বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়ব সবাই: বিশ্ব এইডস দিবস টাইম ডেস্ক টাইম নিউজ বিডি, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০৯:০৩:১৭ আজ বিশ্ব এইডস দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, 'এইচআইভি সংক্রমণ ও এইডস মৃত্যু নয় একটিও আর, বৈষম্যহীন পৃথিবী গড়ব সবাই, এই আমাদের অঙ্গীকার'। এই দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে ৯ হাজা
র ব্যক্তি এইচআইভি সংক্রমিত। তবে সংক্রমিত সকলকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে তিন হাজার ২৪১ জন রোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে। ২০১২ সালে বাংলাদেশে ৩৩৮ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল তিন হাজার ২৪১টি। অন্য দিকে ইউএন এইডসের হিসাব মতে বাংলাদেশে আট হাজার থেকে ১৬ হাজার এইচআইভি আক্রান্ত আছে। পৃথিবীতে এইচআইভি নিয়ে বসবাস করছে তিন কোটি ৫০ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে ওষুধ পায় মাত্র এক কোটি ৩৬ লাখ মানুষ। অর্থাৎ ৩৪ শতাংশ রোগী ওষুধ পায়। বর্তমানে তিনটি সংগঠনের মাধ্যমে দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীরা ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। এগুলো হলো- আশার আলো সোসাইটি, মুক্ত আকাশ বাংলাদেশ এবং ক্যাপ। এছাড়া বাংলাদেশের অবস্থাও ভালো নয়।বিশ্বব্যাংকের ডাইরেক্ট কন্ট্রাক্টে এইচআইভি আক্রান্তদের সেবায় সারাদেশে ২০টি ‘কম্প্রেহেনসিভ কেয়ার সাপোর্ট ট্রিটমেন্ট অফ পিএলএইচআইভি’স্থাপন করার উদ্যোগ রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংকের দ্বন্দ্বে আটকে আছে এ উদ্যোগ। এইচআইভি আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো বলছে, সরকার উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এইচআইভি আক্রান্তদের সেবা দেওয়ার ফান্ড বন্ধ করে দিচ্ছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা করবে না। অন্যদিকে সরকারও কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তবে এ পর্যন্ত এইডস সংক্রমণের শিকার তিন হাজারের বেশি মানুষ চিকিৎসা সেবার আওতায় এসেছে। সরকারি হিসেব মতে, গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দেশে শনাক্তকৃত এইডস রোগে আক্রান্ত ৪৩৫ জন মারা গেছেন। আজ সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে গতকাল রোববার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত এইচআইভি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা জানানো হবে। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি বলেন, এইডস বিশ্ব মানবতার জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভয়াবহ এই রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি পারিবারিক বন্ধনকে আরো সংহত করতে পারলে রোগটি থেকে আমরা দূরে থাকতে পারব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণীতে বলেছেন, এইডসের প্রকোপ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।এবারে প্রতিপাদ্য বিষয়টি অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে এমডিজি-৬ অর্জনের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভি বা এইডস শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, পরিচর্যা ও সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইচআইভি সংক্রমিত দুই-তৃতীয়াংশ ব্যক্তিই তাদের সংক্রমণ সম্পর্কে জানে না। তারা না জানলে পরিস্থিতি বদলাবে না। এ জন্য হাসপাতালগুলোসহ কমিউনিটিভিত্তিক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এদিকে দিবসটি উপলক্ষে আজ সোমবার সেমিনারের আয়োজন করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস এন্ড গাইনী বিভাগ বর্ণাঢ্য পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনও দিবসটি পালন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। ইআর
No comments:
Post a Comment