
ি ঘরের মাঠে কোনো সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতলে, ঠিক পরের ম্যাচটি আর হারে নি বাংলাদেশ। সর্বশেষ দুটি সিরিজে (জিম্বাবুয়ে ও পাকিস্তান) যার জলজ্যান্ত উদাহরণ রয়েছে। রোববার দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামার আগে মাশরাফি বিন মর্তুজার দলের কল্পনার মানসপটে অতীত ঘুরেফিরে আসা স্বাভাবিকই বটে। তাই নিকট অতীতের মতো টাইগারদের সবকিছু ঠিক থাকলে, রোববারও তো জয়ী দলের নাম হতে পারে বাংলাদেশ! যথারীতি পরাজিত দলটা ভারত! আশঙ্কা, আশাবাদ বাস্তবে পূর্ণতা পেয়ে যাক এমন আশা কোটি বাঙালিই করবে। তবে প্রথম ম্যাচ হারলেও দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত হাল ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়। ঠিকই বলে-ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে মাঠে নামবে ধোনির দল। জে এন জি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে রোববার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বেলা তিনটায় শুরু হবে দিবারাত্রির ম্যাচটি। ভারতের জন্য ম্যাচটি বড় চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রই বলতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে এর আগে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের মতো দলের ইজ্জত, সম্মান ধুলোয় মিশেছে। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা অবশ্য ভারতের আগে হয়নি। তবে এবার ঠিকই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে ভারত। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি হেরে যাওয়ায় রোববার তাদের সামনে ধরা দিচ্ছে সিরিজ হারের চোখ রাঙানি। নিজেদের সম্মান রক্ষার বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে ধোনির দল। সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে হলে ম্যাচটা জিততেই হবে সফরকারীদের। শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন ভারতের যেমন ভরসা, তেমনি বোলিংটা চিন্তার কারণ। প্রথম ম্যাচেও ভারতের বোলাররা বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন তামিম-সৌম্যদের হাতে। ব্যাটিংয়েও কোহলি, ধাওয়ান, রায়নাদের কাছে রান চাইবে ভারত। প্রথম ম্যাচটি হেরে কিছুটা ‘আহত’ অবস্থায় রয়েছে ভারত, এটুকু নিশ্চিত। প্রথম ম্যাচটা হারলেও একাদশে পরিবর্তন আনার সম্ভাবনা কম ভারতের। বরং ভালো পরিকল্পনার লক্ষ্যেই কাজ করছে ভারত। পরীক্ষা চালাতে চাইলে হয়তো স্টুয়ার্ট বিনি বা ধাওয়াল কুলকার্নিকে দেখা যেতে পারে ভারতের একাদশে। আশার বেলুন ফুলিয়েই রেখেছিল বাংলাদেশ। ভারতকে লজ্জা দেয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায় না মাশরাফির দল। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ছন্দে রয়েছে টাইগাররা। ব্যাটিংয়ে ওপেনারদের ভালো শুরুটা ধরে রাখতে হবে। মিডল অর্ডারে মুশফিকের ব্যাটে রান আসতে হবে। বোলিংটা ভালোই হচ্ছে। বল হাতে রুবেল হোসেনের জ্বলে উঠা জরুরী। নির্ভার বাংলাদেশ দল ছক কষছে সিরিজ জয়ের। রোববারই সিরিজ বগলদাবা করার ইচ্ছা টাইগারদের। শনিবার উইকেটের সামনে অনেকক্ষণ আলোচনা করতে দেখা গেল কোচ, অধিনায়ক ও নির্বাচকদের। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ একাট্টা ভারতকে সিরিজ হারের লজ্জা উপহার দিতে। বাংলাদেশেরও উইনিং কম্বিনেশন ভাঙার পথে হাঁটার সম্ভাবনা কম। চার পেসার তত্ত্বেই এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে পরিবেশ-পরিস্থিতি এবং উইকেটের কন্ডিশন দেখে পরিবর্তন আসতে পারে। সেক্ষেত্রে বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানিকে একাদশে দেখা যেতে পারে। রোববার ব্যাটে-বলে জ্বলে উঠার আরও উপলক্ষ রয়েছে বাংলাদেশের। দেশের মাটিতে এখন পর্যন্ত টানা নয়টি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। যা দেশের মাটিতে টাইগারদের একটানা সর্বোচ্চ জয়ের রেকর্ড। এর আগে সর্বোচ্চ টানা সাত ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ ২০০৬ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরে। নতুন বার্তা/ জেএ/জিহ
No comments:
Post a Comment