হতে পারে বিদ্যুৎ চুক্তি; চূড়ান্ত ব্যর্থতা কাটানোর চেষ্টায় সার্ক মো: কামরুজ্জামান, কাঠমন্ডু থেকে টাইম নিউজ বিডি, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪ ১৩:৪৯:২৯ অবশেষে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর শীর্ষ সম্মেলনে বিদ্যুৎ সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সার্কভূক্ত আট দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের উপস্থিতিতে সম্মেলনের চূড়ান্ত পর্বে এই চুক্তির সম্ভাবনা তৈরির মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত ব্যর
্থতার গ্লানি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে দক্ষিণ এশিয়ার এই সর্বোচ্চ ফোরাম। এর আগে গতকাল (রোববার) সার্কভূক্ত দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের দুই দিনের বৈঠকের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো: শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন বহুল আলোচিত তিনটি চুক্তিই বাতিল হতে পারে। কয়েকটি দেশের অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতির অভাবেই চুক্তি হচ্ছে না বলেও জানান তিনি। অবশিষ্ট যেই দুটি চুক্তি না হওয়ার সম্ভাবনা এখনও রয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে সার্ক সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য আঞ্চলিক রেল সহযোগিতা চুক্তি এবং সার্ক পণ্য ও যাত্রীবাহী মোটরযান চলাচল বিষয়ক চুক্তি । সোমবার পররাষ্ট্র সচিবদের উপস্থিতিতে সার্ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় ও শেষ দিনের বৈঠক শুরুর পর আগের বক্তব্য থেকে কিছুটা সরে এসে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বিদ্যুত সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানান। এর কিছুক্ষণ পরই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া ও সার্ক) নাফিস জাকারিয়া বলেন, বিদ্যুত সহযোগিতা চুক্তি বিষয়ে তার দেশের সামান্য আপত্তি থাকলেও তার সমাধান হতে চলেছে। তাই এ চুক্তি হতে পারে বলেও আশ্বস্ত করেন নাফিস জাকারিয়া। এই চুক্তির ব্যাপারে ইতিপূর্বে পাকিস্তান কেন আপত্তি করেছিল জানতে চাইলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, তার দেশ কিছু সহজ শর্ত দিয়েছিল এবং সেই শর্ত পূরণ হতে চলেছে। পাকিস্তানি এই কুটনীতিক আরও জানান, এই চুক্তির আওতায় এখন সার্কভূক্ত দেশগুলো বিদ্যুৎ বিষয়ে যে কোন সহযোগিতা ও আলোচনার সুযোগ পাবেন। তবে, যোগাযোগ ও পরিবহন সংক্রান্ত অপর দুই চুক্তির বিষয়ে একাধিক দেশের আপত্তি থাকায় ওই দুই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে। উল্লেখ্য, শনিবার (২২ নভেম্বর) নেপালের রাজধানী কাঠমন্ডুর হোটেল সল্টিতে সার্কভূক্ত আট দেশের যুগ্ম পররাষ্ট্র সচিবদের অংশগ্রহণে প্রোগ্রামিং কমিটির বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ১৮ তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিকতা। একই ভেন্যুতে পরদিন (রোববার) সার্ক সদস্যভূক্ত দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের উপস্থিতিতে দুই দিনের স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শীর্ষ সম্মেলনের দ্বিতীয় দফার আনুষ্ঠানিকতা। আগামী ২৬-২৭ নভেম্বর সার্কভূক্ত দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানদের উপস্থিতিতে চূড়ান্ত পর্বের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনেই বিদ্যুৎ সহযোগিতাসহ হতে পারে সম্ভাব্য চুক্তিগুলো। এবারের সার্কের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘Deeper Integration for Peace and Prosperity’ অর্থাৎ শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য গভীর যৌথ-প্রয়াস। তবে এই প্রতিপাদ্যের আলোকে কতটা যৌথ অংশীদারমূলক পরিকল্পনা বা চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে সেটাই দেখার বিষয়। এদিকে, আগামী কাল মঙ্গলবার সার্কভূক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সম্মেলনের তৃতীয় পর্বের কার্যক্রম সার্ক কাউন্সিল অব মিনিস্টারস। কাঠমন্ডুর সার্ক মিডিয়া সেন্টার থেকে
No comments:
Post a Comment