লা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিব ও র্যা বের সোর্স গেদা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ আদালতে পুলিশ কনস্টেবলের স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, গ্রেফতার এবাদুল, গেদা ও নুরুল ইসলাম শিশু সাঈদ অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের হোতা। এবাদুল ও গেদা এক সময় আবু সাঈদদের বাসার পাশেই থাকত। সাঈদ তাদের মামা বলে ডাকত। অপহরণের পর এবাদুল ও গেদা প্রথমে মুক্তিপণ নিয়ে সাঈদকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সাঈদকে ছেড়ে দিলে সে যদি তাদের পরিচয় ফাঁস করে দেয়, এই ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। গত বুধবার অপহরণের পর বৃহস্পতিবার সকালে সাঈদকে হত্যা করা হয় বলে তারা জানিয়েছে। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরীর কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে আবু সাঈদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে নগরীর রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও ওই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪নং বাসার মতিন মিয়ার ছেলে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পথে আবু সাঈদকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সাঈদের বাবা ও মামার কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে সাঈদকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। এরপর শিশুটির স্বজনরা এসএমপির কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নং-৫৬১) করেন। সাঈদের স্বজনরা জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ দাবি করে। এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য সাঈদের পরিবারের নেই জানালে ২ লাখ টাকায় আপোস হয়। অপহরণকারীরা টাকা নিয়ে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার শরীফে যেতে বলে। টাকা নিয়ে মাজারে যাওয়ার পর অপহরণকারীরা ফোন করে বিমানবন্দর থানা এলাকার বাইশটিলা যাওয়ার জন্য বলে। সেখানে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর অপহরণকারীরা পুলিশকে জানানোর কারণে সাঈদকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেয়। এদিকে কোতয়ালী থানা পুলিশও সাঈদকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। যে মোবাইল দিয়ে সাঈদের বাবা ও মামার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, সেই মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুলিশ। একপর্যায়ে জানতে পারে নাম্বারটি এসএমপির বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুলের। গত শনিবার কোতয়ালী থানায় কনস্টেবল এবাদুলকে ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কনস্টেবল এবাদুল প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং সাঈদকে হত্যার কথা জানায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএমপির কোতয়ালী থানার এসআই ফয়াজ আহমদ বলেন, কনস্টেবল এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় দিকে নগরীর ঝেরঝেরিপাড়ার সবুজ ৩৭নং বাসা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরীর কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে র্যাুবের সোর্স গেদা মিয়াকে এবং বন্দরবাজার থেকে জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিবকে আটক করা হয়। এদিকে কোতয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, রবিবার সকালে নিহতের বাবা মতিন মিয়া বাদী হয়ে এসএমপির কনস্টেবল এবাদুল, নুরুল ইসলাম রাকিব ও গেদা মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেছেন। জেএ
Sunday, March 15, 2015
'পুলিশ ও ওলামা লীগ নেতাকে চিনে ফেলেছিল শিশু সাঈদ':Time News
'পুলিশ ও ওলামা লীগ নেতাকে চিনে ফেলেছিল শিশু সাঈদ' সিলেট করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ১৫ মার্চ, ২০১৫ ১৯:৫৬:০৬ অপহরণকারীদের চিনে ফেলায় সিলেটে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র আবু সাঈদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘাতকরা। সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট প্রথম আদালতের বিচারক সাহেদুল করিমের আদালতে রোববার দুপুরে গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন। এ ঘটনায় জড়িত জে
লা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিব ও র্যা বের সোর্স গেদা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ আদালতে পুলিশ কনস্টেবলের স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, গ্রেফতার এবাদুল, গেদা ও নুরুল ইসলাম শিশু সাঈদ অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের হোতা। এবাদুল ও গেদা এক সময় আবু সাঈদদের বাসার পাশেই থাকত। সাঈদ তাদের মামা বলে ডাকত। অপহরণের পর এবাদুল ও গেদা প্রথমে মুক্তিপণ নিয়ে সাঈদকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সাঈদকে ছেড়ে দিলে সে যদি তাদের পরিচয় ফাঁস করে দেয়, এই ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। গত বুধবার অপহরণের পর বৃহস্পতিবার সকালে সাঈদকে হত্যা করা হয় বলে তারা জানিয়েছে। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরীর কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে আবু সাঈদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে নগরীর রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও ওই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪নং বাসার মতিন মিয়ার ছেলে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পথে আবু সাঈদকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সাঈদের বাবা ও মামার কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে সাঈদকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। এরপর শিশুটির স্বজনরা এসএমপির কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নং-৫৬১) করেন। সাঈদের স্বজনরা জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ দাবি করে। এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য সাঈদের পরিবারের নেই জানালে ২ লাখ টাকায় আপোস হয়। অপহরণকারীরা টাকা নিয়ে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার শরীফে যেতে বলে। টাকা নিয়ে মাজারে যাওয়ার পর অপহরণকারীরা ফোন করে বিমানবন্দর থানা এলাকার বাইশটিলা যাওয়ার জন্য বলে। সেখানে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর অপহরণকারীরা পুলিশকে জানানোর কারণে সাঈদকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেয়। এদিকে কোতয়ালী থানা পুলিশও সাঈদকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। যে মোবাইল দিয়ে সাঈদের বাবা ও মামার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, সেই মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুলিশ। একপর্যায়ে জানতে পারে নাম্বারটি এসএমপির বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুলের। গত শনিবার কোতয়ালী থানায় কনস্টেবল এবাদুলকে ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কনস্টেবল এবাদুল প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং সাঈদকে হত্যার কথা জানায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএমপির কোতয়ালী থানার এসআই ফয়াজ আহমদ বলেন, কনস্টেবল এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় দিকে নগরীর ঝেরঝেরিপাড়ার সবুজ ৩৭নং বাসা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরীর কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে র্যাুবের সোর্স গেদা মিয়াকে এবং বন্দরবাজার থেকে জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিবকে আটক করা হয়। এদিকে কোতয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, রবিবার সকালে নিহতের বাবা মতিন মিয়া বাদী হয়ে এসএমপির কনস্টেবল এবাদুল, নুরুল ইসলাম রাকিব ও গেদা মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেছেন। জেএ
লা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিব ও র্যা বের সোর্স গেদা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ আদালতে পুলিশ কনস্টেবলের স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, গ্রেফতার এবাদুল, গেদা ও নুরুল ইসলাম শিশু সাঈদ অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের হোতা। এবাদুল ও গেদা এক সময় আবু সাঈদদের বাসার পাশেই থাকত। সাঈদ তাদের মামা বলে ডাকত। অপহরণের পর এবাদুল ও গেদা প্রথমে মুক্তিপণ নিয়ে সাঈদকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সাঈদকে ছেড়ে দিলে সে যদি তাদের পরিচয় ফাঁস করে দেয়, এই ভয়ে তাকে হত্যা করা হয়। গত বুধবার অপহরণের পর বৃহস্পতিবার সকালে সাঈদকে হত্যা করা হয় বলে তারা জানিয়েছে। এর আগে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় সিলেট নগরীর কুমারপাড়া ঝর্ণারপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে আবু সাঈদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে নগরীর রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও ওই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪নং বাসার মতিন মিয়ার ছেলে। প্রসঙ্গত, গত বুধবার স্কুল থেকে ফেরার পথে আবু সাঈদকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সাঈদের বাবা ও মামার কাছে ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। টাকা না দিলে সাঈদকে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেয় তারা। এরপর শিশুটির স্বজনরা এসএমপির কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (নং-৫৬১) করেন। সাঈদের স্বজনরা জানান, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ দাবি করে। এত টাকা দেওয়ার সামর্থ্য সাঈদের পরিবারের নেই জানালে ২ লাখ টাকায় আপোস হয়। অপহরণকারীরা টাকা নিয়ে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার শরীফে যেতে বলে। টাকা নিয়ে মাজারে যাওয়ার পর অপহরণকারীরা ফোন করে বিমানবন্দর থানা এলাকার বাইশটিলা যাওয়ার জন্য বলে। সেখানে টাকা নিয়ে যাওয়ার পর অপহরণকারীরা পুলিশকে জানানোর কারণে সাঈদকে হত্যা করার হুমকি দিয়ে ফোন রেখে দেয়। এদিকে কোতয়ালী থানা পুলিশও সাঈদকে উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে। যে মোবাইল দিয়ে সাঈদের বাবা ও মামার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল, সেই মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুলিশ। একপর্যায়ে জানতে পারে নাম্বারটি এসএমপির বিমানবন্দর থানার কনস্টেবল এবাদুলের। গত শনিবার কোতয়ালী থানায় কনস্টেবল এবাদুলকে ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে কনস্টেবল এবাদুল প্রথমে ঘটনাটি অস্বীকার করলেও পরে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং সাঈদকে হত্যার কথা জানায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসএমপির কোতয়ালী থানার এসআই ফয়াজ আহমদ বলেন, কনস্টেবল এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় দিকে নগরীর ঝেরঝেরিপাড়ার সবুজ ৩৭নং বাসা থেকে সাঈদের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া এবাদুলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নগরীর কোর্ট পয়েন্ট সংলগ্ন এলাকা থেকে র্যাুবের সোর্স গেদা মিয়াকে এবং বন্দরবাজার থেকে জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম রাকিবকে আটক করা হয়। এদিকে কোতয়ালী থানার ওসি আসাদুজ্জামান জানান, রবিবার সকালে নিহতের বাবা মতিন মিয়া বাদী হয়ে এসএমপির কনস্টেবল এবাদুল, নুরুল ইসলাম রাকিব ও গেদা মিয়ার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনকে আসামি করে কোতয়ালী থানায় মামলা করেছেন। জেএ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment