Wednesday, June 17, 2015

ফোনালাপ ফাঁস: খালেদা আর উঠতে পারে কী না, সন্দেহ আছে:টাইমনিউজ

ফোনালাপ ফাঁস: খালেদা আর উঠতে পারে কী না, সন্দেহ আছে স্টাফ রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৭ জুন, ২০১৫ ০৯:১২:২২ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পর এবার ফাঁস হলো বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের ফোনালাপ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে ফাঁস হওয়া মঈন খানের ওই ফোনালাপটি আড়াইহাজারের এক নেতার সঙ্গে। তৃণমূল নেতার সঙ্গে ফোনালাপে ড. মঈন খান বলেন, উনি (খালেদা জিয়া) যে অবস্থায় পতিত হয়েছেন, আর কোনো দিন
উঠতে পারেন কি না, তা নিয়ে লোকজনের সন্দেহ আছে।... লোকজন কইতাছে উনি (খালেদা জিয়া) তিন বার প্রধানমন্ত্রী হইছেন, এখন খামোখা ঝামেলা কইরা লাভ কী? ছাইড়া দেন- আমাকে দিয়ে করান, বুঝ্ছেন? এক পর্যায়ে তিনি বলেন, বিএনপির যে অবস্থা, রাস্তাঘাটে মাইনষে খালি শরম দেয়। আপনি কাউরে কইয়েন যেন, রাজনীতি-টাজনীতি ছেড়ে দিয়ে, নিরিবিলি জীবন-যাপন করা, আমি এইডা চিন্তা করতাছি। বহুত হইছে, আর দরকার নাই। নিচে ইউটিউবের আলাপচারিতা হুবহু তুলে ধরা হলো: আড়াইহাজারের নেতা: আসসালামু আলাইকুম, স্যার কেমন আছেন? মঈন খান: ওয়ালাইকুমুস সালাম, আছি, একটু দৌড়াদৌড়ির মধ্যে ছিলাম, যে কারণে আর যোগাযোগ করতে পারি নাই, ওদিকে যাইতে পারি নাই, যাইতে পারি নাই ইউনিভার্সিটিতে, এদিকেই ছিলাম। আগামীকাল প্লান আছে যাওয়ার, গেলে যোগাযোগ করমনে। কী খবর আড়াইহাজারের? আড়াইহাজারের নেতা: আড়াইহাজার আছে ভালোই। বাবু তো সব দখল করে নেছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের সবাইকে আওয়ামী লীগে জয়েন করাইতেছে। মঈন খান: কীভাবে? ধমক দিয়া নাকি? আড়াইহাজারের নেতা: ধমক দিয়া, নাইলে বলে, চুরির মামলা দেব, ডাকাতির মামলা দেব, গালিগালাজ করে। মঈন খান: এই ধরনের জয়েনে কোনো অসুবিধা নাই। আড়াইহাজারের নেতা: হ্যাঁ স্যার, এতে পাবলিক আরো খুশিই হয়। তারা কয়, যা, পরে লইয়া আইমুনে। বাচ্চা বাচ্চা পোলাপাইনের হাতে পিস্তল দিয়া দেছে। মঈন খান: হু হু পয়সার তো অভাব নাই। আড়াই হাজারের নেতা: হু টায়া পয়সার অভাব নাই, মুরব্বিদের ইজ্জত নাই। আওয়ামী লীগের মুরব্বিরাও বলতাছে, আওয়ামী লীগ আর করা যাইবো না। মঈন খান: আমি চিন্তা করতাছি, কইয়েন না কাউরে, রাজনীতি টাজনীতি ছাইড়া দিয়ে নিরিবিলি জীবনযাপন করা-আমি এইডা চিন্তা করতাছি। আড়াইহাজারের নেতা: আমিও তাই করতে চাই। মঈন খান: বহুত হইছে। আর কত। বিএনপিরও যে অবস্থা, রাস্তাঘাটে মাইনষে খালি শরম দেয়। আড়াইহাজারের নেতা: হ’ আজ অনেকেই কইলো, কী খবর আপনাগো? মঈন খান: কী খবর, কোনো খবর নাই। আড়াইহাজারের নেতা: আজ একজন কইলো বলে, মওদুদ সাব আর অলি আহমদ মিলে নাকি বিএনপি ভাঙতাছে। মঈন খান: মওদুদ আর অলি সাব? অলি তো অনেক আগেই বিএনপি ছাইড়া গ্যাছে গা। বিএনপি ভাঙার কী আছে? হাঁ-হাঁ-হাঁ। অলরেডি বিএনপি ভাইঙা গেছেগই। আড়াইহাজারের নেতা: মওদুদ সাব তো এখনো বিএনপি নিয়ে কথাবার্তা কয়? মঈন খান: এখন বেগম খালেদা জিয়া যাদের নিয়ে চলে-ফেরে, তাদেরকে ঠিক করা না গেলে মওদুদরে বইক্কা লাভ কী? আড়াইহাজারের নেতা: উনি (খালেদা জিয়া) নোয়াখালীর লোক ছাড়বে না। মঈন খান: না না উনি (খালেদা জিয়া) নোয়াখালীর লোক ছাড়বে না এক নম্বর। দুই নম্বর হলো-উনি গুলশান অফিস ছাড়বে না। কিছু মনে কইরেন না-উনি যে অবস্থায় পতিত হইছেন, সেইখান থেইকা উঠতে পারবেন কি না- এইডাই এখন মানুষ সন্দেহ প্রকাশ করতাছে। আড়াইহাজারের নেতা: ডাউড আছে, ডাউড আছে। মঈন খান: ভবিষ্যতে কোনোদিন উঠতে পারবে কি না মাইনষে সন্দেহ করে। মাইনষে খালি কইতাছে, তিনবার প্রধানমন্ত্রী হইছে, খামাখা এইসব ঝামেলাই গিয়া লাভ কী, ছাইড়া দন। আড়াইহাজারের নেতা: তাই মনে হইতাছে। মঈন খান: আমাকে দিয়ে করান, বুঝছেন? আড়াইহাজারের নেতা: তাই মনে হইতাছে। আইচ্ছা, কাল আপনার সঙ্গে দেখা কইরা কথা কমুনে। মঈন খান: আচ্ছা। আড়াইহাজারের নেতা: আসসালামু আলাইকুম। মঈন খান: ওয়ালাইকুম সালাম। এএইচ

No comments:

Post a Comment