Tuesday, December 2, 2014

মহিউদ্দিনের গলায় সন্ত্রাসী মামুনের ফুলের মালা:Time News

মহিউদ্দিনের গলায় সন্ত্রাসী মামুনের ফুলের মালা চট্টগ্রাম করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ০২ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১০:০৮:১৯ ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার পক্ষ থেকের‌্যাবের কাছেদেয়া ৪১ শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকার মধ্যে অন্যতম হলো একজন চট্টগ্রামের মামুনুর রশিদ মামুন। র‌্যাবের খাতায়মামুন পালিয়ে আছেন ভারতের ত্রিপুরায়। র‌্যাবের খাতায় পলাতক এই মামুনকে সোমবার সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর গল
ায় ফুলের মালা দিতে দেখা গেছে। গতকাল সোমবার এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ৭০ তম জন্মদিনে ‘রাজনৈতিক গুরু’র গলায় ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন একসময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী মামুনুর রশিদ মামুন। আশির দশকে চট্টগ্রাম নগর ‍ছাত্রলীগের একাংশের প্রভাবশালী নিয়ন্ত্রক মামুন যুবলীগ হয়ে এখন ব্যবহার করেন আওয়ামী লীগের পরিচয়। দুপুর ১টা ২০মিনিটে শ’খানেক কর্মী নিয়ে মামুনুর রশিদ মামুন ও তার অনুসারীরা মিলে মহিউদ্দিনের গলায় বড় ফুলের মালা পরিয়ে দেন।মামুনের আনা বিশাল কেক কাটেন মহিউদ্দিন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, আমি মহিউদ্দিন ভাইয়ের ৩০ বছরের কর্মী। আমি কোনদিন মহিউদ্দিন ভাইয়ের বাইরে যেতে পারবনা। আমার উপর অনেক ঝড় গেছে। কিন্তু দল বদল করিনি, নেতাও বদল করিনি। চট্টগ্রামে আমার মুরব্বি মহিউদ্দিন। তার সঙ্গে প্রতিদিন আমার হাই, হ্যালো হয়। মাঝে মাঝে বাসায়ও যাই। কয়েকদিন না গেলে আবার মহিউদ্দিন ভাই লোকজন দিয়ে ফোন করান। জন্মদিনের ব্যস্ততার এক পর্যায়ে মহিউদ্দিনের কাছে মামুনের উপস্থিতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি চুপ থাকেন। পরে তিনি জন্মদিনের মিলাদে যোগ দিতে সেখানে চলে যান। তালিকায় পলাতক অথচ চট্টগ্রামে মামুনুর রশিদ মামুনের অবস্থান, কিভাবে সম্ভব জানতে চাওয়া হলের‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের পরিচালক লে.কর্ণেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তালিকাটা সদর দপ্তর থেকে দেয়া হয়েছে। তালিকায় মামুনুর রশিদ মামুন নামে একজন আছেন সেটা সত্যি। তবে তালিকার মামুন আর চট্টগ্রামের মামুনুর রশিদ মামুন একই ব্যক্তি কিনা তা আমরা যাচাই বাছাই করে দেখছি। নগর পুলিশের বিশেষ শাখার তৈরি করা সন্ত্রাসী তালিকায় খুলশী থানার এক নম্বর সন্ত্রাসী হিসেবে আছে মামুনের নাম। তবে মামুনের বিষয়ে মুখ খুলতে চাননা নগর পুলিশের কর্মকর্তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, মামুনের নাম এখনও সন্ত্রাসী তালিকায় আছে। তার বিরুদ্ধে ২১টি মামলা ছিল। এখন অবশ্য মাত্র একটি মামলা বিচারাধীন আছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে। ১৯৮৯ সালের ৪ মে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় আবু তাহের নামে একজনকে গুলি করে খুন করার ঘটনায় মামুনের বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। তবে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার কার্যক্রম স্থগিত আছে। ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ড থেকে মামুন কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে মামুন দৈনিক পূর্বকোণ অফিসে ঢুকে তিন সাংবাদিককে পিটিয়ে দু’বছর জেল খেটে ২০০৩ সালের আগস্টে তিনি মুক্তি পান। নগরীতে ফিরে মামুন আর মহিউদ্দিনের রাজনীতিতে ফিরেননি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ডা.আফছারুল আমিন মন্ত্রী থাকা পর্যন্ত তারঅনুসারী ছিলেন মামুন।এ সময়চট্টগ্রামে থাকলেও মামুন গত ৫ বছরেমহিউদ্দিনের বাসায় ঢুকতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত সোমবার মামুনুর রশিদ মামুনকে আবার দেখা গেছে একসময়ের রাজনীতির গুরু মহিউদ্দিনের কাছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, মহিউদ্দিন ভাইয়ের সঙ্গে আমার কোন দূরত্ব নেই। অনেকে তাকে আমার নামে ভুল বুঝাতে গিয়ে ধমক খেয়েছেন। মহিউদ্দিন ভাই ভেবেছিলেন আমি উনার উপর অভিমান করেছি। পরে বুঝেছেন আমি এখনও মহিউদ্দিন ভাইয়ের রাজনীতিই করি। মহিউদ্দিন ভাই আবার আমাকে কাছে টেনে নিয়ে বিজয় মেলার কমিটিতে ঢুকিয়েছেন। কিন্তু তার কোনো পদ নেই। ইআর    


No comments:

Post a Comment