র ১৯১টি দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসের উদ্যোক্তা ভারত। প্রথম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে ভারত। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে আজ যোগচর্চার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও অংশ নেন। ভারতে যোগ দিবসের প্রধান অনুষ্ঠান হয় রাষ্ট্রপতি ভবন ও ইন্ডিয়া গেটের মধ্যবর্তী রাজপথে। সেখানে আজ সকালে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে যোগচর্চায় অংশ নেয়। এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে হাজারো মানুষের সঙ্গে যোগচর্চা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অনুষ্ঠানে যোগগুরু বাবা রামদেবও ছিলেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ছিলেন মন্ত্রী, আমলা, সামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, কূটনীতিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। যোগচর্চা শুরুর আগে সমবেত জনতার উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘রাজপথ যে যোগ পথে পরিণত হবে, তা কে জানত।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আজ বিশ্বের সব অংশে যোগ পৌঁছে যাবে। যোগ দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ।’ এরপর রাজপথের জনসমুদ্রে যোগচর্চায় অংশ নেন মোদি। তার পরনে ছিল পুরোপুরি সাদা পোশাক। গলায় ঝোলানো ছিল তিন রঙের একটি চাদর। সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের যোগচর্চা করেন। অনেকগুলো বড় পর্দায় রাজপথের আয়োজন দেখানো হয়। আয়োজন পর্যবেক্ষণ ও তা রেকর্ড করতে উপস্থিত ছিল গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। কোনো একক স্থানে যোগচর্চার সবচেয়ে বড় আসর হিসেবে রাজপথের এই আয়োজন বিশ্ব রেকর্ড গড়বে বলে আয়োজকদের প্রত্যাশা। রাজপথের এই আয়োজনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, দিবসটি পালনে ৩০-৪০ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। আজ প্রকাশ করা হয়েছে ডাকটিকিট। দিবসটি উপলক্ষে সকালে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানান মোদি। মোদি সরকারের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করে ২১ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এবারই প্রথম দিবসটি পালিত হচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম ভাষণ দেন মোদি। তখন তিনি এমন একটি দিবসকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। মোদি বলেন, তিনি নিজে প্রতিদিন যোগ সাধনা করেন। এটি তার কর্মশক্তি জোগায়। যোগসাধনা করলে রাতে কম ঘুমালেও চলে। যোগব্যায়াম ও ভেষজ ওষুধকে জনপ্রিয় করতে নভেম্বরে মোদি ভারতে প্রথমবার এ বিষয়ে একজন মন্ত্রী নিয়োগ দেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কর্মস্থলে যোগচর্চার একটি পরিকল্পনা নেন মোদি। তবে ভারতের বিরোধী দলগুলো মোদির এ উদ্যোগের বিরোধিতা করছে এই বলে যে জনগণের প্রকৃত সমস্যার সমাধান করতে না পেরে দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতের মুসলিম নেতারাও তাদের সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর বাধ্যতামূলকভাবে যোগ চর্চা করার কড়াকড়ির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মন্তব্য
Sunday, June 21, 2015
মোদির নেতৃত্বে ভারতে সাড়ম্বরে যোগ দিবস পালন:আরটিএনএন
র ১৯১টি দেশে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসের উদ্যোক্তা ভারত। প্রথম আন্তর্জাতিক যোগ দিবস পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে ভারত। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে আজ যোগচর্চার আয়োজন করা হয়। এসব অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও অংশ নেন। ভারতে যোগ দিবসের প্রধান অনুষ্ঠান হয় রাষ্ট্রপতি ভবন ও ইন্ডিয়া গেটের মধ্যবর্তী রাজপথে। সেখানে আজ সকালে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে যোগচর্চায় অংশ নেয়। এই আয়োজনে উপস্থিত থেকে হাজারো মানুষের সঙ্গে যোগচর্চা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। অনুষ্ঠানে যোগগুরু বাবা রামদেবও ছিলেন। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ছিলেন মন্ত্রী, আমলা, সামরিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, কূটনীতিকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। যোগচর্চা শুরুর আগে সমবেত জনতার উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘রাজপথ যে যোগ পথে পরিণত হবে, তা কে জানত।’ ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আজ বিশ্বের সব অংশে যোগ পৌঁছে যাবে। যোগ দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ।’ এরপর রাজপথের জনসমুদ্রে যোগচর্চায় অংশ নেন মোদি। তার পরনে ছিল পুরোপুরি সাদা পোশাক। গলায় ঝোলানো ছিল তিন রঙের একটি চাদর। সেখানে তিনি বিভিন্ন ধরনের যোগচর্চা করেন। অনেকগুলো বড় পর্দায় রাজপথের আয়োজন দেখানো হয়। আয়োজন পর্যবেক্ষণ ও তা রেকর্ড করতে উপস্থিত ছিল গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। কোনো একক স্থানে যোগচর্চার সবচেয়ে বড় আসর হিসেবে রাজপথের এই আয়োজন বিশ্ব রেকর্ড গড়বে বলে আয়োজকদের প্রত্যাশা। রাজপথের এই আয়োজনকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা-ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকারি সূত্রগুলো বলছে, দিবসটি পালনে ৩০-৪০ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। আজ প্রকাশ করা হয়েছে ডাকটিকিট। দিবসটি উপলক্ষে সকালে টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানান মোদি। মোদি সরকারের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করে ২১ জুনকে ‘আন্তর্জাতিক যোগ দিবস’ ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এবারই প্রথম দিবসটি পালিত হচ্ছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম ভাষণ দেন মোদি। তখন তিনি এমন একটি দিবসকে স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। মোদি বলেন, তিনি নিজে প্রতিদিন যোগ সাধনা করেন। এটি তার কর্মশক্তি জোগায়। যোগসাধনা করলে রাতে কম ঘুমালেও চলে। যোগব্যায়াম ও ভেষজ ওষুধকে জনপ্রিয় করতে নভেম্বরে মোদি ভারতে প্রথমবার এ বিষয়ে একজন মন্ত্রী নিয়োগ দেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কর্মস্থলে যোগচর্চার একটি পরিকল্পনা নেন মোদি। তবে ভারতের বিরোধী দলগুলো মোদির এ উদ্যোগের বিরোধিতা করছে এই বলে যে জনগণের প্রকৃত সমস্যার সমাধান করতে না পেরে দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতেই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। ভারতের মুসলিম নেতারাও তাদের সম্প্রদায়ের লোকদের ওপর বাধ্যতামূলকভাবে যোগ চর্চা করার কড়াকড়ির প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মন্তব্য
Labels:
আরটিএনএন
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment