জাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা হচ্ছে। রাজপথকে রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশ ও বিজিবি প্রহরায় কিছু যান চলাচল করলেও কার্যত সারাদেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এতে পরিবহন খাতে প্রত্যেক দিন ৩০০-৩৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ চলতি বছরের ৫ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ ও রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৮ জন যাত্রী, ১১ জন চালক-শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সারাদেশে ৫৭২টি যানবাহনে আংশিক অগ্নিসংযোগ আর ৬৫টি যানবাহন সম্পূর্ণরুপে পুড়ে গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩,২৩১টি গাড়ি। এছাড়া বিআরটিসির ৫০টি বাসে অগ্নিসংযোগসহ ৩১৭টি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘৫ জানুয়ারি অবরোধ ডাকার পর সরকার সমর্থিত পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু নাশকতার ভয়ে চালকেরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে পারছেন না। এরপরও পেটের দায়ে কিছু কিছু চালক গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন। সহিংসতার আগুনে তারা প্রাণ হারাচ্ছেন।’ সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এই অচলাবস্থা নিরসনে ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান যাত্রী কল্যাণ সমিটির এই সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পেট্রলবোমার আগুনে পুড়ে ২২ জন যাত্রী এবং ৭৩ জন চালক-শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় ২৬,৩৭৪টি যানবাহনে ভাঙচুর, ১,১৬২টি যানবাহনে আংশিক অগ্নিসংযোগ ও ৭৮১টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২৫ মাসে পরিবহনে খাতের সহিংসতায় মোট ৩২৪ জন নিহত ও ৪ লাখ ৪১,৮৬৫ জন আহত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন– আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শরীফ রফিকুজ্জামান, অর্থসম্পাদক এম মনিরুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রাজিব মীর প্রমুখ। মন্তব্য
Wednesday, January 21, 2015
পরিবহন খাতে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে ৩৬০ কোটি টাকা:RTNN
পরিবহন খাতে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে ৩৬০ কোটি টাকা নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বর্তমানের হরতাল-অবরোধে সৃষ্ট সংঘাতে সারাদেশে পরিবহন খাতে প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৩৬০ কোটি টাকার মত ক্ষতি হচ্ছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গণপরিবহন, যাত্রী নিয়ে রাজনীতি ও সহিংসতা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেয় সংগঠনটি। সংগঠনের মহাসচিব মো. মো
জাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা হচ্ছে। রাজপথকে রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশ ও বিজিবি প্রহরায় কিছু যান চলাচল করলেও কার্যত সারাদেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এতে পরিবহন খাতে প্রত্যেক দিন ৩০০-৩৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ চলতি বছরের ৫ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ ও রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৮ জন যাত্রী, ১১ জন চালক-শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সারাদেশে ৫৭২টি যানবাহনে আংশিক অগ্নিসংযোগ আর ৬৫টি যানবাহন সম্পূর্ণরুপে পুড়ে গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩,২৩১টি গাড়ি। এছাড়া বিআরটিসির ৫০টি বাসে অগ্নিসংযোগসহ ৩১৭টি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘৫ জানুয়ারি অবরোধ ডাকার পর সরকার সমর্থিত পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু নাশকতার ভয়ে চালকেরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে পারছেন না। এরপরও পেটের দায়ে কিছু কিছু চালক গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন। সহিংসতার আগুনে তারা প্রাণ হারাচ্ছেন।’ সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এই অচলাবস্থা নিরসনে ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান যাত্রী কল্যাণ সমিটির এই সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পেট্রলবোমার আগুনে পুড়ে ২২ জন যাত্রী এবং ৭৩ জন চালক-শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় ২৬,৩৭৪টি যানবাহনে ভাঙচুর, ১,১৬২টি যানবাহনে আংশিক অগ্নিসংযোগ ও ৭৮১টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২৫ মাসে পরিবহনে খাতের সহিংসতায় মোট ৩২৪ জন নিহত ও ৪ লাখ ৪১,৮৬৫ জন আহত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন– আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শরীফ রফিকুজ্জামান, অর্থসম্পাদক এম মনিরুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রাজিব মীর প্রমুখ। মন্তব্য
জাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে গণপরিবহন ও সাধারণ মানুষকে জিম্মি করা হচ্ছে। রাজপথকে রাজনৈতিক কর্মসূচির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পুলিশ ও বিজিবি প্রহরায় কিছু যান চলাচল করলেও কার্যত সারাদেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এতে পরিবহন খাতে প্রত্যেক দিন ৩০০-৩৬০ কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ চলতি বছরের ৫ থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত হরতাল-অবরোধ ও রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৮ জন যাত্রী, ১১ জন চালক-শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সারাদেশে ৫৭২টি যানবাহনে আংশিক অগ্নিসংযোগ আর ৬৫টি যানবাহন সম্পূর্ণরুপে পুড়ে গেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে ৩,২৩১টি গাড়ি। এছাড়া বিআরটিসির ৫০টি বাসে অগ্নিসংযোগসহ ৩১৭টি বাসে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘৫ জানুয়ারি অবরোধ ডাকার পর সরকার সমর্থিত পরিবহন মালিকরা গাড়ি চালানোর নির্দেশ দেন। কিন্তু নাশকতার ভয়ে চালকেরা গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে পারছেন না। এরপরও পেটের দায়ে কিছু কিছু চালক গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হচ্ছেন। সহিংসতার আগুনে তারা প্রাণ হারাচ্ছেন।’ সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে এই অচলাবস্থা নিরসনে ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রতি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান যাত্রী কল্যাণ সমিটির এই সম্পাদক। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পেট্রলবোমার আগুনে পুড়ে ২২ জন যাত্রী এবং ৭৩ জন চালক-শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ সময় ২৬,৩৭৪টি যানবাহনে ভাঙচুর, ১,১৬২টি যানবাহনে আংশিক অগ্নিসংযোগ ও ৭৮১টি যানবাহন সম্পূর্ণ পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২০১৩ জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ২৫ মাসে পরিবহনে খাতের সহিংসতায় মোট ৩২৪ জন নিহত ও ৪ লাখ ৪১,৮৬৫ জন আহত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন– আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শরীফ রফিকুজ্জামান, অর্থসম্পাদক এম মনিরুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রাজিব মীর প্রমুখ। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment