মোবারকের মৃত্যুদণ্ড স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪ ০৯:১৩:৪৫ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মোবারকের বিরুদ্ধে আনিত ৫টি অভিযোগের মধ্যে দু'টি প্রমাণ হয়েছে এবং বাকি তিনটি প্রমাণ হয়নি। এর মধ্যে গণহত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও খালেক হত্যার অভিযোগে তাকে আমৃ
ত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে গতকাল রোববার ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন নির্ধারণ করেন। এর আগে গত ২ জুন উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখা হয়। ওই দিন আদালতে মোবারকের পক্ষে চূড়ান্ত যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর শাহিদুর রহমান। তার আগে ১৯ মে প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান আসামি মোবারকের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগের বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন করে শেষ করেন। এ মামলায় আসামি মোবারক হোসেন নিজে ও তার বড় ছেলে মোহাম্মদ আসাদ উদ্দিন সাফাই সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। গত বছরের ২০ মে মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ১৯৭১ সালে সংঘটিত একটি হত্যার অভিযোগে মোবারকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ব্রাক্ষণবাড়িয়ার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ওই মামলায় আটক হন মোবারক হোসেন। গত বছরের ২৩ এপ্রিল মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক হোসেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, আটক, নির্যাতন ও অপহরণের ৫টি অভিযোগ এনে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। মোবারকের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার টানমান্দাইল ও জাঙ্গাইল গ্রামে ৩৩ জনকে হত্যা, আনন্দময়ী কালীবাড়ি রাজাকার ক্যাম্পে আশু রঞ্জন দেবকে নির্যাতন, ছাতিয়ানা গ্রামের আব্দুল খালেককে হত্যা, শ্যামপুর গ্রামের দু’জনকে অপহরণ করে একজনকে হত্যা এবং খরমপুর গ্রামের একজনকে আটক রেখে নির্যাতন। এসব অপরাধ ১৯৭১ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযুক্ত মোবারক হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার নয়াদিল গ্রামের সাদত আলীর ছেলে। এআর
No comments:
Post a Comment