
েও পড়ছে দখলদারদের থাবা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। ফুটপাতে জায়গা না পেয়ে ঝুঁকি নিয়ে তার হাঁটছেন মূল সড়কে। ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তান, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, মিরপুর-১, মিরপুর-১০, গাবতলী, মহাখালী, সায়দাবাদ, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ি, সদরঘাটসহ আরো কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেল প্রায় একই চিত্র। গুলিস্তান সংলগ্ন জিরো পয়েন্টের উল্টো পাশে ঝুঁকি নিয়ে মূল সড়ক দিয়ে হেঁটে যাওয়ার পথচারী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই কি করবো, আমরা তো অসহায়। ফুটপাথের হকাররা আমাদের হাঁটার জায়গা দখল করে আছে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে হয়তো আমাকেই তোপের মুখে পড়তে হবে।‘ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকা কলেজ শিক্ষক আমিনুল হক বলেন, ‘বাসের অপেক্ষায় লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কি আর করা, ফুটপাথে’তো দাঁড়ানোর জায়গা নেই। পুরো ফুটপাথ দখল করে রয়েছে হকাররা। তাই বাধ্য হয়ে মূল সড়কেই দাঁড়ালাম।’ এই দখলকারীরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় রয়েছে বলেই দাপটের সঙ্গে তারা দখলদারিত্ব টিকিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন এই কলেজ শিক্ষক। পাশাপাশি দখলদারদের রয়েছে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে গোপন বোঝাপড়া। গুলিস্তান থেকে মাওয়া ঘাট চালাচলকারী যাত্রীবাহী বাস স্বদেশ পরিবহনের টিকেট বিক্রেতা আবিদ আলম বাংলানিউজকে বলেন, ফুটপাথে দাঁড়ানো জায়গা নেই বলেই যাত্রীরা নিজেরাই মূল রাস্তায় দাঁড়িয়েছে। দখল সম্পর্কে হাসান আলী নামের এক হকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি আমরা দখল করিনি। দখল করেছে উপরের পর্যায়ের নেতারা। আমরা তাদেরকে টাকা দিয়ে এখানে ব্যবসা করছি।’ ঈদ সামনে রেখে ফুটপাথ দখলের প্রবণতা বেড়ে যাওয়া সম্পর্কে ঢাকা জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ফুটপাথ দখল বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি সমন্বয় করা হচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাথে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে ফুটপাথের অবৈধ দখল উচ্ছেদের পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে প্রস্তুত রয়েছি। শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযানে নামা হবে। তবে সিটি কর্পোরেশনের চাহিদার ভিত্তিতে আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।’ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এলাকার ৭ নং সড়কটির কেবল ফুটপাথই নয়, মূল সড়কের প্রায় পুরোটায় দখলে রয়েছে হকারদের। রাস্তার ওপর ছোট ছোট দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে তারা। ফলে এই রাস্তা দিয়ে চলতে পারছে না কোনো যানবাহন। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ’এটি সঠিক তথ্য, তবে বিষয়টি আমরা দেখবো। সিটি কর্পোরেশন ঠিক করে দেবে কোথায় কোথায় অপারেশন হবে।’ রাজধানীতে বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ডিএমপি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ফুটপাথ দখলের বিরুদ্ধে খুব শিগগিরই মাঠে নামবো। সম্প্রতি ফুটপাথ অধিক হারে দখল হচ্ছে এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, রাজধানীর নিউমার্কেট, গুলিস্তান, ফার্মগেটসহ মোট ১৭টি পয়েন্ট নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সেই এলাকাগুলোতে অভিযান চালানো হবে। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকাগুলো অভিযানের আওতায় আসবে। এই বিষয়ে ডিএমপি সদর দপ্তরের অপারেশন শাখার যুগ্ম কমিশনার নির্দেশনা দিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, আমরা স্টাডি করে দেখেছি ইফতারের পর ফুটপাথগুলো আরো বেশি দখল হয়। তখন রাজধানীর শপিং এলাকাগুলোতে যানজট ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। রাস্তায় হাঁটার পথ সঙ্কুচিত হয়ে আসায় বাধ্য হয়ে পথচারীরা মূল রাস্তা দিয়ে হাঁটেন। ফলে বেড়ে যায় যানজট। জেআই
No comments:
Post a Comment