
িক মহলে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য এইচ টি ইমামের মুঠোফোনে ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। খুদে বার্তা পাঠিয়ে ফোন ধরার অনুরোধ করার পরও ফোন ধরেননি। গত ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের দিন নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীরা। নির্বাচনে তিনটি সিটি করপোরেশনেই আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা মেয়র পদে বিজয়ী হন। এই নির্বাচনের অনিয়ম নিয়ে কথা বলেছেন সফররত যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি ওয়েন্ডি শ্যারমেন। তিনি সদ্যসমাপ্ত সিটি নির্বাচনের নানা অনিয়ম ‘স্বচ্ছ তদন্তের’ তাগিদ দেন। এ বিষয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪-কে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, এটি বলার তাদের কোনো অধিকার নেই। ১ হাজার ৯৮৩টি ভোটকেন্দ্র। মাত্র তিনটিতে গোলযোগ হয়েছে এবং যে কারণে সেই জায়গায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।’ এইচ টি ইমাম যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সংগঠিত দাঙ্গার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে কী রকম দাঙ্গা হচ্ছে। এগুলো (সিটি নির্বাচনের অনিয়ম) বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখা উচিত। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাটের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে বিঘ্নতার অভিযোগ করে এইচ টি ইমাম টেলিভিশন চ্যানেলটিকে বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যেখানে গেছেন সেখানে তার সঙ্গে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ ১০০ লোক ঢুকেছেন। তাঁদের কী চিন্তা করা উচিত ছিল না? অন্তত এক ঘণ্টা থেকেছেন। তখন কি ভোটাররা ভোট দিতে পেরেছেন? ভোটাধিকার প্রয়োগে তাঁরাই তো বিঘ্ন সৃষ্টি করেছেন। দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা। তিনি বলেন দূতাবাসে রাজনৈতিক কর্মকর্তা যাঁরা, তাঁদের নাম জানি, পরিচয় জানি। তাঁরা কী ধরনের কথা বলেন, কী ধরনের পরামর্শ দেন, তা জানি। কাজেই জামায়াত-শিবিরের এই ধরনের লোকদের পরামর্শ অনুযায়ী যদি বক্তব্য দিতে হয়, এটা বড় দুঃখজনক। এমকে
No comments:
Post a Comment