Sunday, December 14, 2014

দাউদ কিলিং মিশনে ‘র’ এর হাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট:RTNN

দাউদ কিলিং মিশনে ‘র’ এর হাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিউজ ডেস্ক আরটিএনএন ঢাকা: পাকিস্তানে দাউদ ইব্রাহিমকে হত্যার মিশনে বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্স অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং-র। শুক্রবার ভারতের নিউজ ওয়েবসাইট আইবিএন-এর এক বিশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিমকে
হত্যা করতে ভারতীয় গোয়েন্দারা বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এক বাহিনী পাঠায় পাকিস্তানে। বাহিনীর কোড নাম ছিল ‘সুপার বয়েজ’। দাউদকে হাতের কাছে পেয়েও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ফোনে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, প্রায় এক বছর আগে শুরু হওয়া এই মিশনের মূল উদ্দেশ্য ছিল দাউদ ইব্রাহিমকে খতমকরা। মুম্বইয়ে সিরিজ বোমা বিস্ফোরণের মূল অভিযুক্ত দাউদ ইব্রাহিম সে সময় পাকিস্তানে লুকিয়ে ছিলেন বলে খবর ছিল ভারতের কাছে। দাউদকে খতমে ভারতীয় কমান্ডোরা পাকিস্তানে পাড়ি দেন। প্রায় দুই দশক ধরে ভারতীয় গোয়েন্দারা দাউদের আস্তানা খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। কিন্তু দিনের পর দিন সেই অভিযান মুখ থুবড়ে পড়ছিল। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে দাউদের ঘাঁটির হদিস পান গোয়েন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করে ফেলা হয় এক বিশেষ বাহিনী। নাম দেয়া হয় ‘সুপার বয়েজ’। সূত্রকে উদ্ধৃত করে আইবিএন দাবি করে, ‘২০১৩ সালে দাউদক খতম করতে নয়জন বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কমান্ডোকে পাকিস্তানে পাঠানো হয়। এই  কমান্ডোদের মনোনীত করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ কর্মকর্তারা। মিশন সাকসেসফুল করতে এই কমান্ডোদের হাতে তুলে দেয়া হয় সুদান, বাংলাদেশ ও নেপালের পাসপোর্টও। এই অপারেশনকে সফল করতে ভারতকে সমর্থন জানিয়েছিল ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ টার্গেটকে হিট করতে হবে, নির্দেশ ছিল সুপার বয়েজদের প্রতি। সূত্র উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, দাউদ করাচিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই লুকিয়ে ছিল বলে খবর ছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে। প্রতিদিন ক্লিপটন রোড ধরে হাঁটাহাটি করত দাউদ। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতেই তৈরি ছিল ‘সুপার বয়েজ’। পূর্ববির্ধারিত সময় মেনে ২০১৩  সালের  ১৩  সেপ্টেম্বর দাউদের যাতায়াতের পথে ওঁৎপাতে ভারতীয় কমান্ডোরা। একটি দরগা সংলগ্ন রাস্তা অপারেশনকে সফল করতে বেছে নেন সুপার বয়েজ’। নয়জন কমান্ডোই নিজেদের পজিশন নিয়ে নেয়। তাদের হাতে ছিল দাউদের লেটেস্ট ছবিও যাতে টার্গেটকে চিনে নিতে ন্যূনতম অসুবিধে না হয়। কিন্তু এর খানিকক্ষণ পরেই এক রহস্যময় ফোন আসে কমান্ডোদের কাছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর মহল থেকে এই ফোন আসে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। তারপরেই ‘মিশন অ্যাবর্ট’ ঘোষণা করা হয়। মন্তব্য      


No comments:

Post a Comment