আমাদের জানার অধিকার রয়েছে, কেন এমন একটি সরকারের প্রতি বৃটেন সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে যারা নিজের দেশের জনগণের অধিকার নির্মমভাবে দাবিয়ে রেখেছে। শুক্রবার হলবর্ন চেম্বারে বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থার লন্ডন প্রতিনিধিদের নিয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা জানি বৃটেন সরকার এখনও বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিরোধী দলবিহীন এবং ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এখন আমাদের জানার অধিকার রয়েছে, বৃটেন সরকার বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে।” মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আলেক্সান্ডার গালাগার, ডেভিড হেইউড, ইয়ান ম্যাকগাভিন, ক্রিস্টাল ম্যাককেন, এবং ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান। তারা বলেন, “২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে ৩০০ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ১৫৪ টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওইসব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের পছন্দের ব্যাক্তিদের এমপি নির্বাচিত ঘোষণা করে। বাকি আসনগুলোতে নির্বাচনী নাটক করলেও কমপক্ষে ৪০টি আসনে একজন প্রার্থীও ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ওই একচেটিয়া নির্বাচনের কারণে বিদেশী কোনো রাষ্ট্র নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলও পাঠায়নি। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি পর্যন্ত বাতিল করে দেয়।” ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানে পুনরায় কেয়ারটেকার পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, “এর মাধ্যমেই দেশটির গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষা সম্ভব।” তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বিরোধী দলীয় জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে। ওইদিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালোদিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে বিরোধী দলগুলো। চলতি বছর দিনটি পালন করার জন্য বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গেলে তাকে দলীয় কার্যালয়ে বন্দী করে রাখা হয়।” স্টিভেন্স বলেন, “বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল যে দলটি একাধিকবার জণগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা যদি দেশে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারে এমন পরিস্থিতি থেকে কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বৃটেনের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বলেন, “বাংলাদেশে এখন বাকস্বাধীনতা নেই।অনেকের বক্তব্য প্রচার করতে দেয়া হয় না। একটি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে।” এক প্রশ্নের জবাবে তারা নিজেদের মানবাধিকার কর্মী হিসেবে দাবি করে বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত একটি রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ যুক্তিসঙ্গত। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার লুণ্ঠিত। -ওএনবি নতুন বার্তা/এসএ
Saturday, January 17, 2015
বাংলাদেশে বৃটেনের বৈদেশিক সাহায্য পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন :Natun Barta
লন্ডন: বৃটেনে আইনজীবীদের স্বনামখ্যাত প্রতিষ্ঠান হলবর্ন চেম্বারের প্রধান ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বাংলাদেশের সঙ্গে বৃটেনের বৈদেশিক সাহায্য পুনর্বিবেচনার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই, মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই, মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নেই। দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দল তাদের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেনা। এই অবস্থায় বৃটেনের নাগরিক হিসাবে
আমাদের জানার অধিকার রয়েছে, কেন এমন একটি সরকারের প্রতি বৃটেন সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে যারা নিজের দেশের জনগণের অধিকার নির্মমভাবে দাবিয়ে রেখেছে। শুক্রবার হলবর্ন চেম্বারে বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থার লন্ডন প্রতিনিধিদের নিয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা জানি বৃটেন সরকার এখনও বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিরোধী দলবিহীন এবং ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এখন আমাদের জানার অধিকার রয়েছে, বৃটেন সরকার বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে।” মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আলেক্সান্ডার গালাগার, ডেভিড হেইউড, ইয়ান ম্যাকগাভিন, ক্রিস্টাল ম্যাককেন, এবং ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান। তারা বলেন, “২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে ৩০০ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ১৫৪ টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওইসব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের পছন্দের ব্যাক্তিদের এমপি নির্বাচিত ঘোষণা করে। বাকি আসনগুলোতে নির্বাচনী নাটক করলেও কমপক্ষে ৪০টি আসনে একজন প্রার্থীও ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ওই একচেটিয়া নির্বাচনের কারণে বিদেশী কোনো রাষ্ট্র নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলও পাঠায়নি। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি পর্যন্ত বাতিল করে দেয়।” ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানে পুনরায় কেয়ারটেকার পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, “এর মাধ্যমেই দেশটির গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষা সম্ভব।” তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বিরোধী দলীয় জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে। ওইদিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালোদিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে বিরোধী দলগুলো। চলতি বছর দিনটি পালন করার জন্য বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গেলে তাকে দলীয় কার্যালয়ে বন্দী করে রাখা হয়।” স্টিভেন্স বলেন, “বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল যে দলটি একাধিকবার জণগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা যদি দেশে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারে এমন পরিস্থিতি থেকে কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বৃটেনের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বলেন, “বাংলাদেশে এখন বাকস্বাধীনতা নেই।অনেকের বক্তব্য প্রচার করতে দেয়া হয় না। একটি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে।” এক প্রশ্নের জবাবে তারা নিজেদের মানবাধিকার কর্মী হিসেবে দাবি করে বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত একটি রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ যুক্তিসঙ্গত। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার লুণ্ঠিত। -ওএনবি নতুন বার্তা/এসএ
আমাদের জানার অধিকার রয়েছে, কেন এমন একটি সরকারের প্রতি বৃটেন সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে যারা নিজের দেশের জনগণের অধিকার নির্মমভাবে দাবিয়ে রেখেছে। শুক্রবার হলবর্ন চেম্বারে বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও সংবাদ সংস্থার লন্ডন প্রতিনিধিদের নিয়ে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা জানি বৃটেন সরকার এখনও বাংলাদেশে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিরোধী দলবিহীন এবং ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেয়নি। এখন আমাদের জানার অধিকার রয়েছে, বৃটেন সরকার বাংলাদেশের জনগণের অধিকার রক্ষায় কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে।” মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আলেক্সান্ডার গালাগার, ডেভিড হেইউড, ইয়ান ম্যাকগাভিন, ক্রিস্টাল ম্যাককেন, এবং ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান। তারা বলেন, “২০১৩ সালের ৫ জানুয়ারি প্রহসনের নির্বাচনে ৩০০ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ১৫৪ টি আসনে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ওইসব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের পছন্দের ব্যাক্তিদের এমপি নির্বাচিত ঘোষণা করে। বাকি আসনগুলোতে নির্বাচনী নাটক করলেও কমপক্ষে ৪০টি আসনে একজন প্রার্থীও ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ওই একচেটিয়া নির্বাচনের কারণে বিদেশী কোনো রাষ্ট্র নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলও পাঠায়নি। যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদ্ধতি পর্যন্ত বাতিল করে দেয়।” ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বাংলাদেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সংবিধানে পুনরায় কেয়ারটেকার পদ্ধতি পুনর্বহালের জন্য শেখ হাসিনার প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, “এর মাধ্যমেই দেশটির গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষা সম্ভব।” তিনি আরো বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না জেনেই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ বিরোধী দলীয় জোট ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করে। ওইদিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা ও কালোদিবস’ হিসাবে ঘোষণা করে বিরোধী দলগুলো। চলতি বছর দিনটি পালন করার জন্য বিএনপি রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে গেলে তাকে দলীয় কার্যালয়ে বন্দী করে রাখা হয়।” স্টিভেন্স বলেন, “বাংলাদেশের একটি বৃহত্তম রাজনৈতিক দল যে দলটি একাধিকবার জণগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে তারা যদি দেশে স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে না পারে এমন পরিস্থিতি থেকে কমনওয়েলথভুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে বৃটেনের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। ব্যারিস্টার স্টুয়ার্ট স্টিভেন্স বলেন, “বাংলাদেশে এখন বাকস্বাধীনতা নেই।অনেকের বক্তব্য প্রচার করতে দেয়া হয় না। একটি টিভি চ্যানেলের সম্প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে।” এক প্রশ্নের জবাবে তারা নিজেদের মানবাধিকার কর্মী হিসেবে দাবি করে বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত একটি রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ যুক্তিসঙ্গত। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার লুণ্ঠিত। -ওএনবি নতুন বার্তা/এসএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment