Sunday, November 30, 2014

গুলি করে গদি রক্ষা হবে না: খালেদা:Time News

গুলি করে গদি রক্ষা হবে না: খালেদা মোজাম্মেল হক তুহিন, কুমিল্লা থেকে টাইম নিউজ বিডি, ২৯ নভেম্বর, ২০১৪ ১৮:৫২:০৫ অবৈধ সরকারকে হটাতে কঠোর আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, দেশ প্রেমিক জনগণের ওপর গুলি করে গদি রক্ষা হবে না। কুমিল্লা জেলা টাউন হল মাঠে ২০ দলীয় জোটের উদ্যোগে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বৃদ্ধির চক্রান্তের প্রতিব
াদ, গুম খুন গুপ্তহত্যা বন্ধ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সমাবেশে উপস্থিত যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশে এখন পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে।সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে জনসভাগুলোতে মানুষের ঢল নামছে।এবার অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলন হবে।আমি মাঠে থাকবো।২০ দলের সিনিয়র নেতারা থাকবেন।দেখি পুলিশ কীভাবে গুলি করে? সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন- আমরা দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা, বেকারদের কর্মসংস্থান তৈরি করার লক্ষ্যে আন্দোলন করছি।ধর্ম ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন করছি।সেই আন্দোলনে এবার সবাই অংশ নেব।অবৈধ সরকারের পতন খুব শিগগরিই হবে। কুমিল্লাবাসীকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা এবং তার আমলের উন্নয়নের কথা জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, আমরা ক্ষমতায় থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং ঢাকা ময়মনসিংহ সড়কের উন্নয়ন করেছিলাম।কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম।কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কিছুই করেনি।কারণ তারা গণতন্ত্র এবং উন্নয়নে বিশ্বাস করে না।এক জাসদ নেতা বলেছেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রের পক্ষে দল নয়।তারা যুদ্ধ না করে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে।কিন্তু রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধারা বিএনপির সাথে আছেন এবং থাকবেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির কথা খুবই খারাপ। অস্থিরতা বিরাজ করছে। অর্থমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করেছেন। এ সময় তিনি নয়া দিগন্ত পত্রিকার কপি তুলে ধরে বলেন দেশের কর্মসংস্থান কমেছে ১৯ ভাগ।কিন্তু অর্থমন্ত্রীর বলা ও করার কিছুই নেই।কারণ শেখ হাসিনা ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করেছেন। দেশে এক ব্যক্তির শাসন চলছে মন্তব্য করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই বলেন দেশে একদলীয় শাসন চলছে, কিন্তু আমি বলতে চাই দেশে এখন এক ব্যক্তির অপশাসন চলছে।আওয়ামী লীগের নীতি একটাই এটা হচ্ছে দুর্নীতি। খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান অবৈধ হাসিনা সরকার হচ্ছে খুনিদের সরকার।খুনিদের সঙ্গেই এদের বসবাস।হাসিনার আশপাশে যারা আছে সব খুনি।এরশাদ, ইনু, মেনন সবাই খুনি।খুনিদের দ্বারা এখন দেশ পরিচালিত হচ্ছে।সন্ত্রাসী, জঙ্গীদের আমরা আইনের আওতায় এনেছি।জঙ্গীদের ধর্ম গুরু শাইখ রহমান যুবলীগ নেতা মির্জা আজমের আপন ভগ্নিপতি। বেগম জিয়া বলেন, ফখরুদ্দিন মঈন উদ্দিন আমাকে ক্ষমতার প্রস্তাব দিয়েছিল।আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হয়নি।কিন্তু বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতার লোভ সামলাতে পারেননি।আর এজন্যই তারা ১/১১ সরকারের সব অপকর্মের বৈধতা দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে অন্তরে বাকশাল লালন করে।এদের কাজ হচ্ছে নিরিহ জনগণের বাড়ি দখল, জমি দখল, টেন্ডারবাজি, চাদাবাজি।এদের কাছে দেশের সাধারণ জনগণ নিরাপধ নয়। বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, র‌্যাব কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়।এরা এখন ভাড়াটে খুনি, টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করে।শুধু আমরা নয় সারা বিশ্ব এই র‌্যাব বাতিলের দাবি জানিয়েছে।এই র‌্যাবকে বাতিল করতে হবে।র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা না হলে দেশে গুম খুন, নির্যাতন বন্ধ হবে না।ডিবি এখন চুক্তিতে মানুষ খুন করছে। দুদকের সমালোচনা করে তিনি বলেন, দেশে দুদক নামে একটি প্রতিষ্ঠান আছে এটি দুর্নীতি দমন কমিশন নয়, এটি আওয়ামী লীগের দায় মুক্তির কমিশন।ভবিষ্যতে এদেরও বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।আর যে পার্লামেন্ট আছে তা অবৈধ পার্লামেন্ট।এখানে যেসব আইন পাশ হচ্ছে তাও অবৈধ।এসব আইন বাতিল করা হবে। তিনি বলেন, এরা ব্যর্থ সরকার।তাই ব্যর্থ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না।এদের বিদায় করতে হবে।আওয়ামী লীগের আমলে দেশে ভালো কিছু হয় না।হয় শুধু লুটপাট, হত্যা, নির্যাতন, গুম খুন। তিনি আরো বলেন, যারা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় আছে তারা গণতন্ত্র উন্নয়ন, আর মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করে না।এরা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল নয়।উন্নয়নের নামে এরা জনগণের টাকা লুটপাট করে নিজেদের পকেটে ভরে। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এমকে আনোয়ার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, বরকত উল্লাহ বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল হক চৌধুরী, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। জোট নেতাদের মধ্য জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবদুর রব, এলডিপির সভাপতি অলি আহমেদ, মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, বিজেপির  চেয়ার‌ম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ,  ইসলামী ঐক্যজোটের আবদুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যান পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, ইসলামিক পার্টির আবদুল মোবিন, এনডিপির খন্দকার গোলাম মূর্তজা, লেবার পার্টির হামদুল্লাহ আল মেহেদি, কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের আমীর কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, দক্ষিণ জেলা আমীর আবদুস সাত্তার, উত্তর জেলা আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারী আতিকুর রহমান, সাহিত্য সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারাবিযানের সময়ে বিএনপির চেয়ারপারসন এই টাউন হল মাঠের জনসভায় বক্তব্য দিয়েছিলেন। এমএইচ, জেএ        

No comments:

Post a Comment