বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া ৩ নম্বর অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বাকি তিনটি অভিযোগে তাকে খালাস দেন আদালত। গত ২ জুন এ মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। দীর্ঘ ছয় মাস মামলটি অপেক্ষমাণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমান বলেন, একাত্তর সালে মোবারক হোসেন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং স্বাধীনতাকামীদের পাক বাহিনীর সহায়তায় হত্যা করেছেন। এ অপরাধে তার ফাঁসি হয়েছে এতে আমরা খুশি। এর আগে গত ২১ মে মোবারকের পক্ষে আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এর আগে মামলার মূল বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন মোবারকের আরেক আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। এছাড়া মোবারকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। গত বছর ২০ মে মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে। তারা হলেন মামলার আইও শ্যামল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দারুল ইসলাম, শহীদ আব্দুল খালেকের মেয়ে খোদেজা বেগম ও ছেলে রফিকুল ইসলাম, মো. খাদেম হোসেন খান, আলী আকবর, মো. আব্দুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল মল্লিক, আব্দুস সামাদ, শহীদ জায়া ভানু বিবি, আব্দুল হামিদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট চমন সিকান্দার জুলকারনাইন। গত ২৫ নভেম্বর প্রসিকিউশন পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ ও সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়। এরপর আসামি মোবারক হোসেন নিজে ও তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আসাদ উদ্দিন সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়। পরে তাদেরকে জেরা করে প্রসিকিউশন। গত বছর ১২ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ১৬ মে সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। মোবারকের বিরুদ্ধে ৭১’এ মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী চার ধরনের অপরাধে পাঁচটি অভিযোগে গতবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের মরহুম সাদত আলীর সন্তান। তিনি প্রথমে জামায়াত ও পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মোবারকের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা, আনন্দময়ী কালীবাড়ী রাজাকার ক্যাম্পে আশুরঞ্জন দেবকে নির্যাতন, ছাতিয়ান গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যা, শ্যামপুর গ্রামের দু’জনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা এবং খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন। এসব অপরাধ ১৯৭১ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। মোবারক হোসেনের পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার নয়াদিল গ্রামের সাদত আলীর ছেলে। তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মোবারক হোসেন স্বাধীনতার পর জামায়াতের রোকন ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে মোবারক হোসেন তার সাক্ষ্যে দাবি করেন তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগ করতেন। এখনো আওয়ামী লীগেই আছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রতিহিংসামূলক। নতুন বার্তা/এজেখান/জবা
Monday, November 24, 2014
মোবারক হোসেনের মৃত্যুদণ্ড :Natun Barta
বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া ৩ নম্বর অভিযোগে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে বাকি তিনটি অভিযোগে তাকে খালাস দেন আদালত। গত ২ জুন এ মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন ট্রাইব্যুনাল। দীর্ঘ ছয় মাস মামলটি অপেক্ষমাণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলার প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমান বলেন, একাত্তর সালে মোবারক হোসেন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন এবং স্বাধীনতাকামীদের পাক বাহিনীর সহায়তায় হত্যা করেছেন। এ অপরাধে তার ফাঁসি হয়েছে এতে আমরা খুশি। এর আগে গত ২১ মে মোবারকের পক্ষে আইনি পয়েন্টে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী তাজুল ইসলাম। এর আগে মামলার মূল বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করেন মোবারকের আরেক আইনজীবী মিজানুল ইসলাম। এছাড়া মোবারকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান ও সৈয়দ হায়দার আলী যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। গত বছর ২০ মে মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে ১২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছে। তারা হলেন মামলার আইও শ্যামল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা দারুল ইসলাম, শহীদ আব্দুল খালেকের মেয়ে খোদেজা বেগম ও ছেলে রফিকুল ইসলাম, মো. খাদেম হোসেন খান, আলী আকবর, মো. আব্দুল মালেক, মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল মল্লিক, আব্দুস সামাদ, শহীদ জায়া ভানু বিবি, আব্দুল হামিদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট চমন সিকান্দার জুলকারনাইন। গত ২৫ নভেম্বর প্রসিকিউশন পক্ষে সাক্ষ্যগ্রহণ ও সাক্ষীকে আসামিপক্ষের জেরা শেষ হয়। এরপর আসামি মোবারক হোসেন নিজে ও তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আসাদ উদ্দিন সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেয়। পরে তাদেরকে জেরা করে প্রসিকিউশন। গত বছর ১২ মার্চ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ১৬ মে সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। মোবারকের বিরুদ্ধে ৭১’এ মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, অপহরণ, আটক ও নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী চার ধরনের অপরাধে পাঁচটি অভিযোগে গতবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের মরহুম সাদত আলীর সন্তান। তিনি প্রথমে জামায়াত ও পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মোবারকের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা, আনন্দময়ী কালীবাড়ী রাজাকার ক্যাম্পে আশুরঞ্জন দেবকে নির্যাতন, ছাতিয়ান গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যা, শ্যামপুর গ্রামের দু’জনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা এবং খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন। এসব অপরাধ ১৯৭১ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। মোবারক হোসেনের পরিচয় সম্পর্কে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার নয়াদিল গ্রামের সাদত আলীর ছেলে। তার রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, মোবারক হোসেন স্বাধীনতার পর জামায়াতের রোকন ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তবে মোবারক হোসেন তার সাক্ষ্যে দাবি করেন তিনি সব সময়ই আওয়ামী লীগ করতেন। এখনো আওয়ামী লীগেই আছেন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রতিহিংসামূলক। নতুন বার্তা/এজেখান/জবা
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment