োদ্ধা দলের বিজয়ের মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে খালেদা জিয়া আরও বলেন, দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই দুর্নীতিবাজ অত্যাচারী সরকারকে বিদায় করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। জনগণ ভোট দেয়নি। জনগণ ভোট দিলে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারত না। ওই নির্বাচনে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক আসেনি। এমনকি আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনকে সমর্থন দেয়নি। এইচ টি ইমাম কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে ওই নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় আমাদের ডাকে মানুষ সাড়া দিয়েছিল, এবারও সাড়া দেবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাতানো ওই নির্বাচনে শতকরা ৫ ভাগ ভোটও পড়েনি। যদি তাই না হতো, তবে নির্বাচন কমিশন দুই দিন পর ভোটের হার প্রকাশ করবে কেন? তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার অবৈধ সংসদে যত আইন পাস করেছে- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ওইসব আইন বাতিল করা হবে। বেগম জিয়া তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদের লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’ বইয়ের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘শেখ মুজিবের কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করাতে গেলে তিনি বলেছিলেন- তোমরা কি ভাষণ রেকর্ড করিয়ে আমাকে দেশদ্রোহী প্রমাণ করতে চাও? তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি কখনই দেশের স্বাধীনতা চাননি।’ সম্প্রতি ঢাকা সফর করা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী দেশাইকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপিকে গালি দিতে দিতে তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তারা কাউকেই সম্মান দিতে জানে না। বেশ কয়েকদিন আগে মতিয়া চৌধুরীও বিশ্বব্যাংক নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন।’ সেনাবাহিনীও এখন দলীয়করণ হচ্ছে অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে এখন নিরপেক্ষদের প্রমোশন হচ্ছে না। যারা তাদের লোক কেবল তাদেরকেই প্রমোশন হচ্ছে।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের মত কোনো আঁতাত করেনি। তাদের সঙ্গে নির্বাচন এবং আন্দোলন সম্পর্কে জোট করেছে। এর বেশি কিছু নয়। এর বাইরে কোনো সম্পর্কও নেই।’হাসিনা ভুলে যায় কেন, আওয়ামী লীগই প্রথম রাজাকারদের হাতে ফ্ল্যাগ তুলে দিয়েছে।’ এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ। এমএইচ
Tuesday, December 2, 2014
বিজয়ের মাসেই সরকার পতনের কর্মসূচি: খালেদা:Time News
বিজয়ের মাসেই সরকার পতনের কর্মসূচি: খালেদা সিনিয়র রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ০০:৪৯:৫৭ চলতি মাসেই সরকার পতনের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া হবে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, এ মাস বিজয়ের মাস। বিজয় পালনের পাশাপাশি এ মাসেই আমরা অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কর্মসূচি দেব। সোমবার রাতে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিয
োদ্ধা দলের বিজয়ের মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে খালেদা জিয়া আরও বলেন, দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই দুর্নীতিবাজ অত্যাচারী সরকারকে বিদায় করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। জনগণ ভোট দেয়নি। জনগণ ভোট দিলে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারত না। ওই নির্বাচনে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক আসেনি। এমনকি আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনকে সমর্থন দেয়নি। এইচ টি ইমাম কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে ওই নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় আমাদের ডাকে মানুষ সাড়া দিয়েছিল, এবারও সাড়া দেবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাতানো ওই নির্বাচনে শতকরা ৫ ভাগ ভোটও পড়েনি। যদি তাই না হতো, তবে নির্বাচন কমিশন দুই দিন পর ভোটের হার প্রকাশ করবে কেন? তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার অবৈধ সংসদে যত আইন পাস করেছে- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ওইসব আইন বাতিল করা হবে। বেগম জিয়া তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদের লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’ বইয়ের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘শেখ মুজিবের কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করাতে গেলে তিনি বলেছিলেন- তোমরা কি ভাষণ রেকর্ড করিয়ে আমাকে দেশদ্রোহী প্রমাণ করতে চাও? তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি কখনই দেশের স্বাধীনতা চাননি।’ সম্প্রতি ঢাকা সফর করা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী দেশাইকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপিকে গালি দিতে দিতে তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তারা কাউকেই সম্মান দিতে জানে না। বেশ কয়েকদিন আগে মতিয়া চৌধুরীও বিশ্বব্যাংক নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন।’ সেনাবাহিনীও এখন দলীয়করণ হচ্ছে অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে এখন নিরপেক্ষদের প্রমোশন হচ্ছে না। যারা তাদের লোক কেবল তাদেরকেই প্রমোশন হচ্ছে।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের মত কোনো আঁতাত করেনি। তাদের সঙ্গে নির্বাচন এবং আন্দোলন সম্পর্কে জোট করেছে। এর বেশি কিছু নয়। এর বাইরে কোনো সম্পর্কও নেই।’হাসিনা ভুলে যায় কেন, আওয়ামী লীগই প্রথম রাজাকারদের হাতে ফ্ল্যাগ তুলে দিয়েছে।’ এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ। এমএইচ
োদ্ধা দলের বিজয়ের মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে খালেদা জিয়া আরও বলেন, দেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে এই দুর্নীতিবাজ অত্যাচারী সরকারকে বিদায় করা হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। জনগণ ভোট দেয়নি। জনগণ ভোট দিলে ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারত না। ওই নির্বাচনে কোনো বিদেশি পর্যবেক্ষক আসেনি। এমনকি আজ পর্যন্ত বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পাতানো নির্বাচনকে সমর্থন দেয়নি। এইচ টি ইমাম কোনো রকম জোড়াতালি দিয়ে ওই নির্বাচন সম্পন্ন করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সময় আমাদের ডাকে মানুষ সাড়া দিয়েছিল, এবারও সাড়া দেবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাতানো ওই নির্বাচনে শতকরা ৫ ভাগ ভোটও পড়েনি। যদি তাই না হতো, তবে নির্বাচন কমিশন দুই দিন পর ভোটের হার প্রকাশ করবে কেন? তিনি বলেন, এ অবৈধ সরকার অবৈধ সংসদে যত আইন পাস করেছে- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ওইসব আইন বাতিল করা হবে। বেগম জিয়া তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদের লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’ বইয়ের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘শেখ মুজিবের কাছে স্বাধীনতার ঘোষণা রেকর্ড করাতে গেলে তিনি বলেছিলেন- তোমরা কি ভাষণ রেকর্ড করিয়ে আমাকে দেশদ্রোহী প্রমাণ করতে চাও? তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি কখনই দেশের স্বাধীনতা চাননি।’ সম্প্রতি ঢাকা সফর করা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী দেশাইকে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তার কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপিকে গালি দিতে দিতে তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। তারা কাউকেই সম্মান দিতে জানে না। বেশ কয়েকদিন আগে মতিয়া চৌধুরীও বিশ্বব্যাংক নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন।’ সেনাবাহিনীও এখন দলীয়করণ হচ্ছে অভিযোগ তুলে খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘সেনাবাহিনীতে এখন নিরপেক্ষদের প্রমোশন হচ্ছে না। যারা তাদের লোক কেবল তাদেরকেই প্রমোশন হচ্ছে।’ বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের মত কোনো আঁতাত করেনি। তাদের সঙ্গে নির্বাচন এবং আন্দোলন সম্পর্কে জোট করেছে। এর বেশি কিছু নয়। এর বাইরে কোনো সম্পর্কও নেই।’হাসিনা ভুলে যায় কেন, আওয়ামী লীগই প্রথম রাজাকারদের হাতে ফ্ল্যাগ তুলে দিয়েছে।’ এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ। এমএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment