০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় ৩ হাজার ৬৮৭টি মামলা দায়ের করে। আর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ৩ হাজার ৭৩২টি এবং আসামিদের পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে ২ হাজার ৩৭২টি। সরকার সমর্থক ও পছন্দের লোকদের দায় মুক্তির অভিযোগ, সরকার দলীয় প্রভাবশালী বেশ কয়জন প্রতিমন্ত্রী-এমপি’র বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও তাদেরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ’দায়মুক্তি’ দেয় দুদক। এরমধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা: আ ক ম রূহুল হক এমপি, ঢাকার আসলামুল হক এমপি, রাজশাহীর এনামুল হক এমপি, কিশোরগঞ্জের এএইচএম আফজাল হোসেন বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকা সিটি করপোরেশন থেকে লোপাটের অভিযোগ সত্বেও তাকে অব্যাহতি দেয় দুদক। ঢাকার সংরক্ষিত আসনের এমপি সানজিদাকে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আমলেই নেয়নি দুদক। একইভাবে সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের ৩ মামলা থেকে অব্যাহতির চেষ্টা চলছে। সমুদ্র পরিবহণ জনিত লোকসান দেখিয়ে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)’র ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের ৪ আমলায় এক অবসরপাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয় দুদক। কানাডার আদালতে পদ্মাসেতু দুর্নীতি মামলার বিচার চলমান সত্বেও দুদক নিজেদের করা মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। কারণ এ মামলার আসামি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ছিল সন্দেহভাজন আসামি। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রূহুল আমিনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান থেমে গেছে। এ ধরনের আরো অনেক ঘটনা রয়েছে। সরকার বিরোধীদের দমনের অভিযোগ, দুদক সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গতানুগতিকভাবেই সোচ্চার রয়েছে। জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। দুদক বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। সাবেক গৃহায়ণ মন্ত্রী মির্জা আব্বাসও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে মিরপুরে সাংবাদিকদের জমি বরাদ্দের অভিযোগে মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদের মামলা চার্জশিট দেয় দুদক। জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার রিুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় চার্জশিট, মতিঝিলে কারপাকিং ভবন নির্মাণ দুর্নীতির অভিযোগে খোকার বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট দায়ের। ঢাকা ট্রেড সেন্টারে দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগেও খোকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। ঢাকার দক্ষিণের প্রথম প্রশাসক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে নিলক্ষেতে ফাঁকা জায়গায় ছাদের উপর ছাদে দোকান বরাদ্দের নামে ১০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। এছাড়া বিএনপি’র কিছু আঞ্চলিক নেতার বিরুদ্ধেও দায়ের করেছে নতুন মামলা। জাতীয় পার্টির নেতা সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক এমপি এম.এ. জব্বার ও তার পুত্র মোঃ মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের। দুদকের কৃতিত্ব দাবি, দুদক গত ২১ আগস্ট সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজারের এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। কিন্তু এখনো এসব মামলার তদন্ত শেষ করেনি দুদক। আলোচিত কয়েকটি মামলা: দুদক বর্তমান প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে একাধিক প্লট গ্রহণের অভিযোগে ৩ মামলা দায়ের করে। ওই ৩ মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তাকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে ৪ সচিবের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগের প্রতিবেদন দুদকে। এছাড়া আরো দুদকের ডিজি, পরিচালক, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, পুলিশর অতিরিক্ত আইজিপিসহ প্রায় অর্ধশত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান চালিয় যাচ্ছে দুদক। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদক বেশ কিছু মামলা দায়ের করেছে। এরমধ্যে রয়েছে হলমার্ক গ্রুপের বিরুদ্ধে ১১ টি, তাদের সহযোগি ও সংশ্লিষ্ট ৬ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৭ মামলা, তবে দুদক ৩৫টি মামলার চার্জশিট দাখিল করে। ডেসটিনি গ্রপের ৩ মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। দুদক বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১২ টি মামলা দায়ের। গত ৩ ডিসেম্বর দুর্নীতির আন্ত—র্জাতিক ধারণা সূচকের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বার্লিন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬ নম্বর থেকে ২ ধাপ অবনমন ঘটে ১৪ নম্বরে আসে। এদিকে দুদক কমিশনার মো: সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুদকের এক বছরের কার্যক্রমকে ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন ঘটনা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান, মামলা, তদন্তের ঘটনা এবারই প্রথম। অতীতের কমিশন ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের দুর্নীতি শোকেসে সাজিয়ে রেখেছিলেন। সেই সঙ্গে বর্তমানে যারা প্রভাবশালী, মন্ত্রী, আমলা-তাদের নিয়েও কাজ করছি। নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে দুদক দুর্নীতি বিরোধি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অপরদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতে খারুজ্জামান চৌধুরী দুদক কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, দুদক জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এবং দুদক যেন একাকার হয়ে গেছে। বরাবরের মতোই রাজনৈতিক ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকেছে দুদক। একে
Thursday, December 25, 2014
দুদক বছর জুড়েই ধরছে প্রভাবশালীদের ছাড়ছে:Time News
দুদক বছর জুড়েই ধরছে প্রভাবশালীদের ছাড়ছে আবুল কাশেম টাইম নিউজ বিডি, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৮:১৮:০৮ সরকার ও বিরোধীদলীয় সাবেক এবং বর্তমান মন্ত্রী, এমপি, নেতা, ব্যবসায়ি, ব্যাংক কর্মকতাসহ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে পুরো বছরই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবি নোটিশ, অনুসন্ধান, মামলা দায়ের অর অভিযোগ থেকে দায় মুক্তি নিয়ে ছিল ব্যস্ত। অর্থাৎ দুদক পুরো বছরই প্রভাবশালীদের ধরছে আর পছন্দদের ছাড়ছে। দুদক সূত্র মতে, দুদক ২
০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় ৩ হাজার ৬৮৭টি মামলা দায়ের করে। আর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ৩ হাজার ৭৩২টি এবং আসামিদের পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে ২ হাজার ৩৭২টি। সরকার সমর্থক ও পছন্দের লোকদের দায় মুক্তির অভিযোগ, সরকার দলীয় প্রভাবশালী বেশ কয়জন প্রতিমন্ত্রী-এমপি’র বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও তাদেরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ’দায়মুক্তি’ দেয় দুদক। এরমধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা: আ ক ম রূহুল হক এমপি, ঢাকার আসলামুল হক এমপি, রাজশাহীর এনামুল হক এমপি, কিশোরগঞ্জের এএইচএম আফজাল হোসেন বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকা সিটি করপোরেশন থেকে লোপাটের অভিযোগ সত্বেও তাকে অব্যাহতি দেয় দুদক। ঢাকার সংরক্ষিত আসনের এমপি সানজিদাকে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আমলেই নেয়নি দুদক। একইভাবে সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের ৩ মামলা থেকে অব্যাহতির চেষ্টা চলছে। সমুদ্র পরিবহণ জনিত লোকসান দেখিয়ে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)’র ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের ৪ আমলায় এক অবসরপাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয় দুদক। কানাডার আদালতে পদ্মাসেতু দুর্নীতি মামলার বিচার চলমান সত্বেও দুদক নিজেদের করা মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। কারণ এ মামলার আসামি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ছিল সন্দেহভাজন আসামি। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রূহুল আমিনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান থেমে গেছে। এ ধরনের আরো অনেক ঘটনা রয়েছে। সরকার বিরোধীদের দমনের অভিযোগ, দুদক সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গতানুগতিকভাবেই সোচ্চার রয়েছে। জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। দুদক বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। সাবেক গৃহায়ণ মন্ত্রী মির্জা আব্বাসও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে মিরপুরে সাংবাদিকদের জমি বরাদ্দের অভিযোগে মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদের মামলা চার্জশিট দেয় দুদক। জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার রিুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় চার্জশিট, মতিঝিলে কারপাকিং ভবন নির্মাণ দুর্নীতির অভিযোগে খোকার বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট দায়ের। ঢাকা ট্রেড সেন্টারে দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগেও খোকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। ঢাকার দক্ষিণের প্রথম প্রশাসক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে নিলক্ষেতে ফাঁকা জায়গায় ছাদের উপর ছাদে দোকান বরাদ্দের নামে ১০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। এছাড়া বিএনপি’র কিছু আঞ্চলিক নেতার বিরুদ্ধেও দায়ের করেছে নতুন মামলা। জাতীয় পার্টির নেতা সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক এমপি এম.এ. জব্বার ও তার পুত্র মোঃ মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের। দুদকের কৃতিত্ব দাবি, দুদক গত ২১ আগস্ট সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজারের এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। কিন্তু এখনো এসব মামলার তদন্ত শেষ করেনি দুদক। আলোচিত কয়েকটি মামলা: দুদক বর্তমান প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে একাধিক প্লট গ্রহণের অভিযোগে ৩ মামলা দায়ের করে। ওই ৩ মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তাকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে ৪ সচিবের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগের প্রতিবেদন দুদকে। এছাড়া আরো দুদকের ডিজি, পরিচালক, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, পুলিশর অতিরিক্ত আইজিপিসহ প্রায় অর্ধশত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান চালিয় যাচ্ছে দুদক। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদক বেশ কিছু মামলা দায়ের করেছে। এরমধ্যে রয়েছে হলমার্ক গ্রুপের বিরুদ্ধে ১১ টি, তাদের সহযোগি ও সংশ্লিষ্ট ৬ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৭ মামলা, তবে দুদক ৩৫টি মামলার চার্জশিট দাখিল করে। ডেসটিনি গ্রপের ৩ মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। দুদক বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১২ টি মামলা দায়ের। গত ৩ ডিসেম্বর দুর্নীতির আন্ত—র্জাতিক ধারণা সূচকের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বার্লিন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬ নম্বর থেকে ২ ধাপ অবনমন ঘটে ১৪ নম্বরে আসে। এদিকে দুদক কমিশনার মো: সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুদকের এক বছরের কার্যক্রমকে ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন ঘটনা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান, মামলা, তদন্তের ঘটনা এবারই প্রথম। অতীতের কমিশন ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের দুর্নীতি শোকেসে সাজিয়ে রেখেছিলেন। সেই সঙ্গে বর্তমানে যারা প্রভাবশালী, মন্ত্রী, আমলা-তাদের নিয়েও কাজ করছি। নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে দুদক দুর্নীতি বিরোধি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অপরদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতে খারুজ্জামান চৌধুরী দুদক কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, দুদক জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এবং দুদক যেন একাকার হয়ে গেছে। বরাবরের মতোই রাজনৈতিক ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকেছে দুদক। একে
০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানায় ৩ হাজার ৬৮৭টি মামলা দায়ের করে। আর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে ৩ হাজার ৭৩২টি এবং আসামিদের পক্ষে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে ২ হাজার ৩৭২টি। সরকার সমর্থক ও পছন্দের লোকদের দায় মুক্তির অভিযোগ, সরকার দলীয় প্রভাবশালী বেশ কয়জন প্রতিমন্ত্রী-এমপি’র বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্বেও তাদেরকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি ’দায়মুক্তি’ দেয় দুদক। এরমধ্যে রয়েছেন, সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা: আ ক ম রূহুল হক এমপি, ঢাকার আসলামুল হক এমপি, রাজশাহীর এনামুল হক এমপি, কিশোরগঞ্জের এএইচএম আফজাল হোসেন বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকা সিটি করপোরেশন থেকে লোপাটের অভিযোগ সত্বেও তাকে অব্যাহতি দেয় দুদক। ঢাকার সংরক্ষিত আসনের এমপি সানজিদাকে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আমলেই নেয়নি দুদক। একইভাবে সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের ৩ মামলা থেকে অব্যাহতির চেষ্টা চলছে। সমুদ্র পরিবহণ জনিত লোকসান দেখিয়ে বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)’র ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের ৪ আমলায় এক অবসরপাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেয় দুদক। কানাডার আদালতে পদ্মাসেতু দুর্নীতি মামলার বিচার চলমান সত্বেও দুদক নিজেদের করা মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। কারণ এ মামলার আসামি সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী ছিল সন্দেহভাজন আসামি। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রূহুল আমিনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান থেমে গেছে। এ ধরনের আরো অনেক ঘটনা রয়েছে। সরকার বিরোধীদের দমনের অভিযোগ, দুদক সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গতানুগতিকভাবেই সোচ্চার রয়েছে। জিয়া অর্ফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। দুদক বিএনপি নেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে। সাবেক গৃহায়ণ মন্ত্রী মির্জা আব্বাসও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে মিরপুরে সাংবাদিকদের জমি বরাদ্দের অভিযোগে মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদের মামলা চার্জশিট দেয় দুদক। জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার রিুদ্ধে অবৈধ সম্পদের মামলায় চার্জশিট, মতিঝিলে কারপাকিং ভবন নির্মাণ দুর্নীতির অভিযোগে খোকার বিরুদ্ধে মামলায় চার্জশিট দায়ের। ঢাকা ট্রেড সেন্টারে দোকান বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগেও খোকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। ঢাকার দক্ষিণের প্রথম প্রশাসক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে নিলক্ষেতে ফাঁকা জায়গায় ছাদের উপর ছাদে দোকান বরাদ্দের নামে ১০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক। এছাড়া বিএনপি’র কিছু আঞ্চলিক নেতার বিরুদ্ধেও দায়ের করেছে নতুন মামলা। জাতীয় পার্টির নেতা সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক এমপি এম.এ. জব্বার ও তার পুত্র মোঃ মাহবুব হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের। দুদকের কৃতিত্ব দাবি, দুদক গত ২১ আগস্ট সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান খান, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, কক্সবাজারের এমপি আব্দুর রহমান বদির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করা হয়। কিন্তু এখনো এসব মামলার তদন্ত শেষ করেনি দুদক। আলোচিত কয়েকটি মামলা: দুদক বর্তমান প্রবাসী কল্যাণ সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে একাধিক প্লট গ্রহণের অভিযোগে ৩ মামলা দায়ের করে। ওই ৩ মামলার তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। তাকে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে ৪ সচিবের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগের প্রতিবেদন দুদকে। এছাড়া আরো দুদকের ডিজি, পরিচালক, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী, পুলিশর অতিরিক্ত আইজিপিসহ প্রায় অর্ধশত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধান চালিয় যাচ্ছে দুদক। ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে দুদক বেশ কিছু মামলা দায়ের করেছে। এরমধ্যে রয়েছে হলমার্ক গ্রুপের বিরুদ্ধে ১১ টি, তাদের সহযোগি ও সংশ্লিষ্ট ৬ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২৭ মামলা, তবে দুদক ৩৫টি মামলার চার্জশিট দাখিল করে। ডেসটিনি গ্রপের ৩ মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। দুদক বিসমিল্লাহ গ্রুপের ১২ টি মামলা দায়ের। গত ৩ ডিসেম্বর দুর্নীতির আন্ত—র্জাতিক ধারণা সূচকের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বার্লিন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬ নম্বর থেকে ২ ধাপ অবনমন ঘটে ১৪ নম্বরে আসে। এদিকে দুদক কমিশনার মো: সাহাবুদ্দিন চুপ্পু দুদকের এক বছরের কার্যক্রমকে ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন ঘটনা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান, মামলা, তদন্তের ঘটনা এবারই প্রথম। অতীতের কমিশন ক্ষমতাসীন প্রভাবশালীদের দুর্নীতি শোকেসে সাজিয়ে রেখেছিলেন। সেই সঙ্গে বর্তমানে যারা প্রভাবশালী, মন্ত্রী, আমলা-তাদের নিয়েও কাজ করছি। নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে দুদক দুর্নীতি বিরোধি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অপরদিকে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতে খারুজ্জামান চৌধুরী দুদক কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, দুদক জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এবং দুদক যেন একাকার হয়ে গেছে। বরাবরের মতোই রাজনৈতিক ও প্রশাসনের ছত্রছায়ায় থেকেছে দুদক। একে
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment