টি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে যাতে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সকল পক্ষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সুযোগের সমতা নিশ্চিত হয়। দুই. নির্বাচন ঘোষণার আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ, দক্ষ, যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। যাতে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কাজ সুসম্পন্ন করা যায়। তিন. নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর সম্মতিক্রমে গঠিত নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। চার. নির্বাচনের উপযোগী শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তারিখ ঘোষণার পরপরই বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। পাঁচ. নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরুর আগেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতদূষ্ট ও বিতর্কিত হিসাবে চিহ্নিত সদস্যদের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে প্রত্যাহার এবং কর্তব্যপালন থেকে বিরত রাখতে হবে। ছয়. সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করতে হবে। এবং, সাত. বর্তমান সরকারের আমলে বন্ধ করে দেয়া সকল সংবাদপত্র ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল খুলে দিতে হবে। মাহমুদুর রহমানসহ আটক সকল সাংবাদিককে মুক্তি দিতে হবে। উপরোক্ত প্রস্তাবনাসমূহ মেনে নিয়ে জাতীয় সংকট নিরসন দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান ২০-দলীয় জোটনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে জনমত গঠনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ঘোষণার পাশপাশি ঐক্যবদ্ধভাবে একটি জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সকল গণতান্ত্রিক দল, শক্তি ও ব্যক্তির প্রতি উদাত্ত আহ্বানও জানান তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। জনগণ অধিকার হারিয়েছে। সবখানে অস্বাভাবিক অবস্থা। সকলেই আজ জীবন, সম্পদ, সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। কাজেই এবারের সংগ্রাম কেবল বিএনপি বা ২০ দলের নয়, সকল দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক মানুষের। সকলকে এ আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলমতের পার্থক্য আছে। সকলেরই নিজস্ব রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংষ্কৃতিক পৃথক ভাবনা ও কর্মসূচি আছে। কিন্তু দেশ রক্ষায়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লৰ্যে সকলকে আজ একমত হতে হবে। সকলকে এক প্ল্যাটফরমে এসে কিংবা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে বৃহত্তর জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে এ আন্দোলন করতে হবে। একজন গ্রেপ্তার হলে আরেকজনকে এগিয়ে এসে আন্দোলনকে অগ্রসর করে নিতে হবে। মন্তব্য
Thursday, January 1, 2015
সংকট নিরসনে সরকারকে খালেদার ৭ প্রস্তাবনা:RTNN
সংকট নিরসনে সরকারকে খালেদার ৭ প্রস্তাবনা নিজস্ব প্রতিবেদক আরটিএনএন ঢাকা: বর্তমান পরিস্থিতিকে শ্বাসরুদ্ধকর উল্লেখ করে সংকট নিরসনে সরকারকে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংলাপসহ সাত দফা প্রস্তাবনা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের গুলশান কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন এ প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। প্রস্তাবনাগুলো হলো- এক. জাতীয় সংসদের নির্বাচন অবশ্যই এক
টি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে যাতে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সকল পক্ষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সুযোগের সমতা নিশ্চিত হয়। দুই. নির্বাচন ঘোষণার আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ, দক্ষ, যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। যাতে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কাজ সুসম্পন্ন করা যায়। তিন. নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর সম্মতিক্রমে গঠিত নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। চার. নির্বাচনের উপযোগী শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তারিখ ঘোষণার পরপরই বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। পাঁচ. নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরুর আগেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতদূষ্ট ও বিতর্কিত হিসাবে চিহ্নিত সদস্যদের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে প্রত্যাহার এবং কর্তব্যপালন থেকে বিরত রাখতে হবে। ছয়. সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করতে হবে। এবং, সাত. বর্তমান সরকারের আমলে বন্ধ করে দেয়া সকল সংবাদপত্র ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল খুলে দিতে হবে। মাহমুদুর রহমানসহ আটক সকল সাংবাদিককে মুক্তি দিতে হবে। উপরোক্ত প্রস্তাবনাসমূহ মেনে নিয়ে জাতীয় সংকট নিরসন দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান ২০-দলীয় জোটনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে জনমত গঠনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ঘোষণার পাশপাশি ঐক্যবদ্ধভাবে একটি জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সকল গণতান্ত্রিক দল, শক্তি ও ব্যক্তির প্রতি উদাত্ত আহ্বানও জানান তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। জনগণ অধিকার হারিয়েছে। সবখানে অস্বাভাবিক অবস্থা। সকলেই আজ জীবন, সম্পদ, সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। কাজেই এবারের সংগ্রাম কেবল বিএনপি বা ২০ দলের নয়, সকল দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক মানুষের। সকলকে এ আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলমতের পার্থক্য আছে। সকলেরই নিজস্ব রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংষ্কৃতিক পৃথক ভাবনা ও কর্মসূচি আছে। কিন্তু দেশ রক্ষায়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লৰ্যে সকলকে আজ একমত হতে হবে। সকলকে এক প্ল্যাটফরমে এসে কিংবা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে বৃহত্তর জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে এ আন্দোলন করতে হবে। একজন গ্রেপ্তার হলে আরেকজনকে এগিয়ে এসে আন্দোলনকে অগ্রসর করে নিতে হবে। মন্তব্য
টি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে যাতে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করতে পারে এবং সকল পক্ষের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সুযোগের সমতা নিশ্চিত হয়। দুই. নির্বাচন ঘোষণার আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী সকল পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ, দক্ষ, যোগ্য ও সৎ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। যাতে জনপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কাজ সুসম্পন্ন করা যায়। তিন. নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় সংসদ ও মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হবে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর সম্মতিক্রমে গঠিত নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। চার. নির্বাচনের উপযোগী শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে তারিখ ঘোষণার পরপরই বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সারা দেশে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হবে। পাঁচ. নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরুর আগেই চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করতে হবে। প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষপাতদূষ্ট ও বিতর্কিত হিসাবে চিহ্নিত সদস্যদের সকল গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে প্রত্যাহার এবং কর্তব্যপালন থেকে বিরত রাখতে হবে। ছয়. সকল রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহার করতে হবে। এবং, সাত. বর্তমান সরকারের আমলে বন্ধ করে দেয়া সকল সংবাদপত্র ও স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল খুলে দিতে হবে। মাহমুদুর রহমানসহ আটক সকল সাংবাদিককে মুক্তি দিতে হবে। উপরোক্ত প্রস্তাবনাসমূহ মেনে নিয়ে জাতীয় সংকট নিরসন দ্রুততম সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানান ২০-দলীয় জোটনেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এ বিষয়ে জনমত গঠনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ঘোষণার পাশপাশি ঐক্যবদ্ধভাবে একটি জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সকল গণতান্ত্রিক দল, শক্তি ও ব্যক্তির প্রতি উদাত্ত আহ্বানও জানান তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। জনগণ অধিকার হারিয়েছে। সবখানে অস্বাভাবিক অবস্থা। সকলেই আজ জীবন, সম্পদ, সম্মান ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। কাজেই এবারের সংগ্রাম কেবল বিএনপি বা ২০ দলের নয়, সকল দেশপ্রেমিক ও গণতান্ত্রিক মানুষের। সকলকে এ আন্দোলনে অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলমতের পার্থক্য আছে। সকলেরই নিজস্ব রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংষ্কৃতিক পৃথক ভাবনা ও কর্মসূচি আছে। কিন্তু দেশ রক্ষায়, জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লৰ্যে সকলকে আজ একমত হতে হবে। সকলকে এক প্ল্যাটফরমে এসে কিংবা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে বৃহত্তর জাতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেল-জুলুম উপেক্ষা করে এ আন্দোলন করতে হবে। একজন গ্রেপ্তার হলে আরেকজনকে এগিয়ে এসে আন্দোলনকে অগ্রসর করে নিতে হবে। মন্তব্য
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment