ম্যাকে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাকে অত্যন্ত হাসিখুশি এবং সাবলীল দেখা যায়। বিমানবন্দর ত্যাগ করার পর পোপ অটোমান শাসনামলে ১৭ শতকে নির্মিত ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক সুলতান আহমেদ মসজিদে (ব্লু মসজিদ) যান। শহরটিতে মোতায়েন করা প্রায় ৭ হাজার অতিরিক্ত পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পোপ মসজিদটিতে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছালে মসজিদের ইসলামী ধর্মীয় নেতারা পোপ ফ্রান্সিসকে স্বাগত জানান। ইস্তাম্বুলের মুফতি রামি ইরান নামাজ সম্পর্কে পোপকে অবহিত করেন। ইসলামের পাঁচটি স্বম্ভের অন্যতম হলো নামাজ। রামি ইরান পোপকে মসজিদটির স্থাপত্যকর্ম এবং কুরআন থেকে কিছু আয়াত, বিশেষ করে সূরা আল-ইমরানের ৩৭ নম্বর আয়াত পড়ে শুনান। সূরা আল-ইমরানের ৩৭ নম্বর আয়াতে মরিয়ম এবং মক্কাকে ইঙ্গিত করে মসজিদের উৎস ও মিরাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। রামি ইরান পোপকে বলেন, ‘আমি আশা করি সফরটি ফলপ্রসূ হবে এবং বিশ্ব শান্তিতে এটি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’ পরে পোপ ইরানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ইরান আরো বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন প্রার্থনা করা, আরো অধিক হারে আল্লাহর প্রার্থনা করা।’ তারপর তারা দুজন পূর্ব দিকে মুখ ফিরে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। দ্বিতীয় বারের মত একজন ক্যাথলিক পোপ ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আগমন করলেন। খ্রিষ্টানদের এই ধর্মীয় নেতা এর পরে মসজিদটি থেকে স্বল্প দূরত্বের বিখ্যাত আয়া সোফিয়া জাদুঘর পরিদর্শন করেন। বাইজেন্টাইন আমলে ৩৬০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে ক্যাথেড্রাল/ গির্জা হিসেবে ভবনটি প্রথম নির্মিত হয় । ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে গেলে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। প্রতীকী এই ভবনটি পরে ১৯৩৫ সালে জাদুঘরে রূপান্তরিত করেন কামাল আতার্তুক। পোপ ফ্রান্সিস তার জুতা খুলে বিশাল এই মসজিদটিতে প্রবেশ করেন। মসজিদটিতে পৌঁছানোর পর ইস্তাম্বুলের গ্র্যান্ড মুফতি রামি ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে মক্কার দিকে মুখ ফিরিয়ে (কেবলামুখী হয়ে) কয়েক মিনিট মাথা নিচু করে প্রার্থনা করেন। ভ্যাটিকানের এই মুখপাত্র এটিকে আল্লাহর ইবাদতের একটি যৌথ ‘নীরব উপাসনার মুহূর্ত’ হিসাবে বর্ণনা করেন। ২০০৬ সালে তার পূর্বসূরি পোপ বেনেডিক্ট অনুরূপ প্রার্থনা করেছিলেন। এতে রক্ষণশীল ক্যাথলিক এবং কিছু মুসলিম ক্ষুব্ধ হন। শত শত মানুষ পুলিশের ব্যারিকেডের পিছনে পোপের এ প্রার্থনার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই ছিলেন পর্যটক। স্কুলের বাচ্চাদের একটি দল তুর্কি এবং ভ্যাটিকানের পতাকা হাতে তাকে পোপকে স্বাগত জানান এবং ‘পোপ ফ্রান্সিস জিন্দাবাদ’ বলে শ্লোগান দেয়। সূত্র: এপি মন্তব্য pay per click
Sunday, November 30, 2014
ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক মসজিদে পোপের প্রার্থনা:RTNN
ম্যাকে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় তাকে অত্যন্ত হাসিখুশি এবং সাবলীল দেখা যায়। বিমানবন্দর ত্যাগ করার পর পোপ অটোমান শাসনামলে ১৭ শতকে নির্মিত ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক সুলতান আহমেদ মসজিদে (ব্লু মসজিদ) যান। শহরটিতে মোতায়েন করা প্রায় ৭ হাজার অতিরিক্ত পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে পোপ মসজিদটিতে পৌঁছান। সেখানে পৌঁছালে মসজিদের ইসলামী ধর্মীয় নেতারা পোপ ফ্রান্সিসকে স্বাগত জানান। ইস্তাম্বুলের মুফতি রামি ইরান নামাজ সম্পর্কে পোপকে অবহিত করেন। ইসলামের পাঁচটি স্বম্ভের অন্যতম হলো নামাজ। রামি ইরান পোপকে মসজিদটির স্থাপত্যকর্ম এবং কুরআন থেকে কিছু আয়াত, বিশেষ করে সূরা আল-ইমরানের ৩৭ নম্বর আয়াত পড়ে শুনান। সূরা আল-ইমরানের ৩৭ নম্বর আয়াতে মরিয়ম এবং মক্কাকে ইঙ্গিত করে মসজিদের উৎস ও মিরাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। রামি ইরান পোপকে বলেন, ‘আমি আশা করি সফরটি ফলপ্রসূ হবে এবং বিশ্ব শান্তিতে এটি অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’ পরে পোপ ইরানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ইরান আরো বলেন, ‘আমাদের প্রয়োজন প্রার্থনা করা, আরো অধিক হারে আল্লাহর প্রার্থনা করা।’ তারপর তারা দুজন পূর্ব দিকে মুখ ফিরে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। দ্বিতীয় বারের মত একজন ক্যাথলিক পোপ ঐতিহাসিক এ মসজিদটিতে আগমন করলেন। খ্রিষ্টানদের এই ধর্মীয় নেতা এর পরে মসজিদটি থেকে স্বল্প দূরত্বের বিখ্যাত আয়া সোফিয়া জাদুঘর পরিদর্শন করেন। বাইজেন্টাইন আমলে ৩৬০ খ্রিষ্ট পূর্বাব্দে ক্যাথেড্রাল/ গির্জা হিসেবে ভবনটি প্রথম নির্মিত হয় । ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে গেলে এটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়। প্রতীকী এই ভবনটি পরে ১৯৩৫ সালে জাদুঘরে রূপান্তরিত করেন কামাল আতার্তুক। পোপ ফ্রান্সিস তার জুতা খুলে বিশাল এই মসজিদটিতে প্রবেশ করেন। মসজিদটিতে পৌঁছানোর পর ইস্তাম্বুলের গ্র্যান্ড মুফতি রামি ইরানের পাশে দাঁড়িয়ে মক্কার দিকে মুখ ফিরিয়ে (কেবলামুখী হয়ে) কয়েক মিনিট মাথা নিচু করে প্রার্থনা করেন। ভ্যাটিকানের এই মুখপাত্র এটিকে আল্লাহর ইবাদতের একটি যৌথ ‘নীরব উপাসনার মুহূর্ত’ হিসাবে বর্ণনা করেন। ২০০৬ সালে তার পূর্বসূরি পোপ বেনেডিক্ট অনুরূপ প্রার্থনা করেছিলেন। এতে রক্ষণশীল ক্যাথলিক এবং কিছু মুসলিম ক্ষুব্ধ হন। শত শত মানুষ পুলিশের ব্যারিকেডের পিছনে পোপের এ প্রার্থনার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই ছিলেন পর্যটক। স্কুলের বাচ্চাদের একটি দল তুর্কি এবং ভ্যাটিকানের পতাকা হাতে তাকে পোপকে স্বাগত জানান এবং ‘পোপ ফ্রান্সিস জিন্দাবাদ’ বলে শ্লোগান দেয়। সূত্র: এপি মন্তব্য pay per click
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment