Wednesday, June 17, 2015

‘খালেদা গোয়েবলসের একনিষ্ঠ অনুসারী’:টাইমনিউজ

‘খালেদা গোয়েবলসের একনিষ্ঠ অনুসারী’ ডিপ্লমেটিক রিপোর্টার টাইম নিউজ বিডি, ১৬ জুন, ২০১৫ ২০:৫৮:৩৪ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হিটলারের নাৎসী প্রচার প্রধান গোয়েবলস-এর মিথ্যাচার কৌশলের একনিষ্ঠ অনুসারী বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ বিধি অনুযায়ী জাতীয় সংসদে দেয়া এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রী এরুপ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন,  গত ১৩ই জুন ২০১৫ তারিখে ভারতে
র নয়াদিল্লি সানডে গার্ডিয়ান পত্রিকায় বি.এন.পি-জামাত জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।  ওই সাক্ষাৎকারে তিনি আমার নামে অভিযোগ করেছেন যে, আমি নাকি ভারতের মান্যবর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় তাঁর সঙ্গে বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছিলাম। আমি বেগম জিয়ার এই দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগের নিন্দা জানাই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) মনে করেন যে, মিথ্যাকে বার বার বল্লেই সত্যি হয়ে যায়। কিন্তু প্রতিবারই তিনি ও তাঁর দল ধরা খেয়ে যান। বিবৃতিতে মন্ত্রী আরও বলেন, গত ৫ই জুন তারিখে আমার সংবাদ ব্রিফিং-এ বিএনপিপন্থী একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, শ্রী মোদির সঙ্গে বেগম জিয়ার সাক্ষাৎ হবে কিনা।  উত্তরে আমি বলেছিলাম, “এই প্রশ্নের আলোচনার এখানে কোন সুযোগ আছে বলে আমার মনে হয় না”। মাহমুদ আলী অভিযোগ করেন, আমার বক্তব্যকে সম্পূর্ণ বিকৃত করে পরদিন দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়।  আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ৬ই জুন একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে ইত্তেফাকের কূটনৈতিক সংবাদদাতাকে এটা সম্বন্ধে বলি।  তিনি বলেন যে, তিনি এটা করেননি।  তাঁর একজন সহকর্মী যিনি বিএনপি রিপোর্ট করেন, তিনি করেছেন। বিবৃতিতে মাহমুদ আলী আরও বলেন, এর পরে ৮ই জুন, সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে মন্ত্রিসভা একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে।  এই বৈঠকের উপর ৯ই জুন ইত্তেফাকে একটি রিপোর্ট বের হয়।  সেখানে বলা হয় যে, “বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক হচ্ছে না বলে গত শুক্রবার সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।  কিন্তু রবিবার বিকালে মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন খালেদা জিয়া।  এতে গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে সমালোচনার মুখে পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী”। অথচ সমালোচনার মুখে পড়া তো দূরের কথা ০৮ জুনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ-এর বিষয়ে কোন আলোচনাই হয়নি বলে বিবৃতিতে জানান মাহমুদ আলী। বেগম জিয়া আরেক বিবৃতিতে বলেছেন, তিনি ভারত বিরোধীও নন, হিন্দু বিদ্বেষীও নন।  তার এই বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, “গত ১৫ই ডিসেম্বর, ২০১৩ তারিখে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বেগম জিয়া বলেছেন, ১৯৭১ সালে দেশ শত্রুমুক্ত হলেও অপশক্তির নীলনক্সা বাস্তবায়নে শত্রুদের চক্রান্ত আজও বিদ্যমান।  আধিপত্যবাদী শক্তি আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে গ্রাস করে একটি পদানত জাতিতে পরিণত করার অপপ্রয়াসে লিপ্ত।  এই অপশক্তির নীলনক্সা বাস্তবায়নে এ দেশেরই কিছু চিহ্নিত মহল মদদ যুগিয়ে চলেছে।  ওদের হাত থেকে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র বিপদমুক্ত করতে স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনায় বলীয়ান হয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে”। বিবৃতিতে বেগম জিয়ার কাছে প্রশ্ন রেখে মাহমুদ আলী বলেন, “এই আধিপত্যবাদীশক্তির নাম কি? আর আপনার কথিত এ দেশের চিহ্নিত মহলেরই বা পরিচয় কি?” স্পীকারের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে বিবৃতি শেষ করার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রী তার শেষ বাক্যে বলেন, “হায় বেগম জিয়া, হায় বিএনপি! আর কত মিথ্যাচার করবেন।  ছি: ছি:”। কেবি 

No comments:

Post a Comment