টেবিল আলোচনায় এ দাবি করেন। আসিফ নজরুল বলেন, সরকার ঢাকা সিটির নির্বাচন দিচ্ছে না, এটা সংবিধানবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। কারণ সংবিধান সরকারকে নাগরিকদের বাকস্বাধীনতার অধিকার বাস্তবায়ন করতে বলেছে, যা আমরা ভোটাধিকারের মাধ্যমে করে থাকি। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই অধিকার থেকে জনগণকে বিরত রাখছে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি একটি বিতর্কিত নির্বাচনে ক্ষমতায় আসায় বর্তমান সরকারকে সারাক্ষণ জনভীতি তাড়া করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, পারবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ নজরুল বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকার অন্যান্য সিটি নির্বাচন দিয়ে কোথাও জিততে পারেনি। তাই ঢাকা সিটির নির্বাচন দিলে তারা কতটা জনবিচ্ছিন্ন তা আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর একমাত্র এই কারণে সরকার কখনই ডিসিসি নির্বাচন দেবে না। তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে জনগণের মধ্যেও নির্বাচনভীতি কাজ করছে। কারণ জনগণ মনে করেছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার একটা নির্বাচনী খেলা করবে এবং শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। এখন এই সরকার নির্বাচন দিলেও যা, না দিলেও তা। তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না। আসিফ নজরুল বলেন, সরকার জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে না। এজন্য প্রশাসন ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকাকেই বেছে নিয়েছে। যে কারণে ঢাকার কোথাও বিরোধী দলকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। যে কোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করা হচ্ছে। আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সিটি নির্বাচন না দেয়ার কারণে দেশে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। সরকার না চাইলে কখনো সিটি নির্বাচন হবে না। এ কারণে আমরা দাবি জানাচ্ছি- কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেন সিটি করপোরেশন নির্বাচন বন্ধ করা না হয়। সম্প্রতি সরকার ডিসিসি নির্বাচনের বিষয়ে মনোভাব দেখিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আপনাদের এই অনুষ্ঠানকে অনেকে সন্দেহের চোখে দেখছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের অঙ্গীকার ছিল একদিনও অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকবে না। অথচ সিটি নির্বাচনসহ জেলা পরিষদ নির্বাচন এখনো সরকার দেয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে নির্বাচন করা সম্ভব হলে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন হবে না। আসলে সরকার না চাইলে কখনো এই নির্বাচন হবে না। অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, আলী ইমাম মজুমদার, শ. ম সিদ্দিকী, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, সাবেক কমিশনার ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। এএইচ
Thursday, December 11, 2014
সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে: আসিফ:Time News
সরকার মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে: আসিফ স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৪ ১৪:২৭:১৩ সিটি করপোরেশন নির্বাচন আটকে রেখে এবং বিরোধী মতের কাউকে রাস্তায় নামতে না দিয়ে সরকার সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধ করছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে সুজন আয়োজিত ‘ঢাকা সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন চাই’ শীর্ষক গোল
টেবিল আলোচনায় এ দাবি করেন। আসিফ নজরুল বলেন, সরকার ঢাকা সিটির নির্বাচন দিচ্ছে না, এটা সংবিধানবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। কারণ সংবিধান সরকারকে নাগরিকদের বাকস্বাধীনতার অধিকার বাস্তবায়ন করতে বলেছে, যা আমরা ভোটাধিকারের মাধ্যমে করে থাকি। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই অধিকার থেকে জনগণকে বিরত রাখছে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি একটি বিতর্কিত নির্বাচনে ক্ষমতায় আসায় বর্তমান সরকারকে সারাক্ষণ জনভীতি তাড়া করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, পারবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ নজরুল বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকার অন্যান্য সিটি নির্বাচন দিয়ে কোথাও জিততে পারেনি। তাই ঢাকা সিটির নির্বাচন দিলে তারা কতটা জনবিচ্ছিন্ন তা আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর একমাত্র এই কারণে সরকার কখনই ডিসিসি নির্বাচন দেবে না। তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে জনগণের মধ্যেও নির্বাচনভীতি কাজ করছে। কারণ জনগণ মনে করেছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার একটা নির্বাচনী খেলা করবে এবং শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। এখন এই সরকার নির্বাচন দিলেও যা, না দিলেও তা। তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না। আসিফ নজরুল বলেন, সরকার জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে না। এজন্য প্রশাসন ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকাকেই বেছে নিয়েছে। যে কারণে ঢাকার কোথাও বিরোধী দলকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। যে কোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করা হচ্ছে। আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সিটি নির্বাচন না দেয়ার কারণে দেশে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। সরকার না চাইলে কখনো সিটি নির্বাচন হবে না। এ কারণে আমরা দাবি জানাচ্ছি- কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেন সিটি করপোরেশন নির্বাচন বন্ধ করা না হয়। সম্প্রতি সরকার ডিসিসি নির্বাচনের বিষয়ে মনোভাব দেখিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আপনাদের এই অনুষ্ঠানকে অনেকে সন্দেহের চোখে দেখছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের অঙ্গীকার ছিল একদিনও অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকবে না। অথচ সিটি নির্বাচনসহ জেলা পরিষদ নির্বাচন এখনো সরকার দেয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে নির্বাচন করা সম্ভব হলে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন হবে না। আসলে সরকার না চাইলে কখনো এই নির্বাচন হবে না। অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, আলী ইমাম মজুমদার, শ. ম সিদ্দিকী, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, সাবেক কমিশনার ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। এএইচ
টেবিল আলোচনায় এ দাবি করেন। আসিফ নজরুল বলেন, সরকার ঢাকা সিটির নির্বাচন দিচ্ছে না, এটা সংবিধানবিরোধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধ। কারণ সংবিধান সরকারকে নাগরিকদের বাকস্বাধীনতার অধিকার বাস্তবায়ন করতে বলেছে, যা আমরা ভোটাধিকারের মাধ্যমে করে থাকি। কিন্তু বর্তমান সরকার সেই অধিকার থেকে জনগণকে বিরত রাখছে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি একটি বিতর্কিত নির্বাচনে ক্ষমতায় আসায় বর্তমান সরকারকে সারাক্ষণ জনভীতি তাড়া করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো- জনগণের ভোট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, পারবে না। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসিফ নজরুল বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে সরকার অন্যান্য সিটি নির্বাচন দিয়ে কোথাও জিততে পারেনি। তাই ঢাকা সিটির নির্বাচন দিলে তারা কতটা জনবিচ্ছিন্ন তা আরো স্পষ্ট হয়ে যাবে। আর একমাত্র এই কারণে সরকার কখনই ডিসিসি নির্বাচন দেবে না। তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে জনগণের মধ্যেও নির্বাচনভীতি কাজ করছে। কারণ জনগণ মনে করেছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার একটা নির্বাচনী খেলা করবে এবং শেষ পর্যন্ত সেটাই হয়েছে। এখন এই সরকার নির্বাচন দিলেও যা, না দিলেও তা। তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না। আসিফ নজরুল বলেন, সরকার জনগণের রায়ে বিশ্বাস করে না। এজন্য প্রশাসন ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকাকেই বেছে নিয়েছে। যে কারণে ঢাকার কোথাও বিরোধী দলকে দাঁড়াতে দিচ্ছে না। যে কোনো মূল্যে তাদের প্রতিহত করা হচ্ছে। আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে সুজন সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, সিটি নির্বাচন না দেয়ার কারণে দেশে নৈরাজ্য বিরাজ করছে। সরকার না চাইলে কখনো সিটি নির্বাচন হবে না। এ কারণে আমরা দাবি জানাচ্ছি- কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে যেন সিটি করপোরেশন নির্বাচন বন্ধ করা না হয়। সম্প্রতি সরকার ডিসিসি নির্বাচনের বিষয়ে মনোভাব দেখিয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে আপনাদের এই অনুষ্ঠানকে অনেকে সন্দেহের চোখে দেখছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সরকারের অঙ্গীকার ছিল একদিনও অনির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা থাকবে না। অথচ সিটি নির্বাচনসহ জেলা পরিষদ নির্বাচন এখনো সরকার দেয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনে নির্বাচন করা সম্ভব হলে ঢাকা সিটি করপোরেশন ও জেলা পরিষদ নির্বাচন কেন হবে না। আসলে সরকার না চাইলে কখনো এই নির্বাচন হবে না। অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য দেন- সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাহী সদস্য বিচারপতি কাজী এবাদুল হক, আলী ইমাম মজুমদার, শ. ম সিদ্দিকী, সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার, সাবেক কমিশনার ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment