
্র দক্ষিণ কায়রোর তোরাহ কারাগার থেকে বের হয়ে রাজধানীর হেলিপোলিস অঞ্চলে অবস্থিত নিজেদের বাসায় চলে যান। দুই পুত্রের মধ্যে রয়েছেন ব্যবসায়ী আলা এবং হোসনি মোবারকের উত্তরসুরি হিসেবেই যাকে এক সময় ধরা হতো সেই অপর পুত্র গামাল। তবে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও এই দুই পুত্রকে এখনো তাদের বাবার সাথেই দুর্নীতির মামলায় পুনর্বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। দুই পুত্রকে আলাদাভাবে দেশের ভেতরের পরিস্থিতি নিয়ে অপর এক মামলাও মোকাবেলা করতে হবে। এছাড়া অন্যান্য যেসব অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে আরোপ করা হয়েছিল তা থেকে তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, বর্তমানে ৮৬ বছর বয়সী মোবারক ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত হন। অবসান ঘটে মিশরে মোবারকের ২৯ বছরের শাসনামলের। একই বছরের এপ্রিলে দুই পুত্রসহ মোবারককেআটক করা হয়। অবশ্য মোবারকের দুই পুত্রের মুক্তি সংক্রান্ত তথ্য প্রদানকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। কারণ এ ধরনের তথ্য প্রদানের এখতিয়ার তাদের নেই। গত কয়েকদিন ধরেই এই দুই ভাইয়ের মুক্তির বিষয়ে কানাঘুষা চলছিল বেশ জোরেশোরেই। তবে, বর্তমান ক্ষমতাসীন সিসি সরকারের পুলিশ বাহিনীর সাথে সরকার-বিরোধী প্রতিবাদকারীদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের একদিন পরেই মুক্তি দেয়া হলো মোবারকের দুই পুত্রকে। গতকাল (রোববার) মিশরে গণঅভ্যুত্থানের চারবছর পূর্তি উৎযাপনকালে পুলিশের সাথে প্রতিবাদকারীদের ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববারের ওই সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন পুলিশসহ অন্তত ১৮ ব্যক্তি প্রাণ হারান এবং আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। এদিকে, মোবারকের দুই পুত্রের মুক্তিতে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হওয়ার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই ধারণা মোবারক তার উত্তরসুরী হিসেবে গামালকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন যেটি ওই সময়ের গণ-অসন্তোষের অন্যতম কারণ ছিল। অবশ্য বিষয়টি তৎক্ষনাত অস্বীকার করেছিলেন মোবারক ও তার ওই পুত্র। তবে, দুর্নীতি, পুলিশের নিষ্ঠুরতা এবং দারিদ্রসহ নানা কারণেই ২০১১ সালে মিশরে সরকার-বিরোধী গণ অভ্যুত্থান দেখা দিয়েছিল। কেবি
No comments:
Post a Comment