চন নিয়ে ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ অব্যাহত থাকবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে টানা হরতাল এবং সেটির সফলতা দেখে আসবে অসহযোগ। উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তির সমাবেশ ঘিরে ৩ জানুয়ারি রাত থেকে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর ৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার তিনি সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন। এরপর থেকে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় আন্দোলনে সব ধরনের দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি নেতাকর্মীদের যে কোনো মূল্যে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। এজন্য নিয়মিত যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের অনুপ্রাণিতও করছেন। অবরুদ্ধের পর থেকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ফোনে জেলা ও ঢাকা মহানগর নেতাদের সঙ্গে প্রতিদিনই কথা বলছেন। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া দল ও জোটের নেতাদের পরিষ্কার জানিয়েছেন, আন্দোলন থেকে সরে আসা কিংবা ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। এখন কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের সময় শুরু হয়ে গেছে। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে তিনি নিজেও মনে করছেন। আর সেটি হলে কোন কৌশলে আন্দোলন চলবে তার পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট নেতাদের তিনি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে, ১২ জানুয়ারি রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের ঘোষিত জনসভার দিন পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দিতে পারে ২০-দলীয় জোট। সবকিছু ঠিক থাকলে সে ঘোষণা আজই আসতে পারে। সেই সমাবেশের অনুমতি না পেলে অবরোধের সঙ্গে আগামী সপ্তাহ থেকে হরতাল কর্মসূচি যুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপিতে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া সাংবাদিক, পেশাজীবী প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আর রাজধানীতে সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়া পর্যন্ত কার্যালয়ে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে প্রথমে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন তিনি। বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের একাধিক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, সরকারকে অনেক সময় দেয়া হয়েছে। জনগণের কথা ভেবে এক বছর হরতাল-অবরোধ কিংবা রাজপথে কঠোর কোনো কর্মসূচি দেয়নি ২০ দল। কিন্তু এটাকে দুর্বলতা ভেবে বিরোধী জোটকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে সরকার। তবে এবার পিছু হটবে না বিরোধী জোট। যে কোনো পরিস্থিতিতে আন্দেঅরনে অটল থাকবে তারা। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আন্দোলন চলছে। তিনিই কৌশল চূড়ান্ত ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর জোটের শরিক দলগুলোও আস্থা রেখেছে। তারা বলেন, চলমান আন্দোলন একটি কার্যকর পরিণতি দিকেই যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়ন ও সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকদের হামলার মুখেও অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ধরে রেখেছে ২০ দলের নেতাকর্মীরা। এদিকে, সরকার সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণে দুইপক্ষকে সংলাপে বসার তাগিদ আসছে কূটনৈতিক মহল, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তরফে। গতকাল শনিবার এফবিসিসিআই বলেছে, অবরোধ, হরতালের কারণে পরিবহনখাত অচল হয়ে পড়েছে। সংগঠনটি অর্থনীতির স্বার্থে দুদলের সমঝোতার তাগিদ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্রুত সংলাপের তাগিদ দিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠেছে। সারা দেশে সহিংসতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা একটি অকার্যকর রাষ্ট্র, এমনকি গৃহযুদ্ধের দিকেও ধাবিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, সরকার দাবি না মেনে আন্দোলন দমনে নানাপন্থা নিচ্ছে। এজন্য বিএনপি জোটকেও তাদের আন্দোলনে কৌশলী হতে হচ্ছে। তিনি জানান, এবার আন্দোলন থেকে আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তৃণমূল থেকেই আন্দোলন অব্যাহত রাখার চাপ রয়েছে। সেটি বিবেচনায় রেখেই চেয়ারপারসন আন্দোলনের নতুন কর্মপন্থা ঠিক করছেন। খুব শিগগিরই লাগাতার অবরোধের সঙ্গে আন্দোলনের নতুন চমক দেশবাসী দেখতে পাবে বলেও জানান বিএনপির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক। মন্তব্য
Sunday, January 11, 2015
বিরোধী জোটের আন্দোলনে যোগ হচ্ছে হরতাল-অসহযোগ:RTNN
বিরোধী জোটের আন্দোলনে যোগ হচ্ছে হরতাল-অসহযোগ নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: টানা নবম দিনের মত গুলশানের নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার ঘোষণাতেই সারাদেশে চলা লাগাতার অবরোধের আজ রবিবার ষষ্ঠ দিন। আন্দোলন বেগবানে নিত্য নতুন কৌশলে এগুচ্ছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। এরই অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে আসছে আন্দালনের পরবর্তী কর্মসূচি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন নির্বা
চন নিয়ে ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ অব্যাহত থাকবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে টানা হরতাল এবং সেটির সফলতা দেখে আসবে অসহযোগ। উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তির সমাবেশ ঘিরে ৩ জানুয়ারি রাত থেকে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর ৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার তিনি সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন। এরপর থেকে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় আন্দোলনে সব ধরনের দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি নেতাকর্মীদের যে কোনো মূল্যে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। এজন্য নিয়মিত যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের অনুপ্রাণিতও করছেন। অবরুদ্ধের পর থেকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ফোনে জেলা ও ঢাকা মহানগর নেতাদের সঙ্গে প্রতিদিনই কথা বলছেন। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া দল ও জোটের নেতাদের পরিষ্কার জানিয়েছেন, আন্দোলন থেকে সরে আসা কিংবা ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। এখন কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের সময় শুরু হয়ে গেছে। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে তিনি নিজেও মনে করছেন। আর সেটি হলে কোন কৌশলে আন্দোলন চলবে তার পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট নেতাদের তিনি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে, ১২ জানুয়ারি রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের ঘোষিত জনসভার দিন পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দিতে পারে ২০-দলীয় জোট। সবকিছু ঠিক থাকলে সে ঘোষণা আজই আসতে পারে। সেই সমাবেশের অনুমতি না পেলে অবরোধের সঙ্গে আগামী সপ্তাহ থেকে হরতাল কর্মসূচি যুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপিতে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া সাংবাদিক, পেশাজীবী প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আর রাজধানীতে সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়া পর্যন্ত কার্যালয়ে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে প্রথমে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন তিনি। বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের একাধিক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, সরকারকে অনেক সময় দেয়া হয়েছে। জনগণের কথা ভেবে এক বছর হরতাল-অবরোধ কিংবা রাজপথে কঠোর কোনো কর্মসূচি দেয়নি ২০ দল। কিন্তু এটাকে দুর্বলতা ভেবে বিরোধী জোটকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে সরকার। তবে এবার পিছু হটবে না বিরোধী জোট। যে কোনো পরিস্থিতিতে আন্দেঅরনে অটল থাকবে তারা। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আন্দোলন চলছে। তিনিই কৌশল চূড়ান্ত ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর জোটের শরিক দলগুলোও আস্থা রেখেছে। তারা বলেন, চলমান আন্দোলন একটি কার্যকর পরিণতি দিকেই যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়ন ও সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকদের হামলার মুখেও অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ধরে রেখেছে ২০ দলের নেতাকর্মীরা। এদিকে, সরকার সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণে দুইপক্ষকে সংলাপে বসার তাগিদ আসছে কূটনৈতিক মহল, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তরফে। গতকাল শনিবার এফবিসিসিআই বলেছে, অবরোধ, হরতালের কারণে পরিবহনখাত অচল হয়ে পড়েছে। সংগঠনটি অর্থনীতির স্বার্থে দুদলের সমঝোতার তাগিদ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্রুত সংলাপের তাগিদ দিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠেছে। সারা দেশে সহিংসতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা একটি অকার্যকর রাষ্ট্র, এমনকি গৃহযুদ্ধের দিকেও ধাবিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, সরকার দাবি না মেনে আন্দোলন দমনে নানাপন্থা নিচ্ছে। এজন্য বিএনপি জোটকেও তাদের আন্দোলনে কৌশলী হতে হচ্ছে। তিনি জানান, এবার আন্দোলন থেকে আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তৃণমূল থেকেই আন্দোলন অব্যাহত রাখার চাপ রয়েছে। সেটি বিবেচনায় রেখেই চেয়ারপারসন আন্দোলনের নতুন কর্মপন্থা ঠিক করছেন। খুব শিগগিরই লাগাতার অবরোধের সঙ্গে আন্দোলনের নতুন চমক দেশবাসী দেখতে পাবে বলেও জানান বিএনপির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক। মন্তব্য
চন নিয়ে ইতিবাচক পরিস্থিতি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অবরোধ অব্যাহত থাকবে। এর সঙ্গে যুক্ত হবে টানা হরতাল এবং সেটির সফলতা দেখে আসবে অসহযোগ। উল্লেখ্য, ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তির সমাবেশ ঘিরে ৩ জানুয়ারি রাত থেকে গুলশানে নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরপর ৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার তিনি সারাদেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন। এরপর থেকে দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ অবস্থায় আন্দোলনে সব ধরনের দিক-নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া। তিনি নেতাকর্মীদের যে কোনো মূল্যে কর্মসূচি অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন। এজন্য নিয়মিত যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের অনুপ্রাণিতও করছেন। অবরুদ্ধের পর থেকে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ফোনে জেলা ও ঢাকা মহানগর নেতাদের সঙ্গে প্রতিদিনই কথা বলছেন। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া দল ও জোটের নেতাদের পরিষ্কার জানিয়েছেন, আন্দোলন থেকে সরে আসা কিংবা ছাড় দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকারকে যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে। এখন কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের সময় শুরু হয়ে গেছে। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে তিনি নিজেও মনে করছেন। আর সেটি হলে কোন কৌশলে আন্দোলন চলবে তার পরিকল্পনা এবং নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট নেতাদের তিনি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। এদিকে, ১২ জানুয়ারি রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের ঘোষিত জনসভার দিন পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দিতে পারে ২০-দলীয় জোট। সবকিছু ঠিক থাকলে সে ঘোষণা আজই আসতে পারে। সেই সমাবেশের অনুমতি না পেলে অবরোধের সঙ্গে আগামী সপ্তাহ থেকে হরতাল কর্মসূচি যুক্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে বিএনপিতে। খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া সাংবাদিক, পেশাজীবী প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের মাধ্যমে দলের নেতাকর্মীদের জানিয়েছেন, যে কোনো মূল্যে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। আর রাজধানীতে সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়া পর্যন্ত কার্যালয়ে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খালেদা জিয়া। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে প্রথমে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন তিনি। বিএনপি ও ২০-দলীয় জোটের একাধিক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, সরকারকে অনেক সময় দেয়া হয়েছে। জনগণের কথা ভেবে এক বছর হরতাল-অবরোধ কিংবা রাজপথে কঠোর কোনো কর্মসূচি দেয়নি ২০ দল। কিন্তু এটাকে দুর্বলতা ভেবে বিরোধী জোটকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে সরকার। তবে এবার পিছু হটবে না বিরোধী জোট। যে কোনো পরিস্থিতিতে আন্দেঅরনে অটল থাকবে তারা। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই আন্দোলন চলছে। তিনিই কৌশল চূড়ান্ত ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর জোটের শরিক দলগুলোও আস্থা রেখেছে। তারা বলেন, চলমান আন্দোলন একটি কার্যকর পরিণতি দিকেই যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়ন ও সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকদের হামলার মুখেও অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ধরে রেখেছে ২০ দলের নেতাকর্মীরা। এদিকে, সরকার সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে দাবি করলেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণে দুইপক্ষকে সংলাপে বসার তাগিদ আসছে কূটনৈতিক মহল, সুশীল সমাজ, ব্যবসায়ী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তরফে। গতকাল শনিবার এফবিসিসিআই বলেছে, অবরোধ, হরতালের কারণে পরিবহনখাত অচল হয়ে পড়েছে। সংগঠনটি অর্থনীতির স্বার্থে দুদলের সমঝোতার তাগিদ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দ্রুত সংলাপের তাগিদ দিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠেছে। সারা দেশে সহিংসতা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমরা একটি অকার্যকর রাষ্ট্র, এমনকি গৃহযুদ্ধের দিকেও ধাবিত হতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। আন্দোলনের নতুন কর্মসূচির বিষয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, সরকার দাবি না মেনে আন্দোলন দমনে নানাপন্থা নিচ্ছে। এজন্য বিএনপি জোটকেও তাদের আন্দোলনে কৌশলী হতে হচ্ছে। তিনি জানান, এবার আন্দোলন থেকে আর পিছু হটার সুযোগ নেই। তৃণমূল থেকেই আন্দোলন অব্যাহত রাখার চাপ রয়েছে। সেটি বিবেচনায় রেখেই চেয়ারপারসন আন্দোলনের নতুন কর্মপন্থা ঠিক করছেন। খুব শিগগিরই লাগাতার অবরোধের সঙ্গে আন্দোলনের নতুন চমক দেশবাসী দেখতে পাবে বলেও জানান বিএনপির অন্যতম এই নীতিনির্ধারক। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment