, হরতাল সন্ত্রাস করা হবে এমন পরিকল্পনাই ছিল বিএনপির। বিএনপি তো বলছে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা। তার আগেই কিভাবে বলছেন যে নাশকতা হবে। জবাবে লেনিন বলেন, ‘আমরা সরকারে আছি। তাদের পরিকল্পনা আমরা জানি।’ ৫ জানুয়ারির সমাবেশ করলে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর সরকার নজর রাখলে কি আজকের এ অবস্থা হতো কিনা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘সাধারণ সমাবেশে বাধা দেয়া হতো না। খালেদা জিয়া আগেও সমাবেশ করেছেন। কিন্তু এবার নিরীহ কর্মসূচির আড়ালে যে অশান্তির আয়োজন করেছিল তারা সেটা তো আমাদের জানা আছে।’ সমাবেশের আগেই বিএনপি কিভাবে প্রমাণ করবে যে তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ছোট দেশ। কে কি করে, কার বাড়িতে কি রান্না হয় সেটাও আমরা জানতে পারি।’ মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment