
শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রেখে গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার চ্যালেঞ্জ নিয়ে বর্তমান দেশ পরিচালনা করছে। গণতন্ত্রের বিকাশ, আইনের শাসন সুদৃঢ়করণ এবং সামাজিক শান্তি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংসদ দেশের সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু। এ প্রেক্ষাপটে আমি সরকারি দল ও বিরোধী দল নির্বিশেষে সকলকে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রতিষ্ঠান জাতীয় সংসদে গঠনমূলক ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।’ চলতি সংসদের বিতর্কিত নির্বাচন নিয়ে অব্যাহত রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে আবদুল হামিদ এই আহ্বান জানান। সোয়া এক ঘণ্টার বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি অর্থনীতি, বাণিজ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের কর্মকাণ্ড ও সাফল্য তুলে ধরেন। সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার বিভিন্ন দিকও তুলে ধরেন তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘দেশের মাটি থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে বর্তমান সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বিগত মহাজোট সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার এ লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে।’ ‘এর ফলে দেশে নাশকতামূলক কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং জনজীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে বলে’ দাবি করেন তিনি। সংসদের প্রথম এবং নতুন বছরের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণ দেওয়ার বিধান রয়েছে। এর আগে গত বছরের ২৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির হিসেবে সংসদে প্রথম ভাষণ দেন আবদুল হামিদ। মন্তব্য
No comments:
Post a Comment