একটি ব্রিজ: এমপি মন্ত্রী হলেও ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি জনগনের মাগুরা করেসপন্ডেন্ট টাইম নিউজ বিডি, ২২ নভেম্বর, ২০১৪ ১০:৪৯:৩৭ শুধুমাত্র একটি ব্রিজের প্রত্যাশায় সংসদ নির্বাচনে একের পর এক প্রার্থীকে নির্বাচিত করে এমপি বানিয়ে নেতাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করলেও দীর্ঘদিনেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি অভাগা জনগনের। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, বন্যায় রিলিফের খাবার, সরকারি সহায়তা, নাগরিক সুবিধা এসব কিছুই চায়নি মাগুরার মহম্মদপু
র উপজেলার মানুষ। শুধু চেয়েছে মধুমতি নদীর এলাংখালি ঘাটে একটি মাত্র ব্রিজ। বর্তমান মাগুরা-২ (মহম্মদপুর-শালিখা) আসনের সাংসদ যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট বীরেন শিকদার গত তিনটি নির্বাচনেই মধুমতি নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও অন্য কোনো সুবিধা তো দূরে থাক আজ পর্যন্ত ব্রিজের দেখা পায়নি এলাকার জনগন। স্থানীয়রা জানান-যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করতে মহম্মদপুরবাসী দীর্ঘদিন ধরে মধুমতি নদীর ওপর এলাংখালি ঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে। জনগণের দাবির মুখে প্রতিটি নির্বাচনের আগেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। ২০১৩ সালের ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরের জাঙ্গালিয়া গ্রামে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের এক বছর পার হলেও কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশ এ অঞ্চলের বাসিন্দারা। ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে এলাংখালি ঘাটে একটি ব্রিজ নির্মাণের অনুমোদন হয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)সভায়। স্থানীয় কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, শাহীন আলমসহ ভুক্তভোগী একাধিক এলাকাবাসী জানান, এলাংখালি ঘাটে একটি ব্রিজের অভাবে মহম্মদপুর বিচ্ছিন্ন জনপদে পরিণত হয়েছে। উপজেলা সদরে বসবাস করেও তারা আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। তারা বলেন, এলাংখালি ঘাটে ব্রিজ মহম্মদপুরবাসীর প্রাণের দাবি। তারা আর কোনো প্রতিশ্রুতি শুনতে চান না। অবিলম্বে ব্রিজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন দেখতে চান। এ ব্যাপারে মাগুরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইফতেখার আলী জানান- এলাংখালি ঘটে ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্পটির দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়ার শেষে মন্ত্রীসভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আনুমোদন পেলে নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এ ব্যাপারে বীরেন শিকদার বলেন, ‘খুব শিগগিরই ব্রিজের টেন্ডার কাজ সম্পন্ন হবে। টেন্ডার সম্পন্ন হলে দ্রুততার সঙ্গে নির্মাণ কাজ শেষ হবে।’ দীর্ঘদিনেও ব্রিজটি নির্মাণ না হওয়ায় মহম্মদপুর উপজেলার বাসিন্দাদের মাগুরা জেলা সদর হয়ে প্রায় ৪০কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল, মাদারীপুর গোপালগঞ্জসহ এ অঞ্চলের জেলাগুলোতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে যাতায়াত করতে হয়। আর এ ক্ষেত্রে প্রায়ই ঘটে ছোট- বড় দুর্ঘটনা। এছাড়া স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীদের জীবনের ঝুকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় নদী পার হতে হয়।ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহনেও অনেক ঝুকির মধ্যে থাকেন এবং খরচও বেশি ইআর
No comments:
Post a Comment