দারুল ইসলাম, শহীদ আব্দুল খালেকের মেয়ে খোদেজা বেগম ও ছেলে রফিকুল ইসলাম, মো. খাদেম হোসেন খান, আলী আকবর, মো. আব্দুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল মল্লিক, আব্দুস সামাদ, শহীদ জায়া ভানু বিবি, আব্দুল হামিদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুলের সুপারিনটেনডেণ্ট চমন সিকান্দার জুলকারনাইন। গত বছরের ১৬ মে মোবারকের বিরুদ্ধে ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাহিদ ইমাম। গত বছরের ২৩ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, নির্যাতন ও অপহরণের ৫টি অভিযোগ এনে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের সাদত আলীর ছেলে। মোবারকের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা, আনন্দময়ী কালীবাড়ি রাজাকার ক্যাম্পে আশু রঞ্জন দেবকে নির্যাতন, ছাতিয়ানা গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যা, শ্যামপুর গ্রামের দু’জনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা এবং খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন। এসব অপরাধ ১৯৭১ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত বছরের ১০ এপ্রিল মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী। ১১ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন মোবারকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএইচএম আহসানুল হক হেনা। ২০১২ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামল চৌধুরী মোবারকের বিরুদ্ধে তদন্ত করেন। ৬ মাস ৭ দিন তদন্ত শেষে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি মোট ৪ ভলিউমে ২৯৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে প্রসিকিউশনে দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। এর ভিত্তিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি মোবারকের বিরুদ্ধে ৩৩ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন প্রসিকিউশন। গত বছরের ১২ মার্চ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই জামিনে থাকা মোবারকের জামিন বাতিল করে তাকে জেলহাজতে পাঠান ট্রাইব্যুনাল। ১৯৭১ সালে সংঘটিত একটি হত্যার অভিযোগে মোবারকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় আটক হন মোবারক হোসেন। মোবারকের বিরুদ্ধে ওই মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন গ্রামবাসী আব্দুল খালেকের লাশ পাশ্ববর্তী খাল থেকে উদ্ধার করেন। আরজিতে উল্লেখ করা হয়, যারা খালেককে ডেকে নেন তাদের মধ্যে আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের মোবারক এবং জমশেদ মিয়া ছিলেন। শহীদ আব্দুল খালেকের কন্যা খোদেজা বেগম ২০০৯ সালের ৩ মে ব্রাক্ষণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। মোবারক হোসেন ওই বছরের ১৩ মে ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের আগাম জামিন নেন। এরপর কয়েক দফা জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে আরেক দফা জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে হাইকোর্ট তাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। পরে ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর মোবারক হোসেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান এবং মামলার নথিপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন। পরে ২০১২ সালের ৬ জুন আসামিপক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে আপিল মোকদ্দমা করলে মোবারকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসে। ট্রাইব্যুনাল এ মামলার নথিপত্র তলব ও আসামিকে হাজিরের নির্দেশ দিলে ১১ জুলাই মোবারককে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ওই দিন তার জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে ১৬ জুলাই তাকে জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে আরও ৪ দফায় তার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এএইচ
Sunday, November 23, 2014
মোবারকের রায় সোমবার:Time News
দারুল ইসলাম, শহীদ আব্দুল খালেকের মেয়ে খোদেজা বেগম ও ছেলে রফিকুল ইসলাম, মো. খাদেম হোসেন খান, আলী আকবর, মো. আব্দুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ননী গোপাল মল্লিক, আব্দুস সামাদ, শহীদ জায়া ভানু বিবি, আব্দুল হামিদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুলের সুপারিনটেনডেণ্ট চমন সিকান্দার জুলকারনাইন। গত বছরের ১৬ মে মোবারকের বিরুদ্ধে ওপেনিং স্টেটমেন্ট (সূচনা বক্তব্য) উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাহিদ ইমাম। গত বছরের ২৩ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, নির্যাতন ও অপহরণের ৫টি অভিযোগ এনে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের সাদত আলীর ছেলে। মোবারকের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা, আনন্দময়ী কালীবাড়ি রাজাকার ক্যাম্পে আশু রঞ্জন দেবকে নির্যাতন, ছাতিয়ানা গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যা, শ্যামপুর গ্রামের দু’জনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা এবং খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন। এসব অপরাধ ১৯৭১ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। এর আগে গত বছরের ১০ এপ্রিল মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী। ১১ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন মোবারকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এএইচএম আহসানুল হক হেনা। ২০১২ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত সংস্থার তদন্ত কর্মকর্তা শ্যামল চৌধুরী মোবারকের বিরুদ্ধে তদন্ত করেন। ৬ মাস ৭ দিন তদন্ত শেষে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি মোট ৪ ভলিউমে ২৯৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে প্রসিকিউশনে দাখিল করে তদন্ত সংস্থা। এর ভিত্তিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি মোবারকের বিরুদ্ধে ৩৩ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন প্রসিকিউশন। গত বছরের ১২ মার্চ এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ওই দিনই জামিনে থাকা মোবারকের জামিন বাতিল করে তাকে জেলহাজতে পাঠান ট্রাইব্যুনাল। ১৯৭১ সালে সংঘটিত একটি হত্যার অভিযোগে মোবারকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় আটক হন মোবারক হোসেন। মোবারকের বিরুদ্ধে ওই মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। পরের দিন গ্রামবাসী আব্দুল খালেকের লাশ পাশ্ববর্তী খাল থেকে উদ্ধার করেন। আরজিতে উল্লেখ করা হয়, যারা খালেককে ডেকে নেন তাদের মধ্যে আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের মোবারক এবং জমশেদ মিয়া ছিলেন। শহীদ আব্দুল খালেকের কন্যা খোদেজা বেগম ২০০৯ সালের ৩ মে ব্রাক্ষণবাড়িয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। মোবারক হোসেন ওই বছরের ১৩ মে ওই মামলায় হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের আগাম জামিন নেন। এরপর কয়েক দফা জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। পরবর্তীতে আরেক দফা জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করলে হাইকোর্ট তাকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন। পরে ২০১১ সালের ৯ অক্টোবর মোবারক হোসেন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান এবং মামলার নথিপত্র আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দেন। পরে ২০১২ সালের ৬ জুন আসামিপক্ষের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে আপিল মোকদ্দমা করলে মোবারকের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসে। ট্রাইব্যুনাল এ মামলার নথিপত্র তলব ও আসামিকে হাজিরের নির্দেশ দিলে ১১ জুলাই মোবারককে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। ওই দিন তার জামিনের আবেদনের শুনানি শেষে ১৬ জুলাই তাকে জামিন দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে আরও ৪ দফায় তার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। এএইচ
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment