Thursday, December 18, 2014

ঢাকার নেতাদের তুলোধুনো করলেন তৃণমূলের ছাত্রনেতারা:Time News

ঢাকার নেতাদের তুলোধুনো করলেন তৃণমূলের ছাত্রনেতারা সিনিয়র রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৫:০৭:১৩ ৫ জানুয়ারির আগে সারাদেশে আন্দোলন সফল হলেও ঢাকায় কেন আন্দোলন হয়নি তা জানতে চেয়ে ছাত্র কনভেশনে সাবেক ছাত্রনেতারা বললেন, হাতে চুড়ি পড়ে লুকিয়ে থেকে নব্য স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার পতন আন্দোলন সফল হবে না। এছাড়াও দলের মধ্যে সুবিধাবাদী আওয়ামী জাতীয়তাবাদীদের প্রতিরোধ করতে হবে। কারণ আন্দোলনের সময় এদেরক
ে রাজপথে দেখা যায় না। তাই এদেরকে দিয়ে এই স্বৈরাচারের পতন ঘটানো যাবে না। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ৯০এর ঢাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের কনভেনশনে সারাদেশ থেকে আসা সাবেক ছাত্রনেতারা এসব কথা বলেন। বক্তারা আরও বলেন, ভবিষ্যতে সরকার বিরোধী আন্দোলনে বিজয় অর্জন করতে চাইলে রাজধানী ঢাকাকে টার্গেট করতে হবে। ঢাকায় সফল হলে সারাদেশে আন্দোলন সফল হবে। টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফরহাদ ইকবাল বলেন, ঢাকার নেতাদের বলতে হবে তারা রাজপথে থাকবেন কিনা। চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য তৃণমুলে আমরা প্রস্তুত তবে ঢাকার নেতাদের সংগঠিত হতে হবে। বদরুন্নেচ্ছা কলেজের সাবেক ভিপি আর্লি বলেন, ওয়ান ইলেভেনের কথা বললে পদ হারাতে হয়। ওয়ান ইলেভেন কথা বলা যাবে না। কিন্তু যারা দলের সঙ্গে বেঈমানী করেছে তাদেরকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। আন্দোলনের সময় নেতারা হাতে চুড়ি পরে ঘরে বসে থাকবেন আর হাসিনার পতন হয়ে যাবে এমনটি মনে করার সুযোগ নেই। ময়মনসিংহ জেলার মোতাহার হোসেন বলেন, ঢাকা মহানগরকে শক্তিশালী করতে সংগ্রাম কমিটি গঠন করতে হবে। বার বার আন্দোলনের ডাক দিলেও ঢাকায় কেন আন্দোলন সফলতা পায় না সে বিষয়টি ভাবতে হবে। খুলনার ছাত্রনেতা সফিকুল আলম তুহিন বলেন, খালেদা জিয়া গুলশানে বাসভবনে অবরুদ্ধ আর তারেক রহমান বিদেশে নির্বাসনে থাকবেন এটা আমরা দেখতে চাই না। এর জন্য কঠোর কর্মসূচি দিতে হবে। যশোরের সাবেরুল হক সাবু বলেন, আন্দোলনের রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে। এখানে আপোষ নয় লড়াই করতে হবে। ৫ জানুযারির আন্দোলন ঘিরে ঢাকার নেতারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি। তৃণমুল প্রস্তুত রয়েছে। ঢাকা থেকে আন্দোলনের সূত্রপাত করতে হবে। সিলেটের সাবেক ছাত্র নেতা বলেন, কেন্দ্র থেকে কোনো কমিটি তৃনমূল নেতৃত্বে চাপিয়ে দিলে হবে না। তিনি বলেন, প্রতিটি কমিটি হওয়া দরকার সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে। গোপালগঞ্জের ছাত্র নেতা বলেন, জেলার অভ্যন্তরিণ কোন্দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিতে পারে না। সাবেক ছাত্র নেতাদের জায়গা করে দিতে হবে। বরিশালের বদরুল আলম বলেন, জেলা পর্যায়ে সাবেক ছাত্রনেতাদের কিভাবে পদ বঞ্চিত করে রাখা যায় সে ব্যবস্থা করে স্থানীয় নেতারা। আর এজন্যই মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন সফল হয় না। স্থানীয় কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতাদের জায়গা দিতে হবে। তাহলে মাঠের আন্দোলন আরো জোরদার করা যাবে। ইডেন কলেজের সাবেক ভিপি হেলেন জেরিন খান বলেন, ৫ জানুয়ারির আন্দোলনে আমরা হেরে গেলাম এর জন্য দায়ি শেখ হাসিনা নয়। আমরাই এর জন্য দায়ি। আমি হেলেন জেরিন খান ২৪ বছর রাজনীতি করছি। আমি সব সময় সামনের কাতারে থেকেছি। কিন্তু আমি বিগত ৩ বছরেও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। যারা দায়িত্বপালনে ব্যর্থ হবে তাদেরকে আগে ধরতে হবে। গুটি কয়েক নেতা ম্যাডামকে কুক্ষিগত করে রাখবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের চলমান সংগ্রামে বিজয় ছিনিয়ে আনার লক্ষে জাতীয় কনভেনশন শুরু হয়। জাতীয় কনভেশনের সভাপতি ডাকসু’র সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান স্বাগত বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ২৪ বছর আগে এই জায়গায় সর্বদলীয় ছাত্রঐক্যের কনভেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। কনভেশনে দুপুর ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে আগামী দিনে সরকার বিরোধী আন্দোলনে করণীয় নির্ধারণে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সারাদেশ থেকে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার সাবেক ও বর্তমান ছাত্ররা নেতারা জাতীয় এই কনভেশনে যোগ দেন। এদের মধ্যে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি, জিএস ও জেলা পর্যায়ের ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন ছাত্রদলের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকরা এই কনভেশনে যোগ দেন। মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা কামরুজ্জামান রতন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আজিজুল বারী হেলাল, সাইফুদ্দিন মনি, আকসাদুর রহমান আসাদ প্রমুখ। এমএইচ/ এআর


No comments:

Post a Comment